Ajker Patrika

নানির আদরেই ক্রিকেটে তানভীর

লাইছ ত্বোহা, ঢাকা
নানির আদরেই ক্রিকেটে তানভীর

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো বিদেশি সতীর্থ রীতিমতো প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তানভীর ইসলামকে। এমন প্রশংসা অবশ্য তিনি আগেও শুনেছেন।

এই বিপিএলে তানভীর নিজেকে আরেকটু ছাড়িয়ে গেছেন। ১২ ম্যাচে ৬ দশমিকে ৩৬ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। আগের বিপিএলেও কুমিল্লার হয়ে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট।

বিপিএলের পর বিসিবির স্পিন ক্যাম্প শেষে গতকাল তানভীর ছুটলেন বরিশালে, বাড়িতে। মা-বাবা একসময় চেয়েছিলেন, ছেলে প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট কোনো পেশায়, না হয় পুলিশ কর্মকর্তা হবেন। তাঁরা অবশ্য এই তানভীরকে দেখেই খুশি। গতকাল আজকের পত্রিকাকে তানভীর বলছিলেন, ‘আমার পারফরম্যান্সে পরিবারের সবাই খুশি। বিশেষ করে আব্বু-আম্মু অনেক খুশি।’

তানভীরের ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে বড় অবদান মা-বাবার ‘চাকরি’। কীভাবে? তানভীরের কাছ থেকেই শোনা যাক, ‘আব্বু-আম্মু দুজনই চাকরি করতেন। বেশির ভাগ সময় নানুর (নানি) কাছেই থাকতাম। যেহেতু আশপাশে কেউ ছিল না (শাসন করার মতো), ব্যাট-বল নিয়েই পড়ে থাকতাম। আর প্রতি মাসে ব্যাট-বল কিনে দিতে নানুর কাছে বায়না ধরতাম। নানু কিনে দিতেন। পরিবারের প্রথম নাতি ছিলাম আমি। অনেক আদর-ভালোবাসাও ছিল।’

তবে বাবার ভাবনা ছিল ভিন্ন। ছেলেকে তিনি ভিন্ন স্বপ্নই দেখেছেন। তানভীর বললেন, ‘২০১৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর সাধারণ আর প্রযুক্তিগত বিদ্যা নিয়ে বাবা একটা ধারণা দিলেন। বুঝিয়েছিলেন, প্রযুক্তি খাতে চাকরি পাওয়া তুলনামূলক সহজ। তবে তাঁর বেশি আগ্রহ ছিল পুলিশের চাকরিতে, যেন চেষ্টা করি (পুলিশ কর্মকর্তা হতে)।’

প্রতি মাসে ব্যাট-বল কিনে দিতে নানুর কাছে বায়না ধরতাম। নানু কিনে দিতেন। পরিবারের প্রথম নাতি ছিলাম আমি। অনেক আদর-ভালোবাসাও ছিল।

বাবার পছন্দের প্রযুক্তিখাত বা পুলিশ নয়, তানভীর স্বপ্নের জাল বুনেছেন শুধু ক্রিকেটকে ঘিরে। ‘আব্বুকে কিছু বলার সাহস ছিল না। তখন নানুকে বলেছিলাম, আব্বুকে বলো যে শুধু ক্রিকেট খেলব। পরে নানু আব্বুকে বলল, তুমি তাকে এক-দুই বছর সময় দাও। দেখ কী হয়’—বলছিলেন তানভীর।

তানভীর তাঁর স্বপ্নপূরণের পথে বেশ এগিয়েছেন। বিপিএলে আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারাইন, রিজওয়ান ও মঈন আলীদের সঙ্গে একই দলের হয়ে খেলছেন। বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেনও। বললেন, ‘মঈন ভাইয়ের কাছ থেকে ওভার স্পিন অ্যাঙ্গেলটা শিখেছি। এটা পারতাম। কিন্তু টানা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সাইড স্পিন করতে করতে ওভার স্পিন ভুলে গিয়েছি। মঈন ভাইকে বলেছি, তিনি আমাকে অ্যাঙ্গেলটা শিখিয়ে দিয়েছেন।’

বিপিএলে ধারাবাহিক ভালো করে নিজেকে অন্যভাবে চিনিয়ে তানভীরের চোখে এখন একটাই স্বপ্ন, যদি খোলে জাতীয় দলের দুয়ার। যদি সুযোগ মেলে লাল-সবুজ জার্সির জন্য সবটা নিংড়ে দিতে চান তানভীর, ‘নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করব। নিজের সেরাটা দিতেও পারব, ইনশা আল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্যকলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

গভর্নর আমাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার কে: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুল

সেই রুহুল আমিনের বসুন্ধরা, বনানী ও উত্তরার জমিসহ ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে বিয়ে

ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনেই জয়ী হবে জামায়াত: মাওলানা হালিম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত