Ajker Patrika

জমে উঠেছে ফুলের ব্যবসা

নওগাঁ প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৪০
জমে উঠেছে ফুলের ব্যবসা

নওগাঁয় বসন্তের শুরু থেকে বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা। সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে। এদিন লাখো মানুষ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর অংশ হিসেবেই নওগাঁয় জমে উঠেছে ফুলের ব্যবসা। দোকানগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।

গতকাল শনিবার বিকেলে নওগাঁর ফুলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানের কর্মীরা কর্কশিটে শহীদ মিনার, দেশের মানচিত্র, পতাকা, বইসহ নানা ডিজাইন করে তাতে গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গ্যালুরিয়া, জারবেরা, ক্যান্ডোলাসহ নানা প্রজাতির ফুল বসিয়ে ডালি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে তোড়ার অর্ডার হচ্ছে ফুলের দোকানগুলোতে। প্রতিটি দোকানেই একাধিক তোড়ার অর্ডার নিয়ে কর্মীরা পুরোদমে কাজ করছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফুলের তোড়া বানাতে চাইলে কী ফুল দিয়ে সাজাবেন এবং সেটার আকার কেমন হবে তার ওপর নির্ভর করে দাম। তবে আকার আর ডিজাইন যা-ই থাকুক না কেন, তোড়া বানাতে আগেই অর্ডার নিয়েছেন। তবে আর্জেন্ট অর্ডার হলে গুনতে হবে বাড়তি টাকা।

ফুল ব্যবসায়ীদের দাবি, ফুল কাঁচামাল। পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের মিল পাওয়া যায় না। এ ছাড়া যেকোনো দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের দাম কিছুটা বাড়েই।

নওগাঁর কয়েকটি ফুলের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় আকারের শুধু গোলাপ দিয়ে তৈরি তোড়া বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা, মাঝারি ২ থেকে ৩ হাজার আর ছোট আকৃতির ১ থেকে ২ হাজার টাকা। গাঁদা কিংবা গ্ল্যাডিওলাস দিয়ে বড় আকারের তোড়া বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, মাঝারি ধরনের ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ফুল দিয়ে তৈরি বড় আকারের তোড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, মাঝারি আকারের ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা আর ছোট আকারের তোড়া ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়।

এদিকে একটি লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা, গোলাপ কাগজে মোড়াতে লাগছে ২০-২৫ টাকা, অন্যান্য রঙের গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, রঙিন গ্ল্যাডিওলাস ৩০-৩৫ টাকা, রজনীগন্ধার স্টিক ১৫-২০ টাকা।

একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তোড়া কিনতে এসেছিলেন নওগাঁর একটি সামাজিক সংগঠনের কর্মী শাকিল হোসেন। তিনি বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশিই মনে হচ্ছে। তবে তাঁদের কাছে দামের চেয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা বা ফুল দিয়ে ভালোবাসা জানানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

কনকচাঁপা ফুলঘরের মালিক অমিত মণ্ডল বলেন, বসন্তজুড়েই তাঁদের ব্যবসার মৌসুম। পয়লা বসন্ত, ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের ব্যবসা জমজমাট থাকে। এরপর আবার স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলা নববর্ষে তাঁদের ব্যবসা জমে ওঠে। বছরের অন্যান্য সময় এত পরিমাণ ফুল বিক্রি হয় না। কিন্তু এবার অন্য সময়ের চেয়ে বেচাকেনা তুলনামূলক কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত