সম্পাদকীয়
পথের পাঁচালী ছবিটি তৈরি হওয়ার আগে কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৈয়দ মুজতবা আলীর দেখা হয় এক আড্ডায়। সেই আড্ডায় অন্যদের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ও উপস্থিত থাকতেন। কফি হাউসের সেই আড্ডায় সৈয়দ মুজতবা আলীকে ডেকে এনেছিলেন পরিচিত শাটুল বাবু।
আড্ডার শুরুতেই সবার মন জয় করার জন্য একটা অশ্লীল গল্প ফেঁদে বসেছিলেন আলী সাহেব। তিনি কখনো গল্প করার সময় ছোট-বড়র ধার ধারতেন না।কিছুক্ষণের মধ্যেই কুমারপ্রসাদকে আপনি থেকে নামিয়ে আনলেন তুই-এ। কুমারপ্রসাদ যখন কথা বলতে গিয়ে ‘গুষ্টিসুখ’ শব্দটি ব্যবহার করলেন, তখন মুজতবা আলী বললেন, ‘মনে হচ্ছে তুই মুজতবা আলীর বই পড়েছিস?’
তারপর আড্ডার অন্য সবার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তোমরাও পড়েছ “দেশে বিদেশে?” তাই পাবলিশার আমাকে বলেছিল আমার বই ছ কপি বিক্রি হয়েছে।’ এরপর আড্ডায় উপস্থিত প্রত্যেককে গুনে দেখলেন ছজনই আছে! সত্যজিৎ রায়কে বললেন, ‘তুমি তো মস্ত বড় বাপের ছেলে। ওই শতরঞ্জি মলাটের হ-য-ব-র-ল আর তোমার বাপের ছবি আঁকা আবোলতাবোলের প্রচ্ছদ বদলালে কেন ভাই?’
কুমারপ্রসাদকে বললেন, ‘তোর বাবা তো (ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) ভরত মুনি শার্ঙ্গদেবের পরই সংগীতজগতের বিখ্যাত অথোরিটি। গুরুদেব পর্যন্ত মানতেন, তা ওই নভেল তিনটে লিখতে গেল কেন? বাপরে! ঘেমে-নেয়ে বিষম খেয়ে ঘটি ঘটি জলটল খেয়ে শেষ করেছিলাম কোনোক্রমে। তুই লিখিস?’ ‘না।’
‘যদি লিখিস তো আনাতোল ফ্রাঁসের কথা মনে রাখবি, “ইফ ইউ ওয়ান্ট টু রিচ পস্টারিটি, ট্রাভেল লাইট”।’
একবার অন্নদাশঙ্কর রায়ের বাড়িতে গেছেন আলী সাহেব। অন্নদাশঙ্করের আমেরিকান স্ত্রী লীলা রায় তখন বাঙালি হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আলী সাহেব দেখলেন তিনি নিড়েন নিয়ে ফুলগাছের তলাগুলো খোঁচাতে ব্যস্ত। জিজ্ঞেস করলেন, ‘মিস্টার রায় বাড়ি আছেন?’
লীলা রায় বললেন, ‘তিনি এখন সৃষ্টির কাজে ব্যাপৃটো আছেন।’
আলী সাহেব বললেন, ‘তাহলে আ–আপনি এখানে বাইরে কী করছেন মিসেস রায়?’
সূত্র: কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মেহফিল, পৃষ্ঠা ৩১–৩৫
পথের পাঁচালী ছবিটি তৈরি হওয়ার আগে কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৈয়দ মুজতবা আলীর দেখা হয় এক আড্ডায়। সেই আড্ডায় অন্যদের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ও উপস্থিত থাকতেন। কফি হাউসের সেই আড্ডায় সৈয়দ মুজতবা আলীকে ডেকে এনেছিলেন পরিচিত শাটুল বাবু।
আড্ডার শুরুতেই সবার মন জয় করার জন্য একটা অশ্লীল গল্প ফেঁদে বসেছিলেন আলী সাহেব। তিনি কখনো গল্প করার সময় ছোট-বড়র ধার ধারতেন না।কিছুক্ষণের মধ্যেই কুমারপ্রসাদকে আপনি থেকে নামিয়ে আনলেন তুই-এ। কুমারপ্রসাদ যখন কথা বলতে গিয়ে ‘গুষ্টিসুখ’ শব্দটি ব্যবহার করলেন, তখন মুজতবা আলী বললেন, ‘মনে হচ্ছে তুই মুজতবা আলীর বই পড়েছিস?’
তারপর আড্ডার অন্য সবার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তোমরাও পড়েছ “দেশে বিদেশে?” তাই পাবলিশার আমাকে বলেছিল আমার বই ছ কপি বিক্রি হয়েছে।’ এরপর আড্ডায় উপস্থিত প্রত্যেককে গুনে দেখলেন ছজনই আছে! সত্যজিৎ রায়কে বললেন, ‘তুমি তো মস্ত বড় বাপের ছেলে। ওই শতরঞ্জি মলাটের হ-য-ব-র-ল আর তোমার বাপের ছবি আঁকা আবোলতাবোলের প্রচ্ছদ বদলালে কেন ভাই?’
কুমারপ্রসাদকে বললেন, ‘তোর বাবা তো (ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) ভরত মুনি শার্ঙ্গদেবের পরই সংগীতজগতের বিখ্যাত অথোরিটি। গুরুদেব পর্যন্ত মানতেন, তা ওই নভেল তিনটে লিখতে গেল কেন? বাপরে! ঘেমে-নেয়ে বিষম খেয়ে ঘটি ঘটি জলটল খেয়ে শেষ করেছিলাম কোনোক্রমে। তুই লিখিস?’ ‘না।’
‘যদি লিখিস তো আনাতোল ফ্রাঁসের কথা মনে রাখবি, “ইফ ইউ ওয়ান্ট টু রিচ পস্টারিটি, ট্রাভেল লাইট”।’
একবার অন্নদাশঙ্কর রায়ের বাড়িতে গেছেন আলী সাহেব। অন্নদাশঙ্করের আমেরিকান স্ত্রী লীলা রায় তখন বাঙালি হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আলী সাহেব দেখলেন তিনি নিড়েন নিয়ে ফুলগাছের তলাগুলো খোঁচাতে ব্যস্ত। জিজ্ঞেস করলেন, ‘মিস্টার রায় বাড়ি আছেন?’
লীলা রায় বললেন, ‘তিনি এখন সৃষ্টির কাজে ব্যাপৃটো আছেন।’
আলী সাহেব বললেন, ‘তাহলে আ–আপনি এখানে বাইরে কী করছেন মিসেস রায়?’
সূত্র: কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মেহফিল, পৃষ্ঠা ৩১–৩৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫