Ajker Patrika

হাওরে হচ্ছে ১৫ কিলোমিটার উড়ালসড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০: ১০
হাওরে হচ্ছে ১৫ কিলোমিটার উড়ালসড়ক

কিশোরগঞ্জের হাওরে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন উড়ালসড়ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। গতকাল মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রকল্পের ব্যয় কমানো এবং তা যথাসময়ে শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে অনুমোদিত প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনাসচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। সভায় উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় বন্ধ নয় বরং সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দ্রুত কাজ করেন, খরচ কম করেন। তবে খরচ বন্ধ করা যাবে না। একান্ত প্রয়োজনীয় ব্যয় করতেই হবে। কাজ দ্রুত করতে, একই সঙ্গে কাজের মান বাড়াতে এবং দেশে উৎপাদন বাড়াতে বলছেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্পূর্ণ সরকারি খরচে কিশোরগঞ্জের হাওরে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার উড়ালসড়ক নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর হতে মিঠামইন সেনানিবাসকে সংযুক্ত করে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি পর্যন্ত হাওরের ওপর দিয়ে উড়ালসড়কটি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে। ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও শেষ মুহূর্তে নতুন কাজ যুক্ত হওয়ায় কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খরচ বেড়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের সংশোধনীর ফলে নির্মাণের খরচ বেড়ে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা হয়েছে। প্রকল্পটি শেষ করার সময় ছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই নদে নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ১৩৩ কোটি টাকা। বরিশালের কারখানা বিঘাই নদ এবং পায়রা নদীর ভাঙন থেকে শেখ হাসিনা সেনানিবাস এলাকা রক্ষা প্রকল্পে ব্যয় ৬৭৬ কোটি টাকা। ঢাকার দোহারের মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ব্যয় ৫২৮ কোটি বেড়েছে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় ছোট দ্বীপ এবং নদীর চরের জন্য অভিযোজন উদ্যোগ প্রকল্প ব্যয় ৭৭ কোটি টাকা। মাতারবাড়ী কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ৩৬৪ কোটি টাকা বেড়ে ১ হাজার ২৪ কোটি টাকা হয়েছে। এস্টাবলিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিজট্রিজ অ্যান্ড সেফলি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টারগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম প্রকল্পে ব্যয় ৯২ কোটি টাকা বেড়েছে। ২৫টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্পের ব্যয় হবে ২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট ফেজ-২ খুলনা প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৯১ কোটি টাকা।

ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্পের ব্যয় ৯৯ কোটি টাকা বেড়ে ২ হাজার ১৭১ কোটি টাকা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত