সম্পাদকীয়
শীতের সবজির দাম কমলে কার না ভালো লাগে? শীতকালে সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। একটু একটু করে শীতের সবজির দাম কমতে থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে ক্রেতাদের মনে। চারপাশে সবকিছুর দাম যখন বাড়ন্ত, তখন শীতের সবজি যদি নাগালের মধ্যে থাকে, তাহলে তা আনন্দের সংবাদই বটে।
কিন্তু শীতের সবজির দাম কমতে থাকায় ক্রেতারা খুশি হলেও ফসল ফলান যে কৃষক, তিনি কি খুশি হতে পেরেছেন? এটাই মূল প্রশ্ন। ফসল ফলানো, সরবরাহ, পরিবহন খরচ, পথের বাড়তি খরচের পর ক্রেতারা যখন সবজি কেনেন, তখন তার দাম আর কৃষকের হাতে আসা কাঁচা টাকার মধ্যে দুস্তর ব্যবধান থাকে। ক্রেতার মনের এই স্বস্তি কিন্তু আপেক্ষিক। কৃষক পান না ন্যায্য দাম, ক্রেতা কিনতে পারেন না ন্যায্য দামে। কৃষক ও ক্রেতার মাঝখানে যাঁরা থাকেন, সরলভাবে যাঁদের মধ্যস্বত্বভোগী বলা হয়ে থাকে, তাঁরাই আসলে ফায়দা লোটেন।
কথাগুলো বলতে হলো আজকের পত্রিকায় নওগাঁ প্রতিনিধির পাঠানো একটি খবরের সূত্র ধরে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর ফসল ফলানোর খরচ বেড়ে গেছে অনেকটা। সার, কীটনাশক আর সেচ—প্রতিটির ক্ষেত্রেই দাম বেড়েছে। ফলে ফসল উৎপাদনের খরচও বেড়ে গেছে। কিন্তু বাজারে যে দামে নিজের মাঠের সবজি বিক্রি করতে হয়, তা কৃষকের উৎপাদন খরচ ছাপিয়ে যায় কি না, সে প্রশ্নের কোনো সহজ উত্তর নেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অবশ্য বলেছেন, যেহেতু উৎপাদন বেশি, তাই আশাব্যঞ্জক ফলন পাওয়া গেলে দাম কিছুটা কম হলেও কৃষকেরা লাভবান হবেন।
সেটা হতেই পারে। আর মৌসুমের শুরুতে যে বাড়তি দাম পাওয়া গেছে, সেটাও কৃষককে খানিকটা স্বস্তি দিতে পারে। মৌসুমের শুরুতে যে দাম থাকে সবজির, তা তো আকাশছোঁয়া। সেই বাড়তি দামের একটা অংশ কৃষকেরাও পান। সেটা হয়তো সাময়িক স্বস্তিও দেয় তাঁদের। ফলে মৌসুমের শুরুতে তাঁদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে ব্যবধান থাকে কম। এরপর ধীরে ধীরে দাম কমতে থাকলে তাঁদের দুর্দিনের শুরু। ক্রেতা খুশি হচ্ছেন আগের চেয়ে কম দামে কিনতে পেরে, কিন্তু সেটাই ন্যায্য দাম, এ রকম মনে করার কোনো কারণ নেই।
পাইকারি আর খুচরা বাজারে বিক্রি-বাট্টায় যে দামের পার্থক্য, তা মোটেও স্বাভাবিক নয়। মধ্যস্বত্বভোগীদের চ্যালেঞ্জ করার কেউ কি আছে? কৃষকের হাত থেকে ক্রেতার হাতে সবজি পৌঁছানোর মাঝখানের পথটাই সবচেয়ে রহস্যময়। সেখানে পুঁজি ছাড়াই দেদার টাকা কামিয়ে নেন এই মধ্যস্বত্বভোগীরা। যে পরিবহনে করে সবজি আসে, সেই পরিবহনকে কোথায় কোথায় বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়, সে কথাও কি কারও অজানা? কুইনাইন তো জ্বর সারাবে, কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে?—এই প্রশ্নটি তো এখনো দালাল-প্রশ্নে প্রকটভাবে বিদ্যমান।
হ্যাঁ, সবজি ফলিয়ে কৃষক আর সবজি কিনে ক্রেতা—দুজনের মুখে হাসি থাকলেই এ গল্পটি সুন্দর ও আনন্দময় হয়ে উঠতে পারত।
শীতের সবজির দাম কমলে কার না ভালো লাগে? শীতকালে সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। একটু একটু করে শীতের সবজির দাম কমতে থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে ক্রেতাদের মনে। চারপাশে সবকিছুর দাম যখন বাড়ন্ত, তখন শীতের সবজি যদি নাগালের মধ্যে থাকে, তাহলে তা আনন্দের সংবাদই বটে।
কিন্তু শীতের সবজির দাম কমতে থাকায় ক্রেতারা খুশি হলেও ফসল ফলান যে কৃষক, তিনি কি খুশি হতে পেরেছেন? এটাই মূল প্রশ্ন। ফসল ফলানো, সরবরাহ, পরিবহন খরচ, পথের বাড়তি খরচের পর ক্রেতারা যখন সবজি কেনেন, তখন তার দাম আর কৃষকের হাতে আসা কাঁচা টাকার মধ্যে দুস্তর ব্যবধান থাকে। ক্রেতার মনের এই স্বস্তি কিন্তু আপেক্ষিক। কৃষক পান না ন্যায্য দাম, ক্রেতা কিনতে পারেন না ন্যায্য দামে। কৃষক ও ক্রেতার মাঝখানে যাঁরা থাকেন, সরলভাবে যাঁদের মধ্যস্বত্বভোগী বলা হয়ে থাকে, তাঁরাই আসলে ফায়দা লোটেন।
কথাগুলো বলতে হলো আজকের পত্রিকায় নওগাঁ প্রতিনিধির পাঠানো একটি খবরের সূত্র ধরে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর ফসল ফলানোর খরচ বেড়ে গেছে অনেকটা। সার, কীটনাশক আর সেচ—প্রতিটির ক্ষেত্রেই দাম বেড়েছে। ফলে ফসল উৎপাদনের খরচও বেড়ে গেছে। কিন্তু বাজারে যে দামে নিজের মাঠের সবজি বিক্রি করতে হয়, তা কৃষকের উৎপাদন খরচ ছাপিয়ে যায় কি না, সে প্রশ্নের কোনো সহজ উত্তর নেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অবশ্য বলেছেন, যেহেতু উৎপাদন বেশি, তাই আশাব্যঞ্জক ফলন পাওয়া গেলে দাম কিছুটা কম হলেও কৃষকেরা লাভবান হবেন।
সেটা হতেই পারে। আর মৌসুমের শুরুতে যে বাড়তি দাম পাওয়া গেছে, সেটাও কৃষককে খানিকটা স্বস্তি দিতে পারে। মৌসুমের শুরুতে যে দাম থাকে সবজির, তা তো আকাশছোঁয়া। সেই বাড়তি দামের একটা অংশ কৃষকেরাও পান। সেটা হয়তো সাময়িক স্বস্তিও দেয় তাঁদের। ফলে মৌসুমের শুরুতে তাঁদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে ব্যবধান থাকে কম। এরপর ধীরে ধীরে দাম কমতে থাকলে তাঁদের দুর্দিনের শুরু। ক্রেতা খুশি হচ্ছেন আগের চেয়ে কম দামে কিনতে পেরে, কিন্তু সেটাই ন্যায্য দাম, এ রকম মনে করার কোনো কারণ নেই।
পাইকারি আর খুচরা বাজারে বিক্রি-বাট্টায় যে দামের পার্থক্য, তা মোটেও স্বাভাবিক নয়। মধ্যস্বত্বভোগীদের চ্যালেঞ্জ করার কেউ কি আছে? কৃষকের হাত থেকে ক্রেতার হাতে সবজি পৌঁছানোর মাঝখানের পথটাই সবচেয়ে রহস্যময়। সেখানে পুঁজি ছাড়াই দেদার টাকা কামিয়ে নেন এই মধ্যস্বত্বভোগীরা। যে পরিবহনে করে সবজি আসে, সেই পরিবহনকে কোথায় কোথায় বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়, সে কথাও কি কারও অজানা? কুইনাইন তো জ্বর সারাবে, কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে?—এই প্রশ্নটি তো এখনো দালাল-প্রশ্নে প্রকটভাবে বিদ্যমান।
হ্যাঁ, সবজি ফলিয়ে কৃষক আর সবজি কিনে ক্রেতা—দুজনের মুখে হাসি থাকলেই এ গল্পটি সুন্দর ও আনন্দময় হয়ে উঠতে পারত।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫