Ajker Patrika

সেতুর অভাবে ভোগান্তি

মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১১: ১৪
সেতুর অভাবে ভোগান্তি

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামে সন্ধ্যা নদীতে সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। বিকল্প না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে খেয়ার মাধ্যমে নদী পার হচ্ছে স্থানীয়রা। বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের। খেয়ার মাধ্যমে নদী পার হতে গিয়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।

সেতু না থাকায় পয়সারহাট, বাগধা ও আমবৌলা-এই তিন গ্রামের মানুষকে ১০ কিলোমিটার বেশি ঘুরে গোপালগঞ্জ-খুলনা মহাসড়কের পয়সারহাট সেতু দিয়ে পারাপার হতে হয়।

এ ছাড়া নদীর পশ্চিম পারে একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ স্থানীয় হাটবাজার থাকায় নদীর পূর্ব পারের শিক্ষার্থী ও লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হলো খেয়া বা নৌকার মাধ্যমে নদী পার হওয়া। খেয়ার মাধ্যমে নদী পার হতে তাদের সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। অন্যদিকে পয়সারহাটে অবস্থিত সেতু ঘুরে যাতায়াতে তাদের সময় লাগে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট। এ কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়ার মাধ্যমেই নদী পার হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। এ পরিস্থিতিতে এখানে একটি সেতু নির্মাণের জোর দাবি তুলেছে ভুক্তভোগী স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নদীর এপার থেকে অন্তত ২৫ জন যাত্রী ওপারে যাওয়ার জন্য খেয়ায় চেপেছে। এর মধ্যে শিশুসহ ১০ জন ছাত্রীও রয়েছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত নদী পার হয়ে আসছে এই গ্রামের লোকজন।

এলাকাবাসী জানান, সেতুর অভাবে এই অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। নদীর এপারে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা। অপর পারে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউপি কার্যালয়। তাই ওপারের অন্তত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে নদী পার হয়ে পশ্চিম পারে আসতে হয়। অন্যদিকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউপি কার্যালয় ওপারে, অর্থাৎ নদীর পূর্ব পারে অবস্থিত হওয়ায় গ্রামবাসীদের প্রতিদিনই ওপারে যেতে হয়। পয়সারহাটে অবস্থিত সেতু ঘুরে যাতায়াতে অনেক সময় লাগে। এ জন্য আমরা এই খেয়ার মাধ্যমেই নদী পার হয়ে থাকি। নদীতে ভাটির সময় খেয়া নৌকা কিনারায় না আসাসহ ঝড়-বৃষ্টির সময় নৌকায় উঠতে ও নামতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। এত সব সমস্যা থাকা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই খেয়ার মাধ্যমে নদী পার হতে হয়।

স্থানীয় আপাং খান বলেন, ব্যবসায়ীদের পেশার কারণেই তাদের প্রতিদিন এপার থেকে ওপারে যেতে হয়। একেকবার খেয়া পার হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লেগে যায়। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে উপকৃত হবে এই গ্রামের স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ হাজারো লোকজন। তাই আমরা এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুর রহমান বলেন, বাগধা খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য বরিশাল এলজিইডি অফিসে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশাল এলজিইডি অফিস থেকে ওখানকার মাটি পরীক্ষাসহ সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন টেন্ডার আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত