কাজী নজরুল ইসলাম
১৯২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বহরমপুর জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন নজরুল। ১৯২৪ সালের ২৫ এপ্রিল বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেদিন ছিল শুক্রবার। ২০ রমজান চলছিল। বাদ জুমা বসে বিয়ের আসর। বৈশাখ মাসের ১২ তারিখ ছিল বাংলা সনের।
কনের নাম আশালতা সেনগুপ্তা। অন্দরমহলে লম্বা ঘোমটা দিয়ে বসে ছিলেন আশালতা। বিয়ে পড়ানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন কাজি মওলানা মঈনউদ্দীন হোসায়ন। তাঁর নির্দেশে কবি মঈনুদ্দীন, ওয়াজেদ আলী ও আবদুস সালাম বিয়েতে মেয়ের সম্মতি লাভের জন্য অন্দরমহলে ঢুকে পড়েন।
বিয়ে হচ্ছে মুসলমানি কায়দায়। সেখানে তখন মিসেস এম রহমান ও কনের মা গিরিবালা সেনগুপ্তা উপস্থিত। বিয়ের উকিল আবদুস সালাম কনেকে এই ভাষায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামনিবাসী মরহুম কাজী ফকির আহমদ সাহেবের পুত্র কাজী নজরুল ইসলাম সাহেব আপনাকে ১ হাজার টাকা দেনমোহরের এওজে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। তার অর্ধেক মওয়াজ্জেল আর অর্ধেক মায়াজ্জেল। আপনি তাঁকে শওহরীয়তে কবুল করতে রাজি আছেন?’
এ কথা শুনে কী উত্তর দেবেন কনে? তিনি তো কিছুই বুঝতে পারছেন না। কবি মঈনুদ্দীন জানতেন, এ রকম অবস্থায় শুরুতেই ‘কবুল’ বলে দিলে কনেকে মুসলমান আত্মীয়স্বজন ‘বেহায়া’ বলে বসে। তাই রয়েসয়ে কবুল বলতে হয়। কিন্তু আশালতার ক্ষেত্রে তো সেটা হওয়ার কথা নয়।
মঈনুদ্দীন বললেন, ‘কথাগুলো সহজ বাংলায় বলুন।’
সহজ বাংলায় বলা হলে আশালতা কথাগুলো বুঝলেন এবং তখন আবদুস সালাম বললেন, ‘আপনি কি কাজী নজরুল ইসলাম সাহেবকে স্বামিত্বে বরণ করে নিতে স্বীকৃত?’
আশালতা বললেন, ‘হ্যাঁ, স্বীকৃত।’
তিনবার এ রকম স্বীকৃতি আদায় করে তাঁরা তিনজন বাইরের ঘরে এলেন। সেখানে বসে ছিলেন নজরুল। সেদিন নজরুল মাথায় পাগড়ি বেঁধেছিলেন। গায়ে জড়িয়েছিলেন সাদা চাদর।
এবার কাজি সাহেব নজরুলের কাছ থেকেও ‘অমুকের কন্যা অমুকের সঙ্গে’ ইত্যাদি বলে স্বীকৃতি আদায় করলেন। এরপর বিবাহকার্য সমাধা হয়ে গেল।
সূত্র: আহমাদ কাফিল, নজরুলসখা মঈনুদ্দীন, পৃষ্ঠা ৩৯-৪০
১৯২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বহরমপুর জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন নজরুল। ১৯২৪ সালের ২৫ এপ্রিল বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেদিন ছিল শুক্রবার। ২০ রমজান চলছিল। বাদ জুমা বসে বিয়ের আসর। বৈশাখ মাসের ১২ তারিখ ছিল বাংলা সনের।
কনের নাম আশালতা সেনগুপ্তা। অন্দরমহলে লম্বা ঘোমটা দিয়ে বসে ছিলেন আশালতা। বিয়ে পড়ানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন কাজি মওলানা মঈনউদ্দীন হোসায়ন। তাঁর নির্দেশে কবি মঈনুদ্দীন, ওয়াজেদ আলী ও আবদুস সালাম বিয়েতে মেয়ের সম্মতি লাভের জন্য অন্দরমহলে ঢুকে পড়েন।
বিয়ে হচ্ছে মুসলমানি কায়দায়। সেখানে তখন মিসেস এম রহমান ও কনের মা গিরিবালা সেনগুপ্তা উপস্থিত। বিয়ের উকিল আবদুস সালাম কনেকে এই ভাষায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামনিবাসী মরহুম কাজী ফকির আহমদ সাহেবের পুত্র কাজী নজরুল ইসলাম সাহেব আপনাকে ১ হাজার টাকা দেনমোহরের এওজে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। তার অর্ধেক মওয়াজ্জেল আর অর্ধেক মায়াজ্জেল। আপনি তাঁকে শওহরীয়তে কবুল করতে রাজি আছেন?’
এ কথা শুনে কী উত্তর দেবেন কনে? তিনি তো কিছুই বুঝতে পারছেন না। কবি মঈনুদ্দীন জানতেন, এ রকম অবস্থায় শুরুতেই ‘কবুল’ বলে দিলে কনেকে মুসলমান আত্মীয়স্বজন ‘বেহায়া’ বলে বসে। তাই রয়েসয়ে কবুল বলতে হয়। কিন্তু আশালতার ক্ষেত্রে তো সেটা হওয়ার কথা নয়।
মঈনুদ্দীন বললেন, ‘কথাগুলো সহজ বাংলায় বলুন।’
সহজ বাংলায় বলা হলে আশালতা কথাগুলো বুঝলেন এবং তখন আবদুস সালাম বললেন, ‘আপনি কি কাজী নজরুল ইসলাম সাহেবকে স্বামিত্বে বরণ করে নিতে স্বীকৃত?’
আশালতা বললেন, ‘হ্যাঁ, স্বীকৃত।’
তিনবার এ রকম স্বীকৃতি আদায় করে তাঁরা তিনজন বাইরের ঘরে এলেন। সেখানে বসে ছিলেন নজরুল। সেদিন নজরুল মাথায় পাগড়ি বেঁধেছিলেন। গায়ে জড়িয়েছিলেন সাদা চাদর।
এবার কাজি সাহেব নজরুলের কাছ থেকেও ‘অমুকের কন্যা অমুকের সঙ্গে’ ইত্যাদি বলে স্বীকৃতি আদায় করলেন। এরপর বিবাহকার্য সমাধা হয়ে গেল।
সূত্র: আহমাদ কাফিল, নজরুলসখা মঈনুদ্দীন, পৃষ্ঠা ৩৯-৪০
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫