ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির তাঁতের গামছা বিলুপ্তির পথে। যন্ত্রে বোনা গামছার সঙ্গে তাঁতে বোনা গামছা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। আর আয় কম হওয়ায় অধিকাংশ কারিগর ছেড়েছেন এই পেশার শিল্প। তাঁতে বোনা গামছা টিকিয়ে রাখতে স্বল্পসুদে ঋণ চান কারিগরেরা।
ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর পশ্চিম পাড়ের বাসন্ডায় প্রায় ২০০ তাঁতি পরিবার ছিল। তাঁরা হস্তচালিত তাঁতে শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা বুনতেন। মহাজনদের পদচারণ ও তাঁতের খটাস খটাস শব্দে মুখরিত থাকত কারিগরবাড়ি। তখন গোটা দেশে ঝালকাঠির তাঁতপণ্যের গৌরব ছিল। বর্তমানে বাসন্ডা কারিগর বাড়িতে দু-চারটি তাঁতি পরিবার এই পেশা ধরে রেখেছে। অন্যরা পেশা বদল করেছেন। মূলত আধুনিক যন্ত্রে তৈরি গামছার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে তাঁতে বোনা গামছা হারিয়ে যাচ্ছে।
ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠির গনি মিঞার গামছা একসময় ছিল দেশসেরা। সাত বছর আগে গনি মিঞা মারা যাওয়ার পর জৌলুশ হারিয়েছে ঝালকাঠির তাঁতে বোনা গামছা। লোকসান দিয়েও বর্তমানে বাবার তাঁত মেশিনে গামছা বোনেন ছেলে নাসির উদ্দিন মিঞা। তিনি বলেন, ‘মা আর আমি প্রতি সাড়ে ৩ ঘণ্টায় দুটি গামছা তৈরি করতাম। গামছাপ্রতি খরচ হয় ২৫০ টাকা। পাইকারি দর ৩০০ টাকা। আর খুচরা ৩৫০ টাকা। এত অল্প লাভে এখন টিকে থাকাই কষ্টকর।’
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম মিঞা জানান, এখনো ১০-১৫টি পরিবার এ তাঁতশিল্প আঁকড়ে আছে।
কলকাতার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বনগাঁ এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী উত্তম দেবনাথ বলেন, ‘কলকাতায় ঝালকাঠির তাঁতের গামছার কদর ছিল। বাংলাদেশ থেকে কেউ এলে ঝালকাঠির গামছা নিয়ে আসতে বলা হতো।’
ঝালকাঠির তাঁতকারিগরেরা জানান, একটি তাঁত চালিয়ে প্রতিদিন দুটির বেশি গামছা তৈরি করা যায়। আর এক বান্ডিল সুতা ২ হাজার টাকায় কিনতে হয়। ছয় বান্ডিল সুতা দিয়ে সর্বোচ্চ দেড় শ পিস গামছা তৈরি করা যায়। প্রতিটি গামছা তৈরির মজুরি পড়ে ৭০-৮০ টাকা। সুতা ও মজুরি মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার টাকা পুঁজি খাটিয়ে আয় আসে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা। এই অল্প আয়ে পরিবার চালানো দায়।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘আর্থিক সংকটে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই তাঁরা যাতে বিসিক ও ব্যাংক থেকে দ্রুত স্বল্প সুদে ঋণ পান, সে ব্যবস্থা করব।’
ঝালকাঠির তাঁতের গামছা বিলুপ্তির পথে। যন্ত্রে বোনা গামছার সঙ্গে তাঁতে বোনা গামছা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। আর আয় কম হওয়ায় অধিকাংশ কারিগর ছেড়েছেন এই পেশার শিল্প। তাঁতে বোনা গামছা টিকিয়ে রাখতে স্বল্পসুদে ঋণ চান কারিগরেরা।
ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর পশ্চিম পাড়ের বাসন্ডায় প্রায় ২০০ তাঁতি পরিবার ছিল। তাঁরা হস্তচালিত তাঁতে শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা বুনতেন। মহাজনদের পদচারণ ও তাঁতের খটাস খটাস শব্দে মুখরিত থাকত কারিগরবাড়ি। তখন গোটা দেশে ঝালকাঠির তাঁতপণ্যের গৌরব ছিল। বর্তমানে বাসন্ডা কারিগর বাড়িতে দু-চারটি তাঁতি পরিবার এই পেশা ধরে রেখেছে। অন্যরা পেশা বদল করেছেন। মূলত আধুনিক যন্ত্রে তৈরি গামছার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে তাঁতে বোনা গামছা হারিয়ে যাচ্ছে।
ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠির গনি মিঞার গামছা একসময় ছিল দেশসেরা। সাত বছর আগে গনি মিঞা মারা যাওয়ার পর জৌলুশ হারিয়েছে ঝালকাঠির তাঁতে বোনা গামছা। লোকসান দিয়েও বর্তমানে বাবার তাঁত মেশিনে গামছা বোনেন ছেলে নাসির উদ্দিন মিঞা। তিনি বলেন, ‘মা আর আমি প্রতি সাড়ে ৩ ঘণ্টায় দুটি গামছা তৈরি করতাম। গামছাপ্রতি খরচ হয় ২৫০ টাকা। পাইকারি দর ৩০০ টাকা। আর খুচরা ৩৫০ টাকা। এত অল্প লাভে এখন টিকে থাকাই কষ্টকর।’
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম মিঞা জানান, এখনো ১০-১৫টি পরিবার এ তাঁতশিল্প আঁকড়ে আছে।
কলকাতার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বনগাঁ এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী উত্তম দেবনাথ বলেন, ‘কলকাতায় ঝালকাঠির তাঁতের গামছার কদর ছিল। বাংলাদেশ থেকে কেউ এলে ঝালকাঠির গামছা নিয়ে আসতে বলা হতো।’
ঝালকাঠির তাঁতকারিগরেরা জানান, একটি তাঁত চালিয়ে প্রতিদিন দুটির বেশি গামছা তৈরি করা যায়। আর এক বান্ডিল সুতা ২ হাজার টাকায় কিনতে হয়। ছয় বান্ডিল সুতা দিয়ে সর্বোচ্চ দেড় শ পিস গামছা তৈরি করা যায়। প্রতিটি গামছা তৈরির মজুরি পড়ে ৭০-৮০ টাকা। সুতা ও মজুরি মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার টাকা পুঁজি খাটিয়ে আয় আসে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা। এই অল্প আয়ে পরিবার চালানো দায়।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘আর্থিক সংকটে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই তাঁরা যাতে বিসিক ও ব্যাংক থেকে দ্রুত স্বল্প সুদে ঋণ পান, সে ব্যবস্থা করব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪