Ajker Patrika

হোতা নজরুল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ২১
হোতা নজরুল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নাটঘরে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ দুজনকে গুলি করে হত্যার মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আশরাফুল ইসলাম রাব্বি গত বুধবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাব্বি তাঁর জবানবন্দিতে গুলি-পিস্তল সংগ্রহ ও গুলি করে হত্যার দায় নজরুল ইসলামের ওপর চাপিয়েছেন। নজরুল নিহত এরশাদুল হক ও বাদল সরকার হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি। নজরুল পিস্তল পেলেন কোথায়, পিস্তলের সরবরাহকারী কে? এখনো তিনি পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন? জনমনে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইন কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আশরাফুল ইসলাম রাব্বির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আশরাফুল ইসলাম রাব্বি আদালতকে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে অবস্থান করছিলেন তাঁরা। তিনি সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হকের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এ সময় পরপর চারটি গুলি চালান মামলার প্রধান আসামি নজরুল। তিনিই হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল সংগ্রহ করেছিলেন।’

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন গতকাল শুক্রবার বিকেলে বলেন, রাব্বির কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে ৭.৬৫ এমএম পিস্তল। রাব্বির সঙ্গে নজরুলের পূর্ব পরিচয় ছিল। একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এক মাস ধরে তিনি নজরুলের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। এ সুবাদে তাঁরা এরশাদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। প্রধান আসামি নজরুলকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ সময় দ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ১৭ ডিসেম্বর রাতে খুন হন নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নান্দুরা গ্রামের এরশাদুল হক ও তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক কুড়িঘর গ্রামের বাদল সরকার। এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর নিহত এরশাদুলের ভাই আক্তারুজ্জামান ১৫ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে মামলার ৭ নম্বর আসামি কুড়িঘর গ্রামের সোহাগ মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর শহরের কাজীপাড়ার আশরাফুল ইসলাম রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে প্রথম ৪ জন নান্দুরা গ্রামের, ৯ জন কুড়িঘরের এবং ২ জন খড়িয়ালা গ্রামের।

এ ছাড়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী কুড়িঘর গ্রামের সজীব চৌধুরী ওরফে শামীম আবদুল্লাহকে ৫ নম্বর, রফিকুল ইসলাম রতনকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে আসামিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ও গোষ্ঠীগত কারণে নানা বিরোধ চলার কথা বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত