Ajker Patrika

১০ লাখের রসিদ বোর্ডে স্কুল ফান্ডে টাকা কই?

নরসিংদী প্রতিনিধি
১০ লাখের রসিদ বোর্ডে স্কুল ফান্ডে টাকা কই?

নরসিংদীর বেলাবতে বিদ্যালয় ফান্ডে কোনো টাকা জমা না করেই ১০ লাখ টাকার ভুয়া রসিদ জমা দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে। উপজেলার ভাবলা উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। স্বাক্ষর জাল করে এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির সাবেক অফিস সহকারী নুরুল আলম আফ্রাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দুদক চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

স্বাক্ষর জাল করে এই ভুয়া রসিদ জমা দেওয়ার অভিযোগ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল হাসান আফ্রাদের বিরুদ্ধে। তিনি দুদকের একজন কর্মচারী ও ভাবলা গ্রামের বাসিন্দা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য হওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মচারী মাহবুবুল হাসান আফ্রাদ ফান্ডে টাকা না দিয়েই জমার রসিদ শিক্ষা বোর্ডে দেখান। এ ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী নুরুল আলম আফ্রাদের স্বাক্ষর জাল করেন তিনি।

ভাবলা উচ্চবিদ্যালয়ের বেতন আদায়ের রসিদে ২০০৬ সালের ২৪ নভেম্বর দেড় লাখ টাকা, একই বছরের ৫ ডিসেম্বর ৮০ হাজার, ১৫ ডিসেম্বর ৭০ হাজার, ২০০৭ সালের ১০ অক্টোবর ২ লাখ ১০ হাজার, ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর ৫ লাখ টাকাসহ মোট পাঁচটি ভুয়া রসিদ শিক্ষা বোর্ডে জমা দেন মাহবুবুল হাসান।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা থেকে বিদ্যালয়ের নামে একটি চিঠি আসে। চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়, মাহবুবুল হাসান আফ্রাদ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিদ্যালয়ের ফান্ডে ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা করেছেন। এতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে যাবতীয় খাতাপত্র ও বিল ভাউচার যাচাই করেন। পরে বোর্ডে গিয়ে জানা যায়, মাহবুবুল হাসান অনেক আগেই উল্লেখিত পরিমাণ টাকা ফান্ডে জমার রসিদ দিয়েছেন।

এদিকে রসিদে স্বাক্ষর জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী নুরুল আলম আফ্রাদ গত ২৮ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যানের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। তবে এক মাসেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত রোববার বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবারও অভিযোগ দেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাপ আফ্রাদ জানান, শিক্ষা বোর্ডে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সম্পূর্ণ ভুয়া। রসিদে আদায়কারীর স্বাক্ষরও জাল। রসিদে উল্লেখিত ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে নেই।

অভিযুক্ত মাহবুবুল হাসান আফ্রাদ তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা ও ভুয়া বলে দাবি করেন। এ সময় তাঁকে রসিদে স্বাক্ষর জালের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি অফিসের কাজে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে ফোন রেখে দেন।

বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। 
তবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমানকে অফিসে না পেয়ে মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করার পরও ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত