Ajker Patrika

পড়শি যখন তোতোরো

মোশারফ হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ৪১
পড়শি যখন তোতোরো

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাতসুয়ো কুসাকাবে তাঁর দুই মেয়ে সাতসুকি ও মেইকে নিয়ে গ্রামে এসেছেন। গ্রামের যে বাড়িটায় তাঁরা উঠেছেন, সেখানে বাস করত ছোট ছোট অদ্ভুত সব প্রাণী। বাড়ির এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করত তারা। সাতসুকি আর মেইদের আসার পর প্রাণীগুলো বাড়ি থেকে সরে গেছে। তারা বাস করে এখন পাশের ছোট বনে। রাত হলেই বেরিয়ে আসে। উড়তে থাকে গাছের ওপরে, এদিক-সেদিক।

মেই তার বাবাকে দেখাতে গেলে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। উধাও হয়ে যায় শূন্যে। মেই অদ্ভুতুড়ে বড় প্রাণীটার নাম দেয় তোতোরো।

এক রাতে বাবা তাতসুয়োর জন্য বাস স্টপেজে অপেক্ষা করছে সাতসুকি ও মেই। বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। হঠাৎ করে দেখা মেলে তোতোরোর। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে তোতোরোর হাতে ছোট্ট একটি গাছের পাতা। সাতসুকির মায়া হয়। সে তার বাবার জন্য আনা ছাতাটি দিয়ে দেয় তোতোরোকে। অমনি হঠাৎ করে একটি গাড়ির মতো দেখতে বিশালদেহী এক বিড়াল এসে তোতোরোকে নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সাতসুকিকে দিয়ে যায় কিছু বীজ আর বাদাম। সেই বীজগুলো বাড়ির পাশেই রোপণ করে তারা।

অন্য এক রাতে তোতোরো সঙ্গে করে পুঁচকে বাচ্চা নিয়ে আসে। সাতসুকি আর মেইকে নিয়ে বীজ যেখানে রোপণ করেছে, সেখানে নাচতে থাকে তারা। নাচের সঙ্গে সঙ্গে গাছগুলো বাড়তে থাকে। বড় হতে হতে বিশাল গাছে পরিণত হয় মুহূর্তেই। আবার সকালবেলা মিলিয়ে যায় শূন্যে। কী অদ্ভুত তাই না!

এমনি সব অদ্ভুত আর মজাদার জিনিস দেখতে দেরি না করে দেখে ফেলো জাপানিজ এনিমে ‘মাই নেইবার তোতোরো’। বিখ্যাত জাপানি শিশুতোষ চলচ্চিত্রকার হায়ো মিয়াজাকির এ ছবিটি মুক্তি পায় স্টুডিও জিবলি থেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত