সম্পাদকীয়
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বাম রাজনীতিবিদ নির্মল সেন। তাঁর আসল নাম নির্মল কুমার সেনগুপ্ত। ছোটবেলা থেকে পরিবারের অবাধ্য সন্তান হিসেবে ‘বোহিমিয়ান’ জীবনযাপনের কারণে তাঁর বাবা রাগ করে তাঁর ঠিকুজি ছিঁড়ে ফেলেন। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল গ্রামের পাঠশালায়।
ভারতজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে ১৯৪২ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় জড়িয়ে পড়েন স্বদেশি আন্দোলনে। মাধ্যমিক পাস করার পর আরএসপির রাজনৈতিক মতাদর্শে দীক্ষিত হন তিনি। ১৯৪৮ সালে বিএসসি পড়ার সময় ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। ১৯৫৩ সালে বরিশাল জেলা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৫৬ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য যুক্ত হন সাংবাদিকতায়। কাজ শুরু করেন দৈনিক জেহাদে। ১৯৬১ সালে বিএ পাস করেন জেলখানায় বসে পরীক্ষা দিয়ে। এরপর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৬০ সালে তিনি আবার আরএসপিতে ফিরে আসেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করেন।
১৯৬৯ সালে আদমজী জুট মিলে সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন গঠন করেন। একই বছর কয়েকজন সহযোদ্ধাকে নিয়ে গঠন করেন ‘শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল’ নামে একটি রাজনৈতিক দল। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। আশির দশকে প্রায় ৮ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অতিথি শিক্ষক ছিলেন।
দৈনিক বাংলা পত্রিকা বন্ধ হওয়ার পর পার্টির সিদ্ধান্ত না মেনে সাংবাদিকদের স্বার্থে তিনি আমরণ অনশনে বসেন এবং পাওনা দিতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করেন।
তাঁর রচিত বইগুলো হলো: মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র, বার্লিন থেকে মস্কো, পূর্ববঙ্গ-পূর্ব পাকিস্তান-বাংলাদেশ, মা জন্মভূমি, লেনিন থেকে গর্ভাচেভ, আমার জবানবন্দি প্রভৃতি।
স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি নিয়ে দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ কলামটি জনপ্রিয় হয়েছিল।
চিরকুমার এই মানুষটি ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বাম রাজনীতিবিদ নির্মল সেন। তাঁর আসল নাম নির্মল কুমার সেনগুপ্ত। ছোটবেলা থেকে পরিবারের অবাধ্য সন্তান হিসেবে ‘বোহিমিয়ান’ জীবনযাপনের কারণে তাঁর বাবা রাগ করে তাঁর ঠিকুজি ছিঁড়ে ফেলেন। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল গ্রামের পাঠশালায়।
ভারতজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে ১৯৪২ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় জড়িয়ে পড়েন স্বদেশি আন্দোলনে। মাধ্যমিক পাস করার পর আরএসপির রাজনৈতিক মতাদর্শে দীক্ষিত হন তিনি। ১৯৪৮ সালে বিএসসি পড়ার সময় ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। ১৯৫৩ সালে বরিশাল জেলা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৫৬ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য যুক্ত হন সাংবাদিকতায়। কাজ শুরু করেন দৈনিক জেহাদে। ১৯৬১ সালে বিএ পাস করেন জেলখানায় বসে পরীক্ষা দিয়ে। এরপর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৬০ সালে তিনি আবার আরএসপিতে ফিরে আসেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করেন।
১৯৬৯ সালে আদমজী জুট মিলে সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন গঠন করেন। একই বছর কয়েকজন সহযোদ্ধাকে নিয়ে গঠন করেন ‘শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল’ নামে একটি রাজনৈতিক দল। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। আশির দশকে প্রায় ৮ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অতিথি শিক্ষক ছিলেন।
দৈনিক বাংলা পত্রিকা বন্ধ হওয়ার পর পার্টির সিদ্ধান্ত না মেনে সাংবাদিকদের স্বার্থে তিনি আমরণ অনশনে বসেন এবং পাওনা দিতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করেন।
তাঁর রচিত বইগুলো হলো: মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র, বার্লিন থেকে মস্কো, পূর্ববঙ্গ-পূর্ব পাকিস্তান-বাংলাদেশ, মা জন্মভূমি, লেনিন থেকে গর্ভাচেভ, আমার জবানবন্দি প্রভৃতি।
স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি নিয়ে দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ কলামটি জনপ্রিয় হয়েছিল।
চিরকুমার এই মানুষটি ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫