সম্পাদকীয়
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পুণ্যময় জন্মদিন। আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে, এই দিনে আরবের মক্কায় জন্ম নেন তিনি। তাঁর জন্ম বিশ্বের বুকে ইতিহাসের বাঁক বদলে দেওয়া এক অনুপম জীবনাদর্শের সূর্যোদয়। তাঁর হাত ধরেই পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হয় এক নতুন জাতি, ধর্ম ও সভ্যতার নাম—ইসলাম ও মুসলমান। তাঁর আনীত আদর্শ মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ। তাই এই দিন মুসলিম উম্মাহর আনন্দিত হওয়ার দিন।
তাঁর ৬৩ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনের পুরোটাই মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিল। সমগ্র আরব যখন জাহেলিয়াতের ঘোর অন্ধকারে ডুবে ছিল, অশিক্ষা, কুসংস্কার, হানাহানি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন যখন চরমে পৌঁছেছিল, তখন হেদায়েতের আলোর প্রদীপ হাতে পৃথিবীতে আসেন তিনি; আলোকিত করেন তাঁর চারপাশ। এমন এক সোনালি প্রজন্ম তিনি তৈরি করে যান, যাদের হাত ধরে ইসলামের শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর আনাচকানাচে।
তিনি সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তাঁর পর আর কোনো নবী-রাসুল আসবেন না। তাই আল্লাহ তাঁকে পৃথিবীর সব মানুষের নবী ও রাসুল বানিয়ে পাঠান। এ লক্ষ্যে নবুয়তের মহান দায়িত্ব দেওয়ার আগেই তিনি তাঁকে নিখাদ সোনার মানুষে পরিণত করেন। পুরো বিশ্বের ত্রাণকর্তা হিসেবে একজন মানুষের মধ্যে যত গুণের সমাহার দরকার, তার সব কটিই তাঁকে দান করেন। আদব-আখলাক, মানবিক গুণাবলি ও উন্নত জীবনবোধে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হন।
তাই তো আমরা দেখি, নবুয়ত পাওয়ার আগেই আরবের মানুষ তাঁকে একবাক্যে আল আমিন বা বিশ্বস্ত হিসেবে মেনে নেয়। নবুয়ত পাওয়ার পর যখন মক্কার অধিকাংশ মানুষ তাঁর শত্রু হয়ে যায়, তাঁকে ও তাঁর মুষ্টিমেয় অনুসারীদের অকথ্য নির্যাতন চালাতে থাকে, তখনো সেই শত্রুরাই তাঁর কাছে নিজেদের মূল্যবান জিনিসপত্র আমানত রেখেছিল।
ভালোবাসা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব, ধৈর্য, ন্যায়বিচার ও শান্তির বার্তা দিয়েছেন তিনি পৃথিবীকে। মক্কার কষ্টের পর্ব শেষে মদিনায় তিনি এমন আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে কোনো ধরনের জুলুম ও বর্ণবৈষম্য ছিল না। মানুষের সব মৌলিক অধিকার তিনি নিশ্চিত করেন। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। দাস মুক্ত করেন। শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামের মহান আদর্শ প্রচারের যে দায়িত্ব মহান আল্লাহ তাঁকে দিয়েছেন, তা পালন করেই তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন।
আজকের পৃথিবী এক অস্থির সময় পার করছে। মুসলমানরা মহানবী (সা.)-এর আদর্শ ভুলে, নিজেদের সোনালি অতীত ভুলে বিভেদ, হানাহানি, হিংসা ও অসহিষ্ণুতা চর্চায় ব্যস্ত। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে তাঁর মহান জীবনাদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। তাঁর আনীত বার্তা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করে এবং মানুষের মাঝে ছড়িয়ে
দিয়ে বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করাই হোক পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর অঙ্গীকার।
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পুণ্যময় জন্মদিন। আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে, এই দিনে আরবের মক্কায় জন্ম নেন তিনি। তাঁর জন্ম বিশ্বের বুকে ইতিহাসের বাঁক বদলে দেওয়া এক অনুপম জীবনাদর্শের সূর্যোদয়। তাঁর হাত ধরেই পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হয় এক নতুন জাতি, ধর্ম ও সভ্যতার নাম—ইসলাম ও মুসলমান। তাঁর আনীত আদর্শ মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ। তাই এই দিন মুসলিম উম্মাহর আনন্দিত হওয়ার দিন।
তাঁর ৬৩ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনের পুরোটাই মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিল। সমগ্র আরব যখন জাহেলিয়াতের ঘোর অন্ধকারে ডুবে ছিল, অশিক্ষা, কুসংস্কার, হানাহানি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন যখন চরমে পৌঁছেছিল, তখন হেদায়েতের আলোর প্রদীপ হাতে পৃথিবীতে আসেন তিনি; আলোকিত করেন তাঁর চারপাশ। এমন এক সোনালি প্রজন্ম তিনি তৈরি করে যান, যাদের হাত ধরে ইসলামের শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর আনাচকানাচে।
তিনি সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তাঁর পর আর কোনো নবী-রাসুল আসবেন না। তাই আল্লাহ তাঁকে পৃথিবীর সব মানুষের নবী ও রাসুল বানিয়ে পাঠান। এ লক্ষ্যে নবুয়তের মহান দায়িত্ব দেওয়ার আগেই তিনি তাঁকে নিখাদ সোনার মানুষে পরিণত করেন। পুরো বিশ্বের ত্রাণকর্তা হিসেবে একজন মানুষের মধ্যে যত গুণের সমাহার দরকার, তার সব কটিই তাঁকে দান করেন। আদব-আখলাক, মানবিক গুণাবলি ও উন্নত জীবনবোধে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হন।
তাই তো আমরা দেখি, নবুয়ত পাওয়ার আগেই আরবের মানুষ তাঁকে একবাক্যে আল আমিন বা বিশ্বস্ত হিসেবে মেনে নেয়। নবুয়ত পাওয়ার পর যখন মক্কার অধিকাংশ মানুষ তাঁর শত্রু হয়ে যায়, তাঁকে ও তাঁর মুষ্টিমেয় অনুসারীদের অকথ্য নির্যাতন চালাতে থাকে, তখনো সেই শত্রুরাই তাঁর কাছে নিজেদের মূল্যবান জিনিসপত্র আমানত রেখেছিল।
ভালোবাসা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব, ধৈর্য, ন্যায়বিচার ও শান্তির বার্তা দিয়েছেন তিনি পৃথিবীকে। মক্কার কষ্টের পর্ব শেষে মদিনায় তিনি এমন আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে কোনো ধরনের জুলুম ও বর্ণবৈষম্য ছিল না। মানুষের সব মৌলিক অধিকার তিনি নিশ্চিত করেন। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। দাস মুক্ত করেন। শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামের মহান আদর্শ প্রচারের যে দায়িত্ব মহান আল্লাহ তাঁকে দিয়েছেন, তা পালন করেই তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন।
আজকের পৃথিবী এক অস্থির সময় পার করছে। মুসলমানরা মহানবী (সা.)-এর আদর্শ ভুলে, নিজেদের সোনালি অতীত ভুলে বিভেদ, হানাহানি, হিংসা ও অসহিষ্ণুতা চর্চায় ব্যস্ত। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে তাঁর মহান জীবনাদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। তাঁর আনীত বার্তা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করে এবং মানুষের মাঝে ছড়িয়ে
দিয়ে বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করাই হোক পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর অঙ্গীকার।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫