Ajker Patrika

বিদ্রোহে পুড়ছে আওয়ামী লীগ

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৫০
বিদ্রোহে পুড়ছে আওয়ামী লীগ

বিএনপিসহ অন্যান্য দল সরাসরি ভোটে অংশ না নেওয়ায় অনেকটাই ফাঁকা মাঠ পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে ফাঁকা মাঠেও হোঁচট খাচ্ছে দলটি। বিদ্রোহী হয়েছেন খোদ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের আপন ভাই, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্যের ভাগনে।

দলের নেতা কর্মীরা বলছেন, প্রার্থী নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন অনেকে। যে কারণে অনেক জায়গায় নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ ইউপিতে আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নবীগঞ্জের উপজেলাতে বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে আওয়ামী লীগ। আর সেই আগুনে ঘি ঢালছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিএনপি। উপজেলার ১৩টি ইউপির মধ্যে ৮ টিতেই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ দলের নেতা–কর্মীরা। শুধু তাই নয়, খোদ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজেই হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদকের আপন ছোট ভাইও বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গজনাইপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সাবের আহমেদকে। তবে নৌকা ডুবোতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইমদাদুর রহমান মুকুল।

অন্যদিকে, নবীগঞ্জ সদর ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর আপন ছোট ভাই ইউপি আওয়ামী লীগের সদস্য সাজু আহমেদ চৌধুরী বিদ্রোহী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এখানে নৌকার প্রার্থী মো. হাবীবুর রহমান।

বিদ্রোহী হয়েছেন নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাস রানাও। করগাঁও ইউপিতে নৌকার প্রার্থী বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তিনি।

এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুশফিক হোসেন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরাও। বাউসা ইউপিতে আবু সিদ্দিকের নৌকা ডুবোতে মরিয়া মুশফিক চৌধুরীর ভাগনে জুনেদ হোসেন চৌধুরী।

পূর্ব বড়ভাকৈর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মো. আক্তার মিয়ার বিপক্ষে বিদ্রোহী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. খালেদ মোশারফ ও সাবেক চেয়ারম্যান মেহের আলী মালদার এবং ইনাতগঞ্জ ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আছাবুর রহমান জীবনকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. সায়েদ উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা মো. নোমান হোসেন।

কুর্শী ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আহমেদ মুসাকে বিদ্রোহী ঘোষণা করেছেন কৃষক লীগ নেতা ও লন্ডনপ্রবাসী মো. আব্দুল মুকিত।

এ ছাড়া কালিয়ারভাঙ্গা ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ফরহাদ আহমেদের বিপক্ষে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ নেতা ইমদাদুল হক চৌধুরী। বিদ্রোহী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মা. ইমদাদুর রহমান মুকুল বলেন, ‘এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে খুবই দুর্বল প্রার্থীকে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারা আমার কথা শুনেননি। আমি নির্বাচন না করলে এই ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয়ে যাবে। তাই আমি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছি।’

নিজের আপ ভাই কেন বিদ্রোহী হলো, জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। যে কারণে সব ইউনিয়নেই বিদ্রোহী হচ্ছে। আমি আমার ভাইকে বিদ্রোহী না হওয়ার জন্য নিষেধ করেছি। কিন্তু সে আমার কথা শোনেননি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ১৪ হাজার টাকা

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজীর বিষয়ে ইলন মাস্কের মন্তব্যে বিস্ময়

অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করল সরকার

যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল বোঝার ভুলের খেসারত দিচ্ছে ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত