Ajker Patrika

তিন বছরে আয় ২৪ লাখ টাকা

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ১২
তিন বছরে আয় ২৪ লাখ টাকা

যশোরের ঝিকরগাছায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পান চাষ। রোগবালাই তুলনামূলক কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় এখন অনেকেই ঝুঁকেছেন পান চাষে। এমনই একজন চাষি উপজেলার বোধখানা গ্রামের সোলাইমান হোসেন।

তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমি থেকে পান এবং লতা (চাষের জন্য) বিক্রি করে তিন বছরে ২৪ লাখ টাকা আয় করেছেন। তবে ২০২০ সালের আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সে বছর কোনো লাভ করতে পারেননি তিনি।

সোলাইমান হোসেন জানান, তিনি বছর তিনেক আগে বোধখানা মাঠে ১৮ কাঠা জমিতে ভারত থেকে আমদানি করা বনহুঘলি জাতের পানের লতা (কাটিং) রোপণ করেন। জমি প্রস্তুত, গাছের চারা রোপণ ও সংরক্ষণে বেড়া বাবদ তাঁর খরচ হয়েছিল আড়াই লাখ টাকা। গাছ লাগানোর আড়াই মাস পর থেকে পান তোলেন। এসব গাছে একবার লাগালে পান ধরবে অন্তত দশ বছর।

সোলাইমান হোসেন মোল্লা বলেন, ‘১৮ কাঠার খেতের বরজ থেকে গত তিন বছরে শুধু ১৪ লাখ টাকার লতা (কাটিং) বিক্রি করেছি। প্রথম বছরে পাঁচ লাখ টাকার পান বিক্রি হয়। পরে জমির পরিধি বাড়িয় সাড়ে তিন বিঘার বরজ করি। এই তিন বছরে পান বিক্রি করে চলতি বছরেই পাঁচ লাখ টাকার পান বিক্রি করেছি। তবে ২০২০ সালের আম্ফান ঝড়ের কারণে কোনো লাভ করতে পারিনি। এখন অন্তত আরও ৭-৮ বছর এই বরজ থেকে পান বিক্রি করা যাবে।’

পানচাষি সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘আমার কাছ থেকে লতা (কাটিং) নিয়ে এলাকায় এখন অনেক চাষি পান চাষ করছেন।’

সফল এই পানচাষি বলেন, ‘ভারতীয় বনহুঘলি জাতের পান আঁকারে বড় হয়। তাই বাজারে এর চাহিদা বেশি। সপ্তাহে দুই দিন পান ওঠাই। এর পর বাছাই করে বাজারে বিক্রির জন্য পাঠাই। বর্তমান পানের বাজার দর একটু কম। তবুও এ বছর পাঁচ লাখ টাকা বিক্রি করেছি।’

সোলাইমান হোসেন আরও বলেন, ‘পানখেতে রাসায়নিক সার কম দিয়ে জৈব সার ও খৈল ব্যবহার বেশি করি। এতে ব্যয় কম হয়। উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী চাষ করায় বড় ধরনের কোনো রোগ-ব্যাধিও কম হয়।’

উপজেলা কৃষি অফিসের বোধখানা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘উপজেলার ৭০ শতাংশ পান বোধখানা ব্লকে চাষ হয়। পান চাষে সাধারণত পোকা মাকড় ও রোগবালাই কম হয়। তবে রস শোষণকারী পোকর আক্রমণ হলে জৈব কীটনাশক ট্রেসার এবং খেতের ছত্রাক দমন করতে বদৌ মিক্সচার ব্যবহার করলে ঠিক হয়ে যায়।’

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘উপজেলায় ১২ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পান চাষ হয়। এর মধ্যে ৫ হেক্টর জমিতে ভারতীয় বনহুঘলি জাতের পান চাষ হচ্ছে। বাকি জমিতে দেশীয় মিষ্টি জাতের পান চাষ হয়। পান চাষে সোলাইমান হোসেন বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাঁকে দেখে অনেকেই পান চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

হেফাজতের সমাবেশে জুলাইয়ের নারীদের গালিগালাজের নিন্দা জানাই: রিফাত রশিদ

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নেই ১ শতাংশও

জামায়াতের ‘রোহিঙ্গা রাজ্যের প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করল মিয়ানমার সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত