সম্পাদকীয়
বিপদে পড়লেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জেলে তাঁদের জন্য যে বাবুর্চি রান্না করতেন, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাহলে রান্না করবে কে? বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রান্নাবান্নার খুব একটা সম্পর্ক ছিল না, তবু বাবুর্চির কাছাকাছি থেকে একটা পাকপ্রণালি আবিষ্কার করেছিলেন। এক মেট একটা মুরগি নিয়ে এসেছিল, সেটা ডিম দেওয়া শুরু করেছে। তাতে খুব খুশি হলেন বঙ্গবন্ধু। বললেন, ‘খুব ভালো, রেখে দাও। মুরগিকে বাচ্চা দেওয়াব।’
এর একটা কারণ আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্য যে ডিম
বরাদ্দ ছিল, তা বেশির ভাগ সময় পচা হতো। কীভাবে
যেন সরবরাহকারীরা জেল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে
ফেলত। ঘুষের কারবার যে এখানেও চলে, তার প্রমাণ তো এই ঘটনাই।
২৬ নম্বর সেলে থাকতেন নিরাপত্তাবন্দীরা। সেই যে ১৯৫৮ সাল থেকে নিরাপত্তা রক্ষার নামে যাঁদের বন্দী করা হয়েছে, ১৯৬৬ সালের সেই সময় পর্যন্ত তাঁরা জেলখানায় ছিলেন। তাঁরা যে বাগান করেছেন, সেই বাগানে কুমড়ার ডগা, কাঁকরোল, ঝিঙে হয়েছে। সেগুলোই তাঁরা পাঠিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কাছে। তাঁরা যে শেখ মুজিবের কথা মনে রেখেছেন, সে কথা ভেবেই কৃতজ্ঞতায় ভরে গেল বঙ্গবন্ধুর মন।
এ সময় একদিন ফলি মাছ রান্না করতে হবে। ফলি মাছের কোপ্তা হয় ভালো। বাবুর্চিও জানে না কী করে ফলি মাছের কোপ্তা তৈরি করতে হয়। বাবুর্চির সঙ্গে পরামর্শ করে নিজেদের মতো করেই ফলি মাছের কোপ্তা তৈরি করলেন তাঁরা। কিন্তু খেতে গিয়ে বুঝতে পারলেন, এটা আর যা-ই হোক, কোপ্তা হয়নি। কী আর করা! চুপ করে খেয়ে নিতে হলো। আর অন্যদের বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘বাবারা, বাড়িতে যে রকম খাই, তার ধারেকাছে দিয়েও যায় নাই। যা হোক, খেয়ে ফেলো, ফলি মাছ তো!’
নিজে বাবুর্চি হয়ে যা বানালেন, ভাগ্যিস, বাইরের লোকে তা খায়নি, খেলে সেই কোপ্তা তারা বঙ্গবন্ধুর মাথাতেই ঢালত! এই কথা ভেবে হাসলেন তিনি।
সূত্র: শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা ১৩১-১৩২
বিপদে পড়লেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জেলে তাঁদের জন্য যে বাবুর্চি রান্না করতেন, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাহলে রান্না করবে কে? বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রান্নাবান্নার খুব একটা সম্পর্ক ছিল না, তবু বাবুর্চির কাছাকাছি থেকে একটা পাকপ্রণালি আবিষ্কার করেছিলেন। এক মেট একটা মুরগি নিয়ে এসেছিল, সেটা ডিম দেওয়া শুরু করেছে। তাতে খুব খুশি হলেন বঙ্গবন্ধু। বললেন, ‘খুব ভালো, রেখে দাও। মুরগিকে বাচ্চা দেওয়াব।’
এর একটা কারণ আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্য যে ডিম
বরাদ্দ ছিল, তা বেশির ভাগ সময় পচা হতো। কীভাবে
যেন সরবরাহকারীরা জেল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে
ফেলত। ঘুষের কারবার যে এখানেও চলে, তার প্রমাণ তো এই ঘটনাই।
২৬ নম্বর সেলে থাকতেন নিরাপত্তাবন্দীরা। সেই যে ১৯৫৮ সাল থেকে নিরাপত্তা রক্ষার নামে যাঁদের বন্দী করা হয়েছে, ১৯৬৬ সালের সেই সময় পর্যন্ত তাঁরা জেলখানায় ছিলেন। তাঁরা যে বাগান করেছেন, সেই বাগানে কুমড়ার ডগা, কাঁকরোল, ঝিঙে হয়েছে। সেগুলোই তাঁরা পাঠিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কাছে। তাঁরা যে শেখ মুজিবের কথা মনে রেখেছেন, সে কথা ভেবেই কৃতজ্ঞতায় ভরে গেল বঙ্গবন্ধুর মন।
এ সময় একদিন ফলি মাছ রান্না করতে হবে। ফলি মাছের কোপ্তা হয় ভালো। বাবুর্চিও জানে না কী করে ফলি মাছের কোপ্তা তৈরি করতে হয়। বাবুর্চির সঙ্গে পরামর্শ করে নিজেদের মতো করেই ফলি মাছের কোপ্তা তৈরি করলেন তাঁরা। কিন্তু খেতে গিয়ে বুঝতে পারলেন, এটা আর যা-ই হোক, কোপ্তা হয়নি। কী আর করা! চুপ করে খেয়ে নিতে হলো। আর অন্যদের বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘বাবারা, বাড়িতে যে রকম খাই, তার ধারেকাছে দিয়েও যায় নাই। যা হোক, খেয়ে ফেলো, ফলি মাছ তো!’
নিজে বাবুর্চি হয়ে যা বানালেন, ভাগ্যিস, বাইরের লোকে তা খায়নি, খেলে সেই কোপ্তা তারা বঙ্গবন্ধুর মাথাতেই ঢালত! এই কথা ভেবে হাসলেন তিনি।
সূত্র: শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা ১৩১-১৩২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৩ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫