Ajker Patrika

পীরগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন

পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩২
পীরগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন

পীরগঞ্জে নানা আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার পীরগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। সেই সঙ্গে পরিষদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মণ্ডল, পৌর মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র, সাপ্তাহিক বজ্রকথা পত্রিকার সম্পাদক সুলতান আহমেদ সোনা প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

পীরগঞ্জ থানা শত্রুমুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পরদিন ৭ ডিসেম্বর হাজারো মানুষ বিজয় মিছিলে অংশ নেন। তাই ৭ ডিসেম্বরকে পীরগঞ্জ থানা শত্রুমুক্ত হওয়ার দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তখনকার প্রত্যক্ষদর্শী প্রবীণদের মতে, পাকিস্তানি সেনাদের আস্তানা ছিল থানা সদরে। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বহর দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত পার হয়ে ৬ ডিসেম্বর বিকেলে ছুটে আসে। মিত্রবাহিনীর সদস্যরা খালাশপীর, কাদিরাবাদ ও ত্রি-মোহনী সেতুর আশপাশে অবস্থান নিয়ে সূর্যাস্তের পূর্বেই পাক সেনাদের আস্তানার ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করেন।

রাত গভীর হলে একসময় ছত্রভঙ্গ হয়ে পাক সেনারা পিছু হটতে শুরু করেন। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে তাঁদের একটি অংশ রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বড়দগাহ এলাকায় মিত্রবাহিনীর অপর অংশের কাছে বাধাপ্রাপ্ত হয়। অপর অংশটি গাড়িবহর নিয়ে মহাসড়ক ধরে বগুড়া সেনানিবাসের উদ্দেশ্ে পালিয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন একটি অংশ জীবনের ভয়ে অস্ত্র ও পোশাক খুলে হেঁটে মিঠিপুর এলাকায় পালায়। সেখানে তাঁরা জনগণের হাতে ধরা পড়ে নাজেহাল হয়। শেষে গভীর রাতে ট্যাংক বহর নিয়ে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা বিজয়ের বেশে পীরগঞ্জ থানা সদরে প্রবেশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত