মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় বোরো উৎপাদন ভালো হলেও বাজারমূল্যে হতাশ চাষিরা। ধানের দাম বাড়বে মনে করে অনেকে ধান গুদামজাত করে রাখছেন।
কৃষি কার্যালয় ও বাজার ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদিত হয়েছে। এবার হেক্টরপ্রতি ৫-৬ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গড়ে সাড়ে ৫ টন উৎপাদন ধরলেও এবার ধান উৎপাদন হবে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টন।
এদিকে সরকারি গুদামে ধান ক্রয় নির্ধারণ হয়েছে মাত্র ৫২ মেট্রিক টন। এ জন্য দাম ধরা হয়েছে মণপ্রতি ১ হাজার ৮০ টাকা। অপরদিকে বর্তমানে মাঠপর্যায়ে মধ্যস্বত্বভোগী স্থানীয় পাইকারেরা ধান কিনছেন ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। মোকামে সেই ধান বিক্রি হচ্ছে অন্তত ৯৫০ টাকা। এতে প্রান্তিক কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন না। কাঙ্ক্ষিত দামের আশায় অনেকে ধান গুদামজাত করে রাখছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। গড়ে হেক্টরপ্রতি ৫-৬ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে অন্তত সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধান উঠবে কৃষকের ঘরে। এর মধ্যে ধান গোলায় তোলার আগেই বাজারে ধানের দামের নিম্নগতি ও চালের ঊর্ধ্বগতি দেখে প্রান্তিক কৃষকেরা হতাশ!
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়নের কেকড়াছড়ি এলাকার ‘রফিকুলের বিলে’ গিয়ে দেখা গেছে, খামারে শ্রমিকেরা ধানের রোদে ধান শুকাচ্ছেন।
জমির মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ১০ কানি জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৮০ মণ। বাজারে চালের ঊর্ধ্বগতি থাকলেও ধান বেচাকেনায় নিম্নগতি চলছে। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। মোকামে ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ দরে, যা প্রায় খরচের সমান। একজন কৃষক কমপক্ষে ১ হাজার ১০০ টাকা মণে ধান বিক্রি করতে পারলে কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন।’
চৈক্কাবিলের কৃষক মো. শরীফ হোসেন বলেন, ‘বোরো উৎপাদন ভালো হলেও বাজার ভালো না। ধানের মোকামের মহাজন ও অটো রাইস মিলের মালিকেরা সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় ধান কিনছেন। এই দামে ধান বিক্রি করলে কৃষক পথে মরবে।’
মানিকছড়ি বাজারের মেসার্স নারায়ণ ট্রেডার্সের মালিক নারায়ণ চন্দ্র নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মোটা ধান ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং চিকন ধান ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় কিনছি। মধ্যস্বত্বভোগীরা মাঠে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় কিনে আনছেন।’
আকাশপরী এলাকার রহমানিয়া অটো রাইস মিলের মালিক মো. আবুল কাশেম বলেন, বোরো ধান কাটার পর থেকে এখনো কড়া রোদের দেখা মেলেনি। ফলে কৃষকেরা যে ধান বাজারে আনেন তা ভালো করে শুকানো হয়নি। ফলে ৮৫০-৯০০ টাকার ওপরে কেনা কষ্টকর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন কাউচার আফ্রাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৯৮০ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি। তবে এখনো ধান উৎপাদন পরিমাপ করা হয়নি। জমিতে ধানের মান দেখে মনে হচ্ছে হেক্টরপ্রতি ৫-৬ টন ধান অনায়াসে পাওয়া যাবে। সরকারিভাবে এ বছর উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে মাত্র ৫২ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি ২৭ টাকা হারে ১০৮০ টাকা মণে ধান কিনবে খাদ্যগুদাম।
কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে মোকামে ও অটো রাইস মিলে গড়ে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় ধান কিনছে বলে শুনেছি। তবে তা কৃষকের জন্য মোটেও সহায়ক না। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার নিচে ধান বিক্রয় করলে কৃষকেরা মাঠে মারা যাবেন। ধানের দাম নির্ধারণে অটো রাইস মিলের মালিকেরা আরেকটু আন্তরিক হলে কৃষকের মধ্যে স্বস্তি আসবে।’
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় বোরো উৎপাদন ভালো হলেও বাজারমূল্যে হতাশ চাষিরা। ধানের দাম বাড়বে মনে করে অনেকে ধান গুদামজাত করে রাখছেন।
কৃষি কার্যালয় ও বাজার ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদিত হয়েছে। এবার হেক্টরপ্রতি ৫-৬ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গড়ে সাড়ে ৫ টন উৎপাদন ধরলেও এবার ধান উৎপাদন হবে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টন।
এদিকে সরকারি গুদামে ধান ক্রয় নির্ধারণ হয়েছে মাত্র ৫২ মেট্রিক টন। এ জন্য দাম ধরা হয়েছে মণপ্রতি ১ হাজার ৮০ টাকা। অপরদিকে বর্তমানে মাঠপর্যায়ে মধ্যস্বত্বভোগী স্থানীয় পাইকারেরা ধান কিনছেন ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। মোকামে সেই ধান বিক্রি হচ্ছে অন্তত ৯৫০ টাকা। এতে প্রান্তিক কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন না। কাঙ্ক্ষিত দামের আশায় অনেকে ধান গুদামজাত করে রাখছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। গড়ে হেক্টরপ্রতি ৫-৬ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে অন্তত সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধান উঠবে কৃষকের ঘরে। এর মধ্যে ধান গোলায় তোলার আগেই বাজারে ধানের দামের নিম্নগতি ও চালের ঊর্ধ্বগতি দেখে প্রান্তিক কৃষকেরা হতাশ!
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়নের কেকড়াছড়ি এলাকার ‘রফিকুলের বিলে’ গিয়ে দেখা গেছে, খামারে শ্রমিকেরা ধানের রোদে ধান শুকাচ্ছেন।
জমির মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ১০ কানি জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৮০ মণ। বাজারে চালের ঊর্ধ্বগতি থাকলেও ধান বেচাকেনায় নিম্নগতি চলছে। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। মোকামে ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ দরে, যা প্রায় খরচের সমান। একজন কৃষক কমপক্ষে ১ হাজার ১০০ টাকা মণে ধান বিক্রি করতে পারলে কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন।’
চৈক্কাবিলের কৃষক মো. শরীফ হোসেন বলেন, ‘বোরো উৎপাদন ভালো হলেও বাজার ভালো না। ধানের মোকামের মহাজন ও অটো রাইস মিলের মালিকেরা সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় ধান কিনছেন। এই দামে ধান বিক্রি করলে কৃষক পথে মরবে।’
মানিকছড়ি বাজারের মেসার্স নারায়ণ ট্রেডার্সের মালিক নারায়ণ চন্দ্র নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মোটা ধান ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং চিকন ধান ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় কিনছি। মধ্যস্বত্বভোগীরা মাঠে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় কিনে আনছেন।’
আকাশপরী এলাকার রহমানিয়া অটো রাইস মিলের মালিক মো. আবুল কাশেম বলেন, বোরো ধান কাটার পর থেকে এখনো কড়া রোদের দেখা মেলেনি। ফলে কৃষকেরা যে ধান বাজারে আনেন তা ভালো করে শুকানো হয়নি। ফলে ৮৫০-৯০০ টাকার ওপরে কেনা কষ্টকর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন কাউচার আফ্রাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৯৮০ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি। তবে এখনো ধান উৎপাদন পরিমাপ করা হয়নি। জমিতে ধানের মান দেখে মনে হচ্ছে হেক্টরপ্রতি ৫-৬ টন ধান অনায়াসে পাওয়া যাবে। সরকারিভাবে এ বছর উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে মাত্র ৫২ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি ২৭ টাকা হারে ১০৮০ টাকা মণে ধান কিনবে খাদ্যগুদাম।
কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে মোকামে ও অটো রাইস মিলে গড়ে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় ধান কিনছে বলে শুনেছি। তবে তা কৃষকের জন্য মোটেও সহায়ক না। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার নিচে ধান বিক্রয় করলে কৃষকেরা মাঠে মারা যাবেন। ধানের দাম নির্ধারণে অটো রাইস মিলের মালিকেরা আরেকটু আন্তরিক হলে কৃষকের মধ্যে স্বস্তি আসবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫