Ajker Patrika

জয়ে ফিরেছে এটা স্বস্তির

আমিনুল ইসলাম বুলবুল
জয়ে ফিরেছে এটা স্বস্তির

যেকোনো টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় বিষয় মনঃসংযোগ। এখানে বৃষ্টির একটা ব্যাপার ছিল। খেলা হবে কি হবে না, এসব সময়ে খেলায় পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া যায় না। বৃষ্টির এত বাধা ছিল, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও একটা বাধা ছিল। দিন শেষে আমরা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯ রানে ম্যাচটা জিতলাম।

আমরা একটা সহযোগী দেশের সঙ্গে জিতেছি, এ ধরনের দল সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে জেতার। তবে জয়টাও এত বড় করে দেখার কিছু নেই। আমরা জয়ের ধারায় ফিরেছি, এটা স্বস্তির। শান্ত ও সৌম্যকে দেখে একপর্যায়ে মনে হয়েছে আমরা ১৮০-১৯০ রান করতে পারব।

কিন্তু আমাদের মিডল অর্ডার আবার ব্যর্থ হলো। মিডল অর্ডার কিছুটা অনভিজ্ঞ। এই জায়গায় আমরা অনেক অনেক পিছিয়ে আছি। তবু বলব, যারা সিনিয়র অনেক দিন ধরে খেলছে, সামনে থেকে খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে খেলা যায় না। কারণ, প্রতিটি বলে আপনাকে রানের জন্য খেলতে হয়। সব সময় রানের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এখানে ভাগ্যের সহায়তা লাগে।

ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগের মধ্যে আমাদের সবচেয়ে দুর্বলতা ছিল মিডলঅর্ডার ব্যাটিংয়ে। আফিফ হোসেন কিছুটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কঠিন সময়ে আফিফের প্রতিটি রান খুবই মূল্যবান ছিল। আশা করব সে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে। ভালো সময়ে দলের সবাই রান করলে আমরা আফিফের কাছে খুব বেশি চাই না। কিন্তু দলের কঠিন সময়ে সে নেদারল্যান্ডস ম্যাচে যে ভূমিকা রেখেছে, এটাই চাইব। নেদারল্যান্ডস ভালো মনোযোগ দিয়ে খেলাটা শুরু করেছিল। এখানে তাসকিনের ধন্যবাদ প্রাপ্য। যে বিধ্বংসী স্পেলটা করেছে, সময়োপযোগী ছিল। এরপর দুটো রান আউটে ফিল্ডিংয়ের কৃতিত্ব। তাসকিনের আক্রমণাত্মক বোলিং, লাইন-লেংথ ভালো ছিল।

অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে লাইন-লেংথ বজায় রাখার কাজটা কঠিন এবং সে প্রথম থেকে এটা করেছে। প্রথম দুই বলে দুই উইকেট পেল, হ্যাটট্রিকও হয়ে যেতে পারত। আমার কাছে ওর লেংথটা ভালো লেগেছে, যেখান থেকে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করে দেয় যে আমি সামনের পায়ে না কি পেছনের পায়ে যাব। এই জায়গায় আমার মনে হয়েছে তাসকিন অনেক উন্নতি করেছে। কৃতিত্ব অবশ্যই তাসকিনের। তবে আমি অ্যালেন ডোনাল্ডকেও কৃতিত্ব দিতে চাই। এর সঙ্গে হাসান ও মোস্তাফিজও বাহবা পাবে। তবে তাসকিন অসাধারণ, যোগ্য হিসেবেই ম্যাচসেরা হয়েছে।

দলের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখায়। এটা এ জন্য বলছি যে, ভালো করলেও আমাদের ক্রিকেটাররা ভয়ে ভয়ে থাকে, খারাপ খেললে কী হবে? সংবাদ সম্মেলনে বলা তাসকিনের কথার সঙ্গে আমি একমত। এই জয় আমাদের কিছুটা চাপমুক্ত করেছে। সামনে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আরও খোলা মনে খেলতে পারবে। যদিও ওদের ঘরের মাঠে আমরা হেরে এসেছি। এখানে আমাদের দলগত পারফরম্যান্স ওটার চেয়ে ভালো হবে। আমাদের পরের ম্যাচ অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে পারলে ভালো হতো। ওদের বিপক্ষে মানসিক একটা প্রশান্তি থাকবে, ওদের দেশে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে হারিয়েছিলাম।

সিডনির কন্ডিশন সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে দেখলাম উইকেটও খুব ভালো ব্যাটিং সহায়ক। আমাদের ওখানে রান করতেই হবে। আমাদের শক্তির জায়গা হচ্ছে সাকিবের বোলিং। কিন্তু তাকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কেন জানি খুবই অর্ডিনারি মনে হয়েছে। তবে ওর এত অভিজ্ঞতা, আশা করি খুব ভালোভাবেই ফিরবে। না হলে এটা আমাদের জন্য বিপদের। জিতলে ভুলগুলো হিসাবে ধরি না, এদিকে আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের একটু খেয়াল রাখা দরকার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইপিএলে চাহালের রেকর্ড হ্যাটট্রিকের রাতে রহস্যময় পোস্ট এই নারীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত