Ajker Patrika

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

সম্পাদকীয়
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ২২
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পুণ্যময় জন্মদিন। আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে, এই দিনে আরবের মক্কায় জন্ম নেন তিনি। তাঁর জন্ম বিশ্বের বুকে ইতিহাসের বাঁক বদলে দেওয়া এক অনুপম জীবনাদর্শের সূর্যোদয়। তাঁর হাত ধরেই পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হয় এক নতুন জাতি, ধর্ম ও সভ্যতার নাম—ইসলাম ও মুসলমান। তাঁর আনীত আদর্শ মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ। তাই এই দিন মুসলিম উম্মাহর আনন্দিত হওয়ার দিন।

তাঁর ৬৩ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনের পুরোটাই মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিল। সমগ্র আরব যখন জাহেলিয়াতের ঘোর অন্ধকারে ডুবে ছিল, অশিক্ষা, কুসংস্কার, হানাহানি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন যখন চরমে পৌঁছেছিল, তখন হেদায়েতের আলোর প্রদীপ হাতে পৃথিবীতে আসেন তিনি; আলোকিত করেন তাঁর চারপাশ। এমন এক সোনালি প্রজন্ম তিনি তৈরি করে যান, যাদের হাত ধরে ইসলামের শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর আনাচকানাচে।

তিনি সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তাঁর পর আর কোনো নবী-রাসুল আসবেন না। তাই আল্লাহ তাঁকে পৃথিবীর সব মানুষের নবী ও রাসুল বানিয়ে পাঠান। এ লক্ষ্যে নবুয়তের মহান দায়িত্ব দেওয়ার আগেই তিনি তাঁকে নিখাদ সোনার মানুষে পরিণত করেন। পুরো বিশ্বের ত্রাণকর্তা হিসেবে একজন মানুষের মধ্যে যত গুণের সমাহার দরকার, তার সব কটিই তাঁকে দান করেন। আদব-আখলাক, মানবিক গুণাবলি ও উন্নত জীবনবোধে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হন।

তাই তো আমরা দেখি, নবুয়ত পাওয়ার আগেই আরবের মানুষ তাঁকে একবাক্যে আল আমিন বা বিশ্বস্ত হিসেবে মেনে নেয়। নবুয়ত পাওয়ার পর যখন মক্কার অধিকাংশ মানুষ তাঁর শত্রু হয়ে যায়, তাঁকে ও তাঁর মুষ্টিমেয় অনুসারীদের অকথ্য নির্যাতন চালাতে থাকে, তখনো সেই শত্রুরাই তাঁর কাছে নিজেদের মূল্যবান জিনিসপত্র আমানত রেখেছিল।

ভালোবাসা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব, ধৈর্য, ন্যায়বিচার ও শান্তির বার্তা দিয়েছেন তিনি পৃথিবীকে। মক্কার কষ্টের পর্ব শেষে মদিনায় তিনি এমন আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে কোনো ধরনের জুলুম ও বর্ণবৈষম্য ছিল না। মানুষের সব মৌলিক অধিকার তিনি নিশ্চিত করেন। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। দাস মুক্ত করেন। শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামের মহান আদর্শ প্রচারের যে দায়িত্ব মহান আল্লাহ তাঁকে দিয়েছেন, তা পালন করেই তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন।

আজকের পৃথিবী এক অস্থির সময় পার করছে। মুসলমানরা মহানবী (সা.)-এর আদর্শ ভুলে, নিজেদের সোনালি অতীত ভুলে বিভেদ, হানাহানি, হিংসা ও অসহিষ্ণুতা চর্চায় ব্যস্ত। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে তাঁর মহান জীবনাদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। তাঁর আনীত বার্তা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করে এবং মানুষের মাঝে ছড়িয়ে 
দিয়ে বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করাই হোক পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর অঙ্গীকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজীপুরে রাস্তা বন্ধ করে চলাচল করা সেই পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার

জামায়াত আমিরের বাসায় জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠক, পিআর নিয়ে অনড় অবস্থান

মির্জাপুরে বিএনপি নেতার পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, গুলি, এক শ্রমিক নিহত

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইবরাহিমের নাম বাদ দিতে ইসিকে চিঠি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত