চার বছরেও নেই কার্যক্রম

নরসিংদীর পলাশের সরকারি ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়টি প্রায় চার বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নেই সংস্থাটির কোনো কার্যক্রম। উপজেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা বলছেন, সংস্থাটির নামে একটি মাত্র সাইনবোর্ডই আছে, নেই কোনো কার্যক্রম। এতে উপজেলার খেলোয়াড়েরা নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়। এর পর তাঁদের ব্যবহৃত কার্যালয়টি দেওয়া হয় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাকে। ওই বছরের আগস্ট মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা আফসানা চৌধুরীকে সভাপতি করে ২৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয় আল-মুজাহিদ হোসেন তুষারকে।

গত বুধবার দেখা যায়, ভবনের চারপাশে ঝোপঝাড়। খুলে পড়েছে ঘরের চাল ও ছাউনি। এ ছাড়া ভেতরে কিছু আসবাবপত্র থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলোও ভেঙে পড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাইনবোর্ড লাগানোর পর থেকেই অফিসটি হেলাফেলায় পড়ে আছে। এখনো কেউ অফিসটি খুলেও দেখেননি। কমিটির লোকজনও এই অফিসে আসেন না। এলাকার স্বার্থে কার্যালয়টি সচল করা দরকার।

পলাশের চরণগর্দী গ্রামের জাবেদ খান, মোকারম, শাহেদ হোসেন, আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন ফুটবলার বলেন, এখানের অনেক খেলোয়াড় ঢাকার ক্লাবগুলোর বিভিন্ন লিগ টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা বেশ ভালো খেলেছেন। এলাকার জন্য সুনাম কুড়িয়ে এনেছেন। তবে সরকারি এই ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম না থাকায় নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় খেলোয়াড়েরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্থাটির কার্যক্রম সচল করে উপজেলার ক্রীড়া জগৎকে আরও গতিশীল করা হোক। এতে স্থানীয় খেলোয়াড়েরা আরও উৎসাহ পাবেন।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, অফিসটি দেওয়ার পর এখানে কোনো কার্যক্রম হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিসটি সংরক্ষণে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

কমিটির কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন লিগ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে উপজেলার ক্রীড়া জগৎকে সচল রেখেছেন।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার বলেন, তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত আছেন। অন্য সময় কথা বলবেন।

এ বিষয়ে ইউএনও ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ফারহানা আফসানা চৌধুরী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটির সভা ডেকে কার্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ক্রীড়া ব্যবস্থাটিকে সচল করা হবে।