Ajker Patrika

ইমানের নিদর্শন আমানতদারি

ড. মো. শাহজাহান কবীর
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, ১৫: ২৭
ইমানের নিদর্শন আমানতদারি

মানুষের মধ্যে যেসব সৎ গুণ রয়েছে, তার মধ্যে আমানতদারি অন্যতম। আমানত রক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। আমানত অর্থ নিরাপদ রাখা। কারও কাছে কোনো অর্থ-সম্পদ, বস্তুসামগ্রী বা কথা গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দাও।’ (সুরা নিসা: ৫৮)

আমানতদারিকে আল্লাহ তাআলা মুমিনের বিশেষ গুণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। পবিত্র কোরআনের সুরা মুমিনুনের প্রথম দশ আয়াতে ইমানদারের দশটি গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। যে গুণগুলো মহানবী (সা.)-এর স্বভাবে পরিপূর্ণরূপে বিদ্যমান ছিল। আয়াতগুলোতে বর্ণিত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পঞ্চমটি হলো আমানত প্রত্যর্পণ করা। আল্লাহ বলেন, ‘এবং যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুঁশিয়ার থাকে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮)

আমানতের কিছু দিক আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কিত আর কিছু দিক বান্দার সঙ্গে সম্পর্কিত। আল্লাহর হক হলো যাবতীয় ফরজ-ওয়াজিব পালন করা, সতীত্বের হেফাজত, সালাত, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি আদায় করা। আর বান্দার হক হলো মানুষের বস্তুগত আমানত রক্ষা করা। সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দোষত্রুটি গোপন করা বা অন্যের সম্ভ্রমহানি হয়—এ রকম বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আমানত রক্ষা করা।

মহানবী (সা.)-এর মধ্যে বাল্যকাল থেকেই আমানতদারির গুণ সুস্পষ্ট ছিল। যার কারণে তৎকালীন আরবের লোকেরা তাঁকে ‘আল-আমিন’ উপাধি দিয়েছিল। মহানবী (সা.) প্রায় সব উপদেশেই বলতেন যে, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমান নেই এবং যার অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দীন-ধর্ম নেই।’ মহানবী (সা.) বিদায় হজের ভাষণে লক্ষাধিক সাহাবাকে সামনে রেখে বলেন, ‘আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থেকো, আমার ওপর অর্পিত আমানত আমি পৌঁছে দিয়েছি।’

ড. মো. শাহজাহান কবীর, চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত