Ajker Patrika

শান্তির বার্তা দেয় সালাম

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪২
শান্তির বার্তা দেয় সালাম

সালাম মুমিনের অভিবাদন। সমাজে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সালাম। কোনো কোনো হাদিসে সালামকে শ্রেষ্ঠ কাজ বলা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সর্বোত্তম কাজ হলো, মানুষকে খাওয়ানো এবং সালাম দেওয়া, চাই তুমি তাকে চেন আর না চেন।’ (বুখারি)

আগে সালাম দেওয়া সুন্নত এবং যিনি সালাম দেন না তিনি কৃপণ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যিনি আগে সালাম দেন তিনি সকল অহংকার থেকে মুক্ত থাকেন।’ (শুআবুল ইমান) তিনি আরও বলেন, ‘সালামদানে কৃপণ ব্যক্তির চেয়ে কৃপণ ব্যক্তি আমি দেখেনি।’ (আহমদ)

দুজন ব্যক্তি ঝগড়া করে কথা বন্ধ রাখলে তাদের মধ্যে যিনি সবার আগে সালাম দিয়ে কথা বলেন, তিনিই উত্তম। সালামের মাধ্যমে যেহেতু কল্যাণ কামনা করা হয়, তাই যে কেউ আগে সালাম দিতে পারে। সালামের মাধ্যমে ছোট-বড়, বস-কর্মচারী আলাদা করা যায় না। তবে এটির সুন্নত বিধান সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘ছোটরা বড়দের, চলন্ত ব্যক্তিরা উপবিষ্টদের এবং কমসংখ্যক বেশিসংখ্যককে সালাম দেবে।’ (বুখারি)

এমনকি অন্যের ঘরে প্রবেশ করতে গেলেও সালাম দেওয়া আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের ঘর ব্যতীত অন্যের ঘরে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং ঘরের বাসিন্দাদের সালাম দেবে।’ (সুরা নুর: ২৭) তিনি আরও বলেন, ‘তবে তোমরা যখন কোনো ঘরে প্রবেশ করবে, তখন তোমরা নিজেদের সালাম করবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকতপূর্ণ ও পবিত্র অভিবাদন স্বরূপ।’ (সুরা নুর: ৬১)

এমনকি আল্লাহ আখিরাতে জান্নাতিদের সালাম দেবেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের প্রতি দয়াময় রবের পক্ষ থেকে চিরস্থায়ী সালাম।’ (সুরা ইয়াসিন: ৫৮)

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত