Ajker Patrika

এক সেতুতে বিস্তর অভিযোগ

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ৪৩
এক সেতুতে বিস্তর অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বিনানই পূর্বপাড়া মরা নদীতে ৫২ মিটার একটি সেতুর ঢালাই কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শাখাওয়াত হোসেনের উপস্থিতিতে নিম্নমানের ওই নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করা হয়। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, সেখানে ঢালাই কাজের জন্য ব্যবহার হয়েছে মাটি মিশ্রিত নিম্নমানের পাথর ও লাল বালুর পরিবর্তে স্থানীয় সাধারণ সাদা বালু।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানান, গত বুধবারে ওই ঢালাইর কাজে পাথর চেলে দেওয়া কথা ছিল। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ওই দিন পার হয়ে গেলেও এ কাজ গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে আরসিসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন সাংসদ আব্দুল মজিদ মণ্ডল। সেতুটির বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সেতুটির দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজ তা পাঁচ বছরে নিয়ে এসেছে। সেতুটির দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছিলেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইমন ইসলাম মজিদ বলেন, এই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ওই দিন (মঙ্গলবার) সকালে ৫০ শতাংশ ঢালাই কাজ শেষ হয়েছে।

ইমন ইসলাম মজিদ আরও বলেন, সেতু নির্মাণে যেমন ঠিকাদারের গাফিলতি রয়েছে, সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের তদারকিরও চরম অভাব আছে। এ কারণে দীর্ঘ কয়েক বছর সময় চলে গেলেও সেতুটির নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এ ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে সেতুটির স্ট্রাকচার নির্মাণ করায় বর্ষায় নৌকা চলাচলে মারাত্মক বাধার সৃষ্টি হবে।

ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম বলেন, এখানে নিম্নমানের কোনো কিছু নেই। কাজ দেরিতে হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুবার নকশার পরিবর্তন হওয়ার কারণে কিছুটা সময় লেগেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেনের কাছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর ব্যাপারে জানতে চাইলে গত মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘এগুলো পাথরের ডাস্ট, পর দিন বুধবার থেকে পাথর চেলে দেওয়া হবে।’ আর বালুর ব্যাপারে বলেন, ‘এগুলোকে স্থানীয় বালু বললে আমি মেনে নেব না, তবে এই বালুতে এফএম (মোটা) কম আছে।’

সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত