Ajker Patrika

লুসাইল যেন মেসিদের কাছে অ্যাজটেকা

লুসাইল যেন মেসিদের কাছে অ্যাজটেকা

এস্তাদিও অ্যাজটেকা আর্জেন্টিনা সমর্থকদের কাছে ভালোবাসার এক নাম। মেক্সিকো সিটির এই স্টেডিয়ামে সোনার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা।

আগামীকাল কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে এস্তাদিও অ্যাজটেকার নাম কেন আসছে? দোহার লুসাইল স্টেডিয়াম ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুকে সামনে নিয়ে এসেছে।

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শুরুটা ১৯৯০ বিশ্বকাপের মতো। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল আলবিসেলেস্তেরা।

এই বিশ্বকাপেও সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে সাদা-আকাশি নীলরা।

লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলার সঙ্গে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের অ্যাজটেকারও সাদৃশ্য রয়েছে। এই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা খেলবে লুসাইল স্টেডিয়ামে। ঠিক ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আজতেকায় কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড, সেমিতে বেলজিয়াম এবং ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে খেলেছিল আর্জেন্টিনা।

লুসাইলকে একরকম হোম ভেন্যু বানিয়ে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে এই মাঠে হচ্ছে ১০ ম্যাচ। যার ৫টিতেই জড়িয়ে আর্জেন্টিনার নাম। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে আজতেকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচ ছিল না। থাকলে হয়তো ম্যাচ সংখ্যায়ও অ্যাজটেকা-লুসাইল সমান হয়ে যেত! এই বিশ্বকাপে নিজেদের সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই লুসাইলে খেলবেন মেসিরা। এই মাঠকে যেন দুর্গ বানিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। এটি যেন তাঁদের বুয়েনস এইরেসের এস্তাদিও মনুমেন্টাল (আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় মাঠ যেখানে ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা)। ফ্রান্স অবশ্য এই মাঠে একবারও খেলতে পারেনি।

৮৮ হাজার ৯০০ দর্শকের লুসাইলে এরই মধ্যে ফাইনালের টিকিট পেতে দর্শকেরা দোহার রাস্তায় পর্যন্ত নেমেছেন। এরই মধ্যে ৩০ হাজার আর্জেন্টাইন এসেছেন কাতারে।

কালো বাজার থেকে টিকিট সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন অনেকেই। ৭৮ হাজার টাকার টিকিট হয়ে গেছে সোয়া ৪ লাখ টাকা। ফিফার সবচেয়ে ব্যয়বহুল টিকিট ৬ লাখ টাকা, যেটির দাম হয়ে গেছে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা।

ফাইনালের জার্সিতেও এবার ১৯৮৬ বিশ্বকাপকে পাচ্ছে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের বিপক্ষে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা, ‘হোম জার্সি’ পরেই খেলবে তারা। ১৯৯০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ‘অ্যাওয়ে জার্সি’ পরে খেলে হেরেছিল দুবারের বিশ্ব চাম্পিয়নরা। দুবারই হেরে যাওয়ায় এই জার্সিকে সমর্থকেরা ‘অপয়া’ মনে করেন। ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার জার্সির রং ভিন্ন হওয়ায় এবার ‘অ্যাওয়ে জার্সি’ পরার প্রয়োজন হচ্ছে না। দুই দলের জন্যই ‘হোম জার্সি’ চূড়ান্ত করেছে ফিফা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত