আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে কর অব্যাহতি দেয়। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের পণ্য আমদানি করে তা বাজারজাত শুরু করেন। তাই নিম্নমানের যন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পণ্যের মান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশে বিপুল পরিমাণ সৌর যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে, যার অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা। এ কারণে সৌর যন্ত্রাংশ বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় জায়গা পেয়েছে। তবে আমদানি নীতি আদেশে (২০১৫-১৮) সৌর যন্ত্রাংশ বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় না থাকায় আমদানিকারকেরা সেগুলো সহজেই ছাড় করিয়ে বাজারজাত করছেন। এগুলোর মান প্রণয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে না বিএসটিআই।
আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ অনুযায়ী বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের আওতায় ২২৯টি পণ্যের মধ্যে আছে মাত্র ৫৫টি। অর্থাৎ ৫৫টি পণ্য আমদানির পর কাস্টমস থেকে ছাড় করাতে হলে বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র নিতে হয়। তবে সৌর যন্ত্রাংশের সরঞ্জাম যেমন সোলার মডিউল বা প্যানেল, সব ধরনের ইনভার্টার, ইনভার্টার গ্রিড-টাইড, চার্জার কন্ট্রোলার ও ব্যাটারি এর অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে দেশের বাজারে নিম্নমানের পণ্য সহজেই ঢুকছে। এ জন্য বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে এই চারটি যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি নীতি আদেশে বাধ্যতামূলক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের মান প্রণয়ন, পরীক্ষণ, লাইসেন্স প্রদান ও মান নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণের দায়িত্বে রয়েছে বিএসটিআই। আইন অনুযায়ী এসআরও জারির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২২৯টি পণ্য দেশের ভেতরে বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থ বিবেচনায় দেশে মানসম্পন্ন সৌর যন্ত্রাংশ আমদানি এবং বাজারজাত নিশ্চিতকল্পে পরবর্তী আমদানি নীতি আদেশে চারটি সৌর যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এসব সৌর যন্ত্রাংশ যদি নিম্নমানের হয় তাহলে উদ্যোক্তা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অপরদিকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবেন না। এতে জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ বাড়বে। এ জন্য দেশে যাতে নিম্নমানের সৌর যন্ত্রাংশ আমদানি না হয়, সে জন্য এসব যন্ত্রাংশ আমদানি নীতি আদেশে বাধ্যতামূলক করার দরকার।
জানা গেছে, সোলার প্যানেল বাড়িতে স্থাপন যেমন সহজ তেমনি সাশ্রয়ীও। মূলত সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যের আলো থেকে শক্তি আহরণ করে তা বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হয়। তারপর সেই বিদ্যুৎ দিয়ে বাতি, পাখা, টেলিভিশন চালানো হয়। দেশের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বা ঘাটতি আছে, সেখানেই সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। শুধু বাসা নয়, বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার করা যায় এই সোলার প্যানেল।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সোলার বিদ্যুতের সুবিধা হলো, এ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কখনো ঘাটতি হয় না। প্যানেল স্থাপনের পর বিদ্যুতের কোনো বিল দিতে হয় না। বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না। সোলার প্যানেল রক্ষণাবেক্ষণ করা খুব সহজ এবং পরিবেশদূষণ করে না। এ ছাড়া প্যানেলের দীর্ঘস্থায়িত্ব বেশি, তাই অনেক বছর ব্যবহার করা যায়।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) নুরুল ইসলাম বলেন, সৌরযন্ত্রাংশ বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক পণ্য হলেও আমদানি নীতি আদেশে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। তবে এটি বাধ্যতামূলক করা হলে দেশে নিম্নমানের সৌরযন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধ হবে। বিশেষ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনো যন্ত্রাংশ ঢুকতে পারবে না।
দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে কর অব্যাহতি দেয়। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের পণ্য আমদানি করে তা বাজারজাত শুরু করেন। তাই নিম্নমানের যন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পণ্যের মান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশে বিপুল পরিমাণ সৌর যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে, যার অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা। এ কারণে সৌর যন্ত্রাংশ বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় জায়গা পেয়েছে। তবে আমদানি নীতি আদেশে (২০১৫-১৮) সৌর যন্ত্রাংশ বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় না থাকায় আমদানিকারকেরা সেগুলো সহজেই ছাড় করিয়ে বাজারজাত করছেন। এগুলোর মান প্রণয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে না বিএসটিআই।
আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ অনুযায়ী বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের আওতায় ২২৯টি পণ্যের মধ্যে আছে মাত্র ৫৫টি। অর্থাৎ ৫৫টি পণ্য আমদানির পর কাস্টমস থেকে ছাড় করাতে হলে বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র নিতে হয়। তবে সৌর যন্ত্রাংশের সরঞ্জাম যেমন সোলার মডিউল বা প্যানেল, সব ধরনের ইনভার্টার, ইনভার্টার গ্রিড-টাইড, চার্জার কন্ট্রোলার ও ব্যাটারি এর অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে দেশের বাজারে নিম্নমানের পণ্য সহজেই ঢুকছে। এ জন্য বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে এই চারটি যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি নীতি আদেশে বাধ্যতামূলক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের মান প্রণয়ন, পরীক্ষণ, লাইসেন্স প্রদান ও মান নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণের দায়িত্বে রয়েছে বিএসটিআই। আইন অনুযায়ী এসআরও জারির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২২৯টি পণ্য দেশের ভেতরে বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থ বিবেচনায় দেশে মানসম্পন্ন সৌর যন্ত্রাংশ আমদানি এবং বাজারজাত নিশ্চিতকল্পে পরবর্তী আমদানি নীতি আদেশে চারটি সৌর যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এসব সৌর যন্ত্রাংশ যদি নিম্নমানের হয় তাহলে উদ্যোক্তা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অপরদিকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবেন না। এতে জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ বাড়বে। এ জন্য দেশে যাতে নিম্নমানের সৌর যন্ত্রাংশ আমদানি না হয়, সে জন্য এসব যন্ত্রাংশ আমদানি নীতি আদেশে বাধ্যতামূলক করার দরকার।
জানা গেছে, সোলার প্যানেল বাড়িতে স্থাপন যেমন সহজ তেমনি সাশ্রয়ীও। মূলত সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যের আলো থেকে শক্তি আহরণ করে তা বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হয়। তারপর সেই বিদ্যুৎ দিয়ে বাতি, পাখা, টেলিভিশন চালানো হয়। দেশের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বা ঘাটতি আছে, সেখানেই সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। শুধু বাসা নয়, বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার করা যায় এই সোলার প্যানেল।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সোলার বিদ্যুতের সুবিধা হলো, এ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কখনো ঘাটতি হয় না। প্যানেল স্থাপনের পর বিদ্যুতের কোনো বিল দিতে হয় না। বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না। সোলার প্যানেল রক্ষণাবেক্ষণ করা খুব সহজ এবং পরিবেশদূষণ করে না। এ ছাড়া প্যানেলের দীর্ঘস্থায়িত্ব বেশি, তাই অনেক বছর ব্যবহার করা যায়।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) নুরুল ইসলাম বলেন, সৌরযন্ত্রাংশ বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক পণ্য হলেও আমদানি নীতি আদেশে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। তবে এটি বাধ্যতামূলক করা হলে দেশে নিম্নমানের সৌরযন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধ হবে। বিশেষ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনো যন্ত্রাংশ ঢুকতে পারবে না।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫