সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
প্রায় সাড়ে চার বছর সমীক্ষা করে দেশের ৪৮টি নদীর দখলদারদের নামের তালিকা করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এ সমীক্ষায় নদীর তীরবর্তী এলাকা দখল করে রাখা ৩৭ হাজার ৩৯৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু যথাযথভাবে সমীক্ষা হয়নি দাবি করে দখলদারদের নাম প্রকাশ করতে চাইছে না নদী রক্ষা কমিশন। ফলে গচ্চা যাচ্ছে প্রকল্পটির জন্য ব্যয় করা ৩৩ কোটি টাকা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুনে ‘নদীদূষণ ও অবৈধ দখলদারি থেকে ৪৮ নদী রক্ষা’ নামের এ সমীক্ষার কাজ শুরু করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। গত ৩১ ডিসেম্বরে সমীক্ষার প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। তবে প্রতিবেদনে দখলদারদের নাম প্রকাশকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন কমিশন ও প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা।
আদালতের রায় এবং যথাযথ আইন অনুযায়ী সমীক্ষা হয়নি দাবি করে নদী দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করতে চাইছে না কমিশন। অন্যদিকে তালিকায় অনেক প্রভাবশালীদের নাম থাকায় কমিশন তা প্রকাশ করতে চাইছে না বলে দাবি প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের।
সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল ও ঝালকাঠি এলাকার কীর্তনখোলা নদীতে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৭০৭টি অবৈধ স্থাপনা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বুড়িগঙ্গা নদীতে ৮৯৪টি, ধলেশ্বরীতে ৮৮৬, তুরাগ নদে ৬৬১, শীতলক্ষ্যায় ৪৬৮, করতোয়ায় ৮০৭, কক্সবাজারের বাঁকখালীতে ২১৮, গোমতীতে ২ হাজার ১২০, কর্ণফুলীতে ২ হাজার ৪৯৩ ও সাঙ্গু নদীতে ৩৩৩টি স্থাপনা পাওয়া গেছে। বাকি নদীগুলোর তীরবর্তী এলাকাতেই প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা পাওয়া গেছে।
সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমার আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় নদীর দখলদার এবং ১০ মিটারের মধ্যে নির্মিত স্থাপনার নাম চূড়ান্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয় নদী রক্ষা কমিশন। এ সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, সদস্য মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান ও নির্বাহী পরিচালক মনজুরুল কাদের তালিকা না প্রকাশের পক্ষে মত দেন। তাঁদের যুক্তি, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সমীক্ষা করায় এটি প্রকাশ করলে আইনি ও প্রশাসনিক সমস্যা হতে পারে।
সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ইকরামুল হক বলেন, ‘প্রকল্পের শুরু থেকেই টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী কাজ হয়েছে। উনি (কমিশনের চেয়ারম্যান) হয়তো মনে করছেন, তালিকায় অনেকে আছে, যাদের নাম প্রকাশ করলে ওনার অসুবিধা হবে। তালিকায় অবৈধ স্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নাম তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি, সেখানে স্থাপনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব নাম সংগ্রহ করাও কঠিন। যাদের নাম আছে, তারা সবাই প্রভাবশালী।’
কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবেদনে কিছু ভুলভ্রান্তি আছে। সেগুলো সংশোধন করে স্থাপনার নামসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পের লোকেরা সুবিধার জন্য পানি আইনের ভিত্তিতে কাজ করেছে। এটা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী সিএস খতিয়ান ধরে কাজ করার কথা ছিল।
কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার দায়িত্বে থাকাকালীন এ প্রকল্প শুরু হয়। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান আইনের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সমীক্ষায় আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সিএস, আরএস খতিয়ানসহ পানি আইন, বন্দর আইন ও ভূমি আইনের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। এমনকি জিপিএসের ভিত্তিতে নদীর সীমানা নির্ধারণের জন্য মহাকাশবিষয়ক গবেষণা সংস্থা স্পারসোর সহযোগিতা নিয়েছে প্রকল্পের কর্মীরা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নদীর দখলদার মানে নদীর পাড়, প্রবাহ, ফোরশোরের ওপর দখলদার। যতটুকু জেনেছি, সমীক্ষাটি নদীর পাড় ও ফোরশোর দখলদারদের ওপরে করা হয়েছে। প্রকল্পের শেষে এসে কমিশন বলছে, এটা ঠিকভাবে করা হয়নি। জনগণের টাকা তো এভাবে হেসেখেলে নষ্ট করার বিষয় না।’
প্রায় সাড়ে চার বছর সমীক্ষা করে দেশের ৪৮টি নদীর দখলদারদের নামের তালিকা করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এ সমীক্ষায় নদীর তীরবর্তী এলাকা দখল করে রাখা ৩৭ হাজার ৩৯৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু যথাযথভাবে সমীক্ষা হয়নি দাবি করে দখলদারদের নাম প্রকাশ করতে চাইছে না নদী রক্ষা কমিশন। ফলে গচ্চা যাচ্ছে প্রকল্পটির জন্য ব্যয় করা ৩৩ কোটি টাকা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুনে ‘নদীদূষণ ও অবৈধ দখলদারি থেকে ৪৮ নদী রক্ষা’ নামের এ সমীক্ষার কাজ শুরু করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। গত ৩১ ডিসেম্বরে সমীক্ষার প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। তবে প্রতিবেদনে দখলদারদের নাম প্রকাশকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন কমিশন ও প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা।
আদালতের রায় এবং যথাযথ আইন অনুযায়ী সমীক্ষা হয়নি দাবি করে নদী দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করতে চাইছে না কমিশন। অন্যদিকে তালিকায় অনেক প্রভাবশালীদের নাম থাকায় কমিশন তা প্রকাশ করতে চাইছে না বলে দাবি প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের।
সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল ও ঝালকাঠি এলাকার কীর্তনখোলা নদীতে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৭০৭টি অবৈধ স্থাপনা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বুড়িগঙ্গা নদীতে ৮৯৪টি, ধলেশ্বরীতে ৮৮৬, তুরাগ নদে ৬৬১, শীতলক্ষ্যায় ৪৬৮, করতোয়ায় ৮০৭, কক্সবাজারের বাঁকখালীতে ২১৮, গোমতীতে ২ হাজার ১২০, কর্ণফুলীতে ২ হাজার ৪৯৩ ও সাঙ্গু নদীতে ৩৩৩টি স্থাপনা পাওয়া গেছে। বাকি নদীগুলোর তীরবর্তী এলাকাতেই প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা পাওয়া গেছে।
সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমার আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় নদীর দখলদার এবং ১০ মিটারের মধ্যে নির্মিত স্থাপনার নাম চূড়ান্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয় নদী রক্ষা কমিশন। এ সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, সদস্য মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান ও নির্বাহী পরিচালক মনজুরুল কাদের তালিকা না প্রকাশের পক্ষে মত দেন। তাঁদের যুক্তি, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সমীক্ষা করায় এটি প্রকাশ করলে আইনি ও প্রশাসনিক সমস্যা হতে পারে।
সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ইকরামুল হক বলেন, ‘প্রকল্পের শুরু থেকেই টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী কাজ হয়েছে। উনি (কমিশনের চেয়ারম্যান) হয়তো মনে করছেন, তালিকায় অনেকে আছে, যাদের নাম প্রকাশ করলে ওনার অসুবিধা হবে। তালিকায় অবৈধ স্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নাম তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি, সেখানে স্থাপনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব নাম সংগ্রহ করাও কঠিন। যাদের নাম আছে, তারা সবাই প্রভাবশালী।’
কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবেদনে কিছু ভুলভ্রান্তি আছে। সেগুলো সংশোধন করে স্থাপনার নামসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পের লোকেরা সুবিধার জন্য পানি আইনের ভিত্তিতে কাজ করেছে। এটা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী সিএস খতিয়ান ধরে কাজ করার কথা ছিল।
কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার দায়িত্বে থাকাকালীন এ প্রকল্প শুরু হয়। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান আইনের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সমীক্ষায় আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সিএস, আরএস খতিয়ানসহ পানি আইন, বন্দর আইন ও ভূমি আইনের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। এমনকি জিপিএসের ভিত্তিতে নদীর সীমানা নির্ধারণের জন্য মহাকাশবিষয়ক গবেষণা সংস্থা স্পারসোর সহযোগিতা নিয়েছে প্রকল্পের কর্মীরা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নদীর দখলদার মানে নদীর পাড়, প্রবাহ, ফোরশোরের ওপর দখলদার। যতটুকু জেনেছি, সমীক্ষাটি নদীর পাড় ও ফোরশোর দখলদারদের ওপরে করা হয়েছে। প্রকল্পের শেষে এসে কমিশন বলছে, এটা ঠিকভাবে করা হয়নি। জনগণের টাকা তো এভাবে হেসেখেলে নষ্ট করার বিষয় না।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪