আরিফ আহমেদ, গৌরীপুর
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কাটা হয়নি গৌরীপুরের বঙ্গবন্ধু চত্বরের মরা পামগাছগুলো। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার পিতলের ম্যুরাল। আসন্ন কালবৈশাখী ঝড়ের মৌসুমে গাছগুলো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ম্যুরাল ও ছাউনির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় যত ঘনিয়ে আসছে, তত বাড়ছে গৌরীপুরবাসীর আতঙ্ক। এ নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় গণমাধ্যম।
রিকশাচালক সাইদুর রহমান বলেন, ঝড়-বৃষ্টিতে তাঁরা বঙ্গবন্ধু চত্বরের ছাউনির নিচে এসে দাঁড়ান। শুধু তিনি নন অনেক শিক্ষার্থীরাও এখানে আশ্রয় নেন। মরা গাছগুলোর ভেঙে পড়লে অনেক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে তৎকালীন জমিদার ব্রজেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিদেশ থেকে এনে গাছগুলো গৌরীপুরে রোপণ করেন। এরপর থেকে প্রকৃতিপ্রেমী লোকজন দূরদূরান্ত থেকে এসে গাছগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতেন। এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ডা. ক্যাপ্টেন (অব) মজিবুর রহমান ফকির ২০১৪ সালে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার পিতলের ম্যুরাল নির্মাণ করেন এখানে।
পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের ও গৌরীপুরের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাদা মোজাইক পাথরের ম্যুরাল স্থাপন করেন। ২০১৬ সালে কাজ অসমাপ্ত রেখেই তিনি প্রয়াত হন। এর পাশেই রয়েছে গৌরীপুর পৌরসভা নির্মিত স্মৃতিসৌধ ‘বিজয়-৭১ ’। তাঁর মৃত্যুর পর স্থাপনাটির রক্ষণাবেক্ষণ ও অসমাপ্ত কাজ থেমে যায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও রক্ষণাবেক্ষণের রয়েছে উদাসীনতা। এখন মৃত ও অর্ধমৃত পাম গাছগুলো ভেঙে পড়ে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে ম্যুরালের পাশের ছয়টি পামগাছ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাশের সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন উপজেলা পরিষদ, কৃষি অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষ, গৌরীপুর মহিলা কলেজ, আর কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, অগ্রদূত নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় ও বেশ কয়েকটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা।
কাছাকাছিই রয়েছে গৌরীপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, গোবিন্দবাড়ি মন্দির, গৌরীপুর প্রেসক্লাব, সংগীত নিকেতন ও গৌরীপুর গণপাঠাগার। ঝড়-বৃষ্টির সময় ছাউনির নিচে আশ্রয় নেন অনেক পথচারী। গাছগুলো ভেঙে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে ওই এলাকায় চলাচলকারী অনেকে মনে করছেন।
গৌরীপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরের মৃত পাম গাছগুলো কাটা খুবই জরুরি। ঝড়-বৃষ্টিতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’ এ ব্যাপারে তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরের মৃত পামগাছগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে গাছগুলো যেহেতু সরকারি, এ ক্ষেত্রে কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অনুমতি লাগবে।’
এ বিষয়ে ইউএনও হাসান মারুফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরের ঝুঁকিপূর্ণ পামগাছগুলো পৌরসভায়। এ ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোগ নিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।’
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কাটা হয়নি গৌরীপুরের বঙ্গবন্ধু চত্বরের মরা পামগাছগুলো। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার পিতলের ম্যুরাল। আসন্ন কালবৈশাখী ঝড়ের মৌসুমে গাছগুলো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ম্যুরাল ও ছাউনির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় যত ঘনিয়ে আসছে, তত বাড়ছে গৌরীপুরবাসীর আতঙ্ক। এ নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় গণমাধ্যম।
রিকশাচালক সাইদুর রহমান বলেন, ঝড়-বৃষ্টিতে তাঁরা বঙ্গবন্ধু চত্বরের ছাউনির নিচে এসে দাঁড়ান। শুধু তিনি নন অনেক শিক্ষার্থীরাও এখানে আশ্রয় নেন। মরা গাছগুলোর ভেঙে পড়লে অনেক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে তৎকালীন জমিদার ব্রজেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিদেশ থেকে এনে গাছগুলো গৌরীপুরে রোপণ করেন। এরপর থেকে প্রকৃতিপ্রেমী লোকজন দূরদূরান্ত থেকে এসে গাছগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতেন। এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ডা. ক্যাপ্টেন (অব) মজিবুর রহমান ফকির ২০১৪ সালে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার পিতলের ম্যুরাল নির্মাণ করেন এখানে।
পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের ও গৌরীপুরের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাদা মোজাইক পাথরের ম্যুরাল স্থাপন করেন। ২০১৬ সালে কাজ অসমাপ্ত রেখেই তিনি প্রয়াত হন। এর পাশেই রয়েছে গৌরীপুর পৌরসভা নির্মিত স্মৃতিসৌধ ‘বিজয়-৭১ ’। তাঁর মৃত্যুর পর স্থাপনাটির রক্ষণাবেক্ষণ ও অসমাপ্ত কাজ থেমে যায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও রক্ষণাবেক্ষণের রয়েছে উদাসীনতা। এখন মৃত ও অর্ধমৃত পাম গাছগুলো ভেঙে পড়ে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে ম্যুরালের পাশের ছয়টি পামগাছ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাশের সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন উপজেলা পরিষদ, কৃষি অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষ, গৌরীপুর মহিলা কলেজ, আর কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, অগ্রদূত নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় ও বেশ কয়েকটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা।
কাছাকাছিই রয়েছে গৌরীপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, গোবিন্দবাড়ি মন্দির, গৌরীপুর প্রেসক্লাব, সংগীত নিকেতন ও গৌরীপুর গণপাঠাগার। ঝড়-বৃষ্টির সময় ছাউনির নিচে আশ্রয় নেন অনেক পথচারী। গাছগুলো ভেঙে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে ওই এলাকায় চলাচলকারী অনেকে মনে করছেন।
গৌরীপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরের মৃত পাম গাছগুলো কাটা খুবই জরুরি। ঝড়-বৃষ্টিতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’ এ ব্যাপারে তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরের মৃত পামগাছগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে গাছগুলো যেহেতু সরকারি, এ ক্ষেত্রে কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অনুমতি লাগবে।’
এ বিষয়ে ইউএনও হাসান মারুফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরের ঝুঁকিপূর্ণ পামগাছগুলো পৌরসভায়। এ ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোগ নিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫