রাজীব কুমার সাহা, আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
বাংলা ভাষায় সুপরিচিতি একটি শব্দ হলো ‘দমকা’। বাতাসের তারতম্য নির্দেশ করতেই আমরা দমকা শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। যেমন দমকা হাওয়া বা দমকা বাতাস। সচরাচর কালবৈশাখীতে আমরা দমকা বাতাসের সান্নিধ্য পাই। এ ছাড়া মাঝে মাঝে আবহাওয়ার তারতম্যের ফলে আমরা হঠাৎ করেই দমকা হাওয়ার কবলে পড়ি। দমকা শব্দের অর্থ কী? দমকা শব্দটি কীভাবে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করল? ‘দম’ শব্দের সঙ্গে কি এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে? তবে চলুন দমাদম জেনে নিই দমকা শব্দের আদ্যোপান্ত।
দমকা বিশেষণ পদ। এর আভিধানিক অর্থ হলো হঠাৎ প্রবল বেগে আগত বা আকস্মিক সংঘটিত। দমকা শব্দের ব্যুৎপত্তি নিয়ে একাধিক মত রয়েছে। একটি মত হলো, দমকা শব্দটি হিন্দি ‘দমক’ শব্দ থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে। হিন্দি দমক শব্দের একাধিক অর্থের মধ্যে একটি অর্থ হলো (বিশেষ্যরূপে) হঠাৎ প্রবল বেগে ধাক্কা; আবার (বিশেষণরূপে) হঠাৎ ঘটেছে এমন। হিন্দি ‘দমক’ শব্দের উল্লিখিত অর্থদ্বয়ের সাদৃশ্যেই বাংলায় দমকা শব্দটি প্রবেশ করেছে। এখানে লক্ষণীয়, হিন্দি দমক শব্দে যেমন হঠাৎ প্রবল বেগে ধাক্কা বা কোনো কিছুর আগমনকে বোঝায়, তেমনি বাংলা দমকা শব্দেও সহসা প্রবল বেগে আগত বা আকস্মিক সংঘটিত হওয়ার একটি সংযোগ রয়েছে। এই সংযোগ থেকেই ধারণা করা হয়, বাংলা দমকা শব্দটি হিন্দি দমক শব্দ থেকে ব্যুৎপত্তি লাভ করেছে।
আবার দমকা শব্দের ব্যুৎপত্তি নিয়ে অপর মতটি হলো, দমকা শব্দটি ফারসি ‘দমগাহ’ শব্দ থেকে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। ফারসি ভাষায় দমগাহ বলতে বিরামহীন বায়ু সৃষ্টিকারী একটি যন্ত্রকে বোঝায়; যা বাংলায় হাপরের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। সাধারণত কামারের চুল্লিতে হাওয়া দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত নলযুক্ত চামড়ার তৈরি থলেকে বলে হাপর। হাপরের মাধ্যমে পরিমিত মাত্রায় হাওয়া তৈরি করে আগুন জ্বালিয়ে কর্মকারেরা লৌহনির্মিত প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি তৈরি করে থাকেন। হাপরের মূল কাজ হলো হাওয়া তৈরি করা। নিরবচ্ছিন্ন বায়ুর জন্য হাপরের হাতল ক্রমাগত ওঠাতে-নামাতে হয়। আবার হাপরেরও রকমফের রয়েছে। কর্মকারেরা সাধারণত বড় হাপর এবং স্বর্ণকারেরা অপেক্ষাকৃত ছোট হাপর ব্যবহার করে থাকেন। হাপরে চাপ পড়লে যেমন ফস করে বায়ু নির্গত হয়, তেমনি দমকা বাতাসের ক্ষেত্রেও হঠাৎ বা আকস্মিকভাবে বাতাস আসাকে বোঝায়। সুতরাং ব্যুৎপত্তির এ মতটি বিবেচনায় বলা যায়, হাপরের এই হঠাৎ হাওয়াই বাংলা ভাষায় দমকা শব্দ তৈরিতে মূল ভূমিকা পালন করেছে।
আমাদের যাপিত জীবনের বিবিধ অনুষঙ্গের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনেক শব্দের জন্মের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তেমনি চিরচেনা বাঙালি-জীবনের অন্যতম গ্রামীণ অনুষঙ্গ হাপরের সঙ্গে রয়েছে আমাদের গভীর যোগ। আর এর অংশ হিসেবেই হাপরের মুখ থেকে দ্রুতবেগে হঠাৎ বেরিয়ে আসা হাওয়াকে আমরা ‘দমকা’ শব্দের অর্থের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছি। সুতরাং কেবল দমকা হাওয়ায় না ভেসে এর উৎসমূল, অর্থাৎ হাপরের সঙ্গেও আমাদের নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সমীচীন।
বাংলা ভাষায় সুপরিচিতি একটি শব্দ হলো ‘দমকা’। বাতাসের তারতম্য নির্দেশ করতেই আমরা দমকা শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। যেমন দমকা হাওয়া বা দমকা বাতাস। সচরাচর কালবৈশাখীতে আমরা দমকা বাতাসের সান্নিধ্য পাই। এ ছাড়া মাঝে মাঝে আবহাওয়ার তারতম্যের ফলে আমরা হঠাৎ করেই দমকা হাওয়ার কবলে পড়ি। দমকা শব্দের অর্থ কী? দমকা শব্দটি কীভাবে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করল? ‘দম’ শব্দের সঙ্গে কি এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে? তবে চলুন দমাদম জেনে নিই দমকা শব্দের আদ্যোপান্ত।
দমকা বিশেষণ পদ। এর আভিধানিক অর্থ হলো হঠাৎ প্রবল বেগে আগত বা আকস্মিক সংঘটিত। দমকা শব্দের ব্যুৎপত্তি নিয়ে একাধিক মত রয়েছে। একটি মত হলো, দমকা শব্দটি হিন্দি ‘দমক’ শব্দ থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে। হিন্দি দমক শব্দের একাধিক অর্থের মধ্যে একটি অর্থ হলো (বিশেষ্যরূপে) হঠাৎ প্রবল বেগে ধাক্কা; আবার (বিশেষণরূপে) হঠাৎ ঘটেছে এমন। হিন্দি ‘দমক’ শব্দের উল্লিখিত অর্থদ্বয়ের সাদৃশ্যেই বাংলায় দমকা শব্দটি প্রবেশ করেছে। এখানে লক্ষণীয়, হিন্দি দমক শব্দে যেমন হঠাৎ প্রবল বেগে ধাক্কা বা কোনো কিছুর আগমনকে বোঝায়, তেমনি বাংলা দমকা শব্দেও সহসা প্রবল বেগে আগত বা আকস্মিক সংঘটিত হওয়ার একটি সংযোগ রয়েছে। এই সংযোগ থেকেই ধারণা করা হয়, বাংলা দমকা শব্দটি হিন্দি দমক শব্দ থেকে ব্যুৎপত্তি লাভ করেছে।
আবার দমকা শব্দের ব্যুৎপত্তি নিয়ে অপর মতটি হলো, দমকা শব্দটি ফারসি ‘দমগাহ’ শব্দ থেকে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। ফারসি ভাষায় দমগাহ বলতে বিরামহীন বায়ু সৃষ্টিকারী একটি যন্ত্রকে বোঝায়; যা বাংলায় হাপরের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। সাধারণত কামারের চুল্লিতে হাওয়া দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত নলযুক্ত চামড়ার তৈরি থলেকে বলে হাপর। হাপরের মাধ্যমে পরিমিত মাত্রায় হাওয়া তৈরি করে আগুন জ্বালিয়ে কর্মকারেরা লৌহনির্মিত প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি তৈরি করে থাকেন। হাপরের মূল কাজ হলো হাওয়া তৈরি করা। নিরবচ্ছিন্ন বায়ুর জন্য হাপরের হাতল ক্রমাগত ওঠাতে-নামাতে হয়। আবার হাপরেরও রকমফের রয়েছে। কর্মকারেরা সাধারণত বড় হাপর এবং স্বর্ণকারেরা অপেক্ষাকৃত ছোট হাপর ব্যবহার করে থাকেন। হাপরে চাপ পড়লে যেমন ফস করে বায়ু নির্গত হয়, তেমনি দমকা বাতাসের ক্ষেত্রেও হঠাৎ বা আকস্মিকভাবে বাতাস আসাকে বোঝায়। সুতরাং ব্যুৎপত্তির এ মতটি বিবেচনায় বলা যায়, হাপরের এই হঠাৎ হাওয়াই বাংলা ভাষায় দমকা শব্দ তৈরিতে মূল ভূমিকা পালন করেছে।
আমাদের যাপিত জীবনের বিবিধ অনুষঙ্গের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনেক শব্দের জন্মের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তেমনি চিরচেনা বাঙালি-জীবনের অন্যতম গ্রামীণ অনুষঙ্গ হাপরের সঙ্গে রয়েছে আমাদের গভীর যোগ। আর এর অংশ হিসেবেই হাপরের মুখ থেকে দ্রুতবেগে হঠাৎ বেরিয়ে আসা হাওয়াকে আমরা ‘দমকা’ শব্দের অর্থের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছি। সুতরাং কেবল দমকা হাওয়ায় না ভেসে এর উৎসমূল, অর্থাৎ হাপরের সঙ্গেও আমাদের নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সমীচীন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫