Ajker Patrika

বিয়ে বরকতময় ইবাদত

সাইফুল্লাহ ইবনে ইব্রাহিম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২২, ১৫: ১৫
বিয়ে বরকতময় ইবাদত

ইসলামে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈধ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যম বিয়ে। সামাজিক জটিলতার কারণে যথাসময়ে বিয়ে করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এতে করে সমাজে যৌন অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনসহ বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত হচ্ছে। সন্তানদের পাপাচার থেকে বাঁচাতে এবং অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর: ৩২)

বিয়ে বরকতময় ইবাদত। বিয়ের পরের সময়ের রিজিকের ভয়ে তা থেকে বিরত থাকা অনুচিত। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফতি তাকি উসমানি বলেন, ‘এ আয়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ যদি বিয়ের উপযুক্ত হয়, তবে অভিভাবকদের উচিত তাদের বিয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে বর্তমান সামর্থ্যই যথেষ্ট। বিয়ের পর স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে সে অভাবে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কা অমূলক। চরিত্র রক্ষার জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করে বিয়ে দিলে অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের জন্য আল্লাহ তাআলা উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা করে দেবেন।’

অবশ্য, যাদের হাতে বিয়ে করার সামর্থ্যই নেই এবং অসচ্ছল দিনাতিপাত করছে, তাদের করণীয় সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যতক্ষণ না তাদের সামর্থ্য দান করেন, ততক্ষণ তারা সংযম অবলম্বন করবে এবং নিজ চরিত্র রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে।’ (সুরা নুর: ৩৩) মহানবী (সা.) বলেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। অতএব যে আমার সুন্নত পালন থেকে বিরত থাকবে, সে আমার অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (ইবনে মাজাহ)

লেখক: সাইফুল্লাহ ইবনে ইব্রাহিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত