বোরহান জাবেদ, ঢাকা
তর্ক সাপেক্ষে দেশের সেরা কোচ মানা হয় তাঁকে। সেটির ছাপও বারবার রেখেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বিপিএলেই যেমন তিনবার ফাইনালে উঠেছে তাঁর দল। একবারও শূন্য হাতে ফিরতে হয়নি তাঁকে। তিনবারই দলকে শিরোপা জিতিয়ে তবেই থেমেছেন। তৃতীয় শিরোপা জয়ের আনন্দ তো সবে শুরু। মিরপুরে গত রাতেই যে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে সালাউদ্দিনের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
২০১৫ সালে বিপিএলে অভিষেক হয় কুমিল্লার। সূচনালগ্ন থেকে দলটির কোচের দায়িত্বে আছেন তিনি। ২০১৫, ২০১৯, ২০২২—তিনটি শিরোপাই এসেছে তাঁর প্রশিক্ষণ আর কৌশলে।
আরেকটি জায়গায় সহজে আলাদা করা যায় সালাউদ্দিনকে। শিরোপার মঞ্চে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দেশের ক্রিকেটের আরেক নামী মস্তিষ্ক খালেদ মাহমুদ সুজন। লড়াইটা যতটা না কুমিল্লা-বরিশালের, তার চেয়ে বেশি ছিল সালাউদ্দিন-সুজনের। সে লড়াইয়ে আবারও বাজিমাত সালাউদ্দিনের। ২০১৯ সালে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে এই সালাউদ্দিনের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছিল সুজনকে। ওই ফাইনালে সুজনের সঙ্গে পরাজিত দলে ছিলেন আরেকজন—সাকিব আল হাসান। সেই কুমিল্লার সামনে আবারও সুজন-সাকিব জুটি; শুধু প্রতিপক্ষের নামটাই আলাদা। ঢাকার জায়গায় বরিশাল। নাম বদলালেও শিরোপা-ভাগ্য বদলাতে দেননি সালাউদ্দিন। দল গোছানো থেকে শুরু করে সবকিছুতে চাতুর্যের পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
মিরপুরে গত রাতে মাঠের লড়াইয়ের আড়ালে ছিল আরেকটি ‘ছায়া যুদ্ধ’। যুদ্ধটা বরিশাল ও কুমিল্লার দুই ‘মাস্টার মাইন্ড’ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও স্টিভ রোডসের মধ্যে। ডাগআউটের বুদ্ধিদীপ্ত খেলায় কোন পরামর্শক করবেন বাজিমাত, সেটিও দেখার অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। শেষমেশ বিদেশ থেকে উড়ে আসা রোডসই মস্তিষ্কের জটিল খেলায় জিতে গেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আগাগোড়া সবটাই জানা রোডসের। ২০১৯ বিশ্বকাপ তাঁর অধীনেই খেলেছে বাংলাদেশ। তবে বিপিএলে এবারই প্রথম কোনো দলের উপদেষ্টা হয়েছেন, জাতীয় দলকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাই ছিল তাঁর একমাত্র পুঁজি। রোডসকে ডাগআউটে বসানোর ক্ষেত্রেও সালাউদ্দিন রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা।
এবারের বিপিএলে মোস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাস বাদে জাতীয় দলের আর কোনো বড় তারকাকে দলে নেয়নি কুমিল্লা। তবে বিদেশি খেলোয়াড় বাছাইয়ে অন্যদের চেয়ে মুনশিয়ানা দেখিয়েছে তারা। সুনীল নারাইন, ফাফ ডু প্লেসি, মঈন আলীদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে দলে ভেড়াতেও আছে সালাউদ্দিনের অবদান। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালে সুনীল নারাইনকে ওপেনিংয়ে খেলানোর পরিকল্পনাও তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
দলের সেরা তারকাদের চাপমুক্ত রাখতে অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেন ইমরুলের কাঁধে। সব মিলিয়ে মস্তিষ্কের খেলায় আবারও নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করেছেন সালাউদ্দিন। তবু কী নির্লিপ্ত তিনি! সব কৃতিত্ব দিয়েছেন শিষ্য, সহকর্মী ও স্বত্বাধিকারীকে, ‘একটা দল কখনো একক নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, মালিকপক্ষ—সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। আমরা শুরু থেকেই একসঙ্গে কাজ করছি। কোচিং প্যানেলে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। মালিকপক্ষ আমাদের পরিবারের সদস্য মনে করে। সম্মিলিত প্রয়াসেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। নিজের অনুভূতি কখনোই সেভাবে প্রকাশ করি না। এবারও ঠিক তাই। তবে অবশ্যই আমি খুশি।’
তর্ক সাপেক্ষে দেশের সেরা কোচ মানা হয় তাঁকে। সেটির ছাপও বারবার রেখেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বিপিএলেই যেমন তিনবার ফাইনালে উঠেছে তাঁর দল। একবারও শূন্য হাতে ফিরতে হয়নি তাঁকে। তিনবারই দলকে শিরোপা জিতিয়ে তবেই থেমেছেন। তৃতীয় শিরোপা জয়ের আনন্দ তো সবে শুরু। মিরপুরে গত রাতেই যে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে সালাউদ্দিনের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
২০১৫ সালে বিপিএলে অভিষেক হয় কুমিল্লার। সূচনালগ্ন থেকে দলটির কোচের দায়িত্বে আছেন তিনি। ২০১৫, ২০১৯, ২০২২—তিনটি শিরোপাই এসেছে তাঁর প্রশিক্ষণ আর কৌশলে।
আরেকটি জায়গায় সহজে আলাদা করা যায় সালাউদ্দিনকে। শিরোপার মঞ্চে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দেশের ক্রিকেটের আরেক নামী মস্তিষ্ক খালেদ মাহমুদ সুজন। লড়াইটা যতটা না কুমিল্লা-বরিশালের, তার চেয়ে বেশি ছিল সালাউদ্দিন-সুজনের। সে লড়াইয়ে আবারও বাজিমাত সালাউদ্দিনের। ২০১৯ সালে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে এই সালাউদ্দিনের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছিল সুজনকে। ওই ফাইনালে সুজনের সঙ্গে পরাজিত দলে ছিলেন আরেকজন—সাকিব আল হাসান। সেই কুমিল্লার সামনে আবারও সুজন-সাকিব জুটি; শুধু প্রতিপক্ষের নামটাই আলাদা। ঢাকার জায়গায় বরিশাল। নাম বদলালেও শিরোপা-ভাগ্য বদলাতে দেননি সালাউদ্দিন। দল গোছানো থেকে শুরু করে সবকিছুতে চাতুর্যের পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
মিরপুরে গত রাতে মাঠের লড়াইয়ের আড়ালে ছিল আরেকটি ‘ছায়া যুদ্ধ’। যুদ্ধটা বরিশাল ও কুমিল্লার দুই ‘মাস্টার মাইন্ড’ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও স্টিভ রোডসের মধ্যে। ডাগআউটের বুদ্ধিদীপ্ত খেলায় কোন পরামর্শক করবেন বাজিমাত, সেটিও দেখার অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। শেষমেশ বিদেশ থেকে উড়ে আসা রোডসই মস্তিষ্কের জটিল খেলায় জিতে গেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আগাগোড়া সবটাই জানা রোডসের। ২০১৯ বিশ্বকাপ তাঁর অধীনেই খেলেছে বাংলাদেশ। তবে বিপিএলে এবারই প্রথম কোনো দলের উপদেষ্টা হয়েছেন, জাতীয় দলকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাই ছিল তাঁর একমাত্র পুঁজি। রোডসকে ডাগআউটে বসানোর ক্ষেত্রেও সালাউদ্দিন রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা।
এবারের বিপিএলে মোস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাস বাদে জাতীয় দলের আর কোনো বড় তারকাকে দলে নেয়নি কুমিল্লা। তবে বিদেশি খেলোয়াড় বাছাইয়ে অন্যদের চেয়ে মুনশিয়ানা দেখিয়েছে তারা। সুনীল নারাইন, ফাফ ডু প্লেসি, মঈন আলীদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে দলে ভেড়াতেও আছে সালাউদ্দিনের অবদান। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালে সুনীল নারাইনকে ওপেনিংয়ে খেলানোর পরিকল্পনাও তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
দলের সেরা তারকাদের চাপমুক্ত রাখতে অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেন ইমরুলের কাঁধে। সব মিলিয়ে মস্তিষ্কের খেলায় আবারও নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করেছেন সালাউদ্দিন। তবু কী নির্লিপ্ত তিনি! সব কৃতিত্ব দিয়েছেন শিষ্য, সহকর্মী ও স্বত্বাধিকারীকে, ‘একটা দল কখনো একক নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, মালিকপক্ষ—সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। আমরা শুরু থেকেই একসঙ্গে কাজ করছি। কোচিং প্যানেলে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। মালিকপক্ষ আমাদের পরিবারের সদস্য মনে করে। সম্মিলিত প্রয়াসেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। নিজের অনুভূতি কখনোই সেভাবে প্রকাশ করি না। এবারও ঠিক তাই। তবে অবশ্যই আমি খুশি।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫