নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো সরে যাওয়ায় তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। এরপর সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে শুরু হয় পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। খরস্রোতা পদ্মা নদীকে জয় করে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু এখন পূর্ণতা পাওয়ার পথে। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্মিত এই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বর্ণিল করতে চায় সরকার। সব ঠিক থাকলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন উদ্বোধন হতে পারে এই সেতুর।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কেমন হবে, সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে এখনো আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেনি সরকার। তবে এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। শিগগিরই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করা হবে।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য জুন মাসে পদ্মা সেতু চালু করা। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই উদ্বোধনের তারিখ যেন আর হেরফের না হয়। কীভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে, সেই পরিকল্পনা পরে চূড়ান্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মিলেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ঠিক করা হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সরকার ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে। ফলে বিশ্ববাসীকে জানান দিয়েই এর উদ্বোধন করা হবে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো অর্থায়ন না করলেও অনেকটা জেদ করেই সরকার এই সেতু নির্মাণ করছে। ফলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বর্ণিল করা হবে, প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। এটি যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি বড় সাফল্য, তা দেশ-বিদেশে ফলাও করে প্রচার করা হবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের খবর যাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছড়িয়ে যায়, সরকার সেই ব্যবস্থা করতে চায়।
সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে সরকারের নিজস্ব ভাবনা রয়েছে। এরপরেও আমাদের প্রস্তাব সরকারের কাছে তুলে ধরব। মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কেমন হবে, সেখানে কাকে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে—সেসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সভায় ঠিক করা হবে। করোনার সংক্রমণও কমে আসছে। ফলে জুন মাসে বড় পরিসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না বলেই মনে হচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৯১ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, নদীশাসন শেষ হয়েছে ৯০ শতাংশ। আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে মূল সেতু এবং ২০ জুনের মধ্যে নদীশাসনের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেতুটির নিচতলায় রেললাইন বসানোর কাজ এখন অনেক বাকি আছে। ফলে জুন মাসে সেতুর সড়ক উদ্বোধন করে রেল পরে চালু করা হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরোটাই ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ। ১ শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে এই অর্থ ফেরত দিতে হবে সেতু কর্তৃপক্ষকে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলে টোলের হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে সরকারের চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু চালুর সময়সীমা ঠিক করা হয়েছিল। পরে ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চালুর ঘোষণা দেওয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের সোনালি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি এ কাজের। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেমে থাকা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণচুক্তি বাতিল করায় ২০১৩ সালের ৪ মে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো সরে যাওয়ায় তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। এরপর সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে শুরু হয় পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। খরস্রোতা পদ্মা নদীকে জয় করে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু এখন পূর্ণতা পাওয়ার পথে। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্মিত এই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বর্ণিল করতে চায় সরকার। সব ঠিক থাকলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন উদ্বোধন হতে পারে এই সেতুর।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কেমন হবে, সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে এখনো আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেনি সরকার। তবে এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। শিগগিরই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করা হবে।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য জুন মাসে পদ্মা সেতু চালু করা। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই উদ্বোধনের তারিখ যেন আর হেরফের না হয়। কীভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে, সেই পরিকল্পনা পরে চূড়ান্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মিলেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ঠিক করা হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সরকার ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে। ফলে বিশ্ববাসীকে জানান দিয়েই এর উদ্বোধন করা হবে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো অর্থায়ন না করলেও অনেকটা জেদ করেই সরকার এই সেতু নির্মাণ করছে। ফলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বর্ণিল করা হবে, প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। এটি যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি বড় সাফল্য, তা দেশ-বিদেশে ফলাও করে প্রচার করা হবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের খবর যাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছড়িয়ে যায়, সরকার সেই ব্যবস্থা করতে চায়।
সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে সরকারের নিজস্ব ভাবনা রয়েছে। এরপরেও আমাদের প্রস্তাব সরকারের কাছে তুলে ধরব। মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কেমন হবে, সেখানে কাকে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে—সেসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সভায় ঠিক করা হবে। করোনার সংক্রমণও কমে আসছে। ফলে জুন মাসে বড় পরিসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না বলেই মনে হচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৯১ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, নদীশাসন শেষ হয়েছে ৯০ শতাংশ। আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে মূল সেতু এবং ২০ জুনের মধ্যে নদীশাসনের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেতুটির নিচতলায় রেললাইন বসানোর কাজ এখন অনেক বাকি আছে। ফলে জুন মাসে সেতুর সড়ক উদ্বোধন করে রেল পরে চালু করা হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরোটাই ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ। ১ শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে এই অর্থ ফেরত দিতে হবে সেতু কর্তৃপক্ষকে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলে টোলের হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে সরকারের চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু চালুর সময়সীমা ঠিক করা হয়েছিল। পরে ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চালুর ঘোষণা দেওয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের সোনালি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি এ কাজের। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেমে থাকা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণচুক্তি বাতিল করায় ২০১৩ সালের ৪ মে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫