আবু হোসাইন সুমন, রামপাল (বাগেরহাট)
আগামী ১ নভেম্বর থেকে পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চরে শুরু হবে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ মৌসুম। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাগেরহাটের রামপালের জেলে-মহাজনেরা। সাগরে যাওয়ার জন্য যে যাঁর মতো জাল, দড়ি, নৌকা ও ট্রলার প্রস্তুত করছেন। কেউ নতুন ট্রলার তৈরি করেছেন, আবার কেউ পুরোনো ট্রলার মেরামত করছেন।
অনেকে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সমুদ্রযাত্রার অপেক্ষায় রয়েছেন। বন বিভাগের অনুমতি নিয়েই আজ মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকে দুবলার উদ্দেশে সমুদ্রযাত্রা শুরু করবেন রামপালের এ জেলেরা।
বন বিভাগ ও জেলে-মহাজন সূত্রে জানা যায়, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ শুঁটকি মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। টানা পাঁচ মাস দুবলার চরে থাকবেন জেলেরা। সেখানে গিয়ে প্রথমে থাকার ঘর, মাছ শুকানো ও সংরক্ষণের মাচা-চাতাল তৈরি করবেন তাঁরা। আর তাঁদের ঘর-মাচা তৈরির সব খুঁটি-বাঁশ-চটা, কাঠপাট-বেড়া নিয়ে রওনা হচ্ছেন জেলেরা। কারণ, সুন্দরবনে সব ধরনের গাছপালা কাটা ও তা ব্যবহারে বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
রামপালের পেড়িখালীর জেলে আলামিন শেখ বলেন, বন বিভাগের নির্দেশ আছে সুন্দরবনের কোনো গাছ-পাতা কাটা ও ব্যবহার করা যাবে না। তাই ঘর ও মাছ শুকানোর মাচা বানানোর প্রয়োজনীয় সবকিছুই নিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার রাত বা আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁরা সাগরে রওনা হবেন।
একই এলাকার জুলমত মোল্লা বলেন, তিনি দুবলার চরে শুঁটকির কারবার করেন, জাল-নৌকাসহ লোকজন নিয়ে তাঁরা প্রস্তুত হয়েছেন। গতকাল রাত ১২টার পর চলমান ইলিশ সংরক্ষণের অবরোধ উঠে যাবে। এরপর ওই রাতে বা আজ সকালে বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতিপত্র (পাস) নিয়ে সাগরে রওনা হবেন।
জেলে মো. কাশেম বলেন, তিনি শুধুই শুঁটকির কাজ করেন। ছয় মাস পর আজ মঙ্গলবার দুবলায় যাবেন। সেখানে পাঁচ মাস থাকবেন। সেখান থেকে যে আয় হবে তা দিয়ে বছরের বাকি সময় চলবেন।
রামপালে দুবলাগামী জেলে-মহাজনদের ট্রলার তৈরি, মেরামত ও জাল প্রস্তুতে ব্যস্ত বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাঠমিস্ত্রিরা। এ মৌসুমকে ঘিরে মাস খানেক আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে রামপালে আসা মিস্ত্রিরা চুক্তিভিত্তিক ট্রলার তৈরি, মেরামত ও জাল সেলাইয়ের কাজ করছেন। খুলনার কয়রা থেকে রামপালের জেলেদের ট্রলার মেরামতে আসা কাঠমিস্ত্রি নেছারুল শেখ বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে তিনি এখানে এসেছেন। ঘুরে ঘুরে দুবলায় যাওয়া মহাজনদের ট্রলার মেরামতের কাজ করছেন। প্রতিবছর এ মৌসুমের আগে আসেন, ভালো আয় হয়।
বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন একসময়ে জেলেদের জন্য দস্যুভীতি থাকলেও এখন আর তা নেই। তাই সাগর-সুন্দরবনে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা মাথায় নিয়ে আজ থেকে গভীর সাগরে ছুটবেন রামপালের প্রায় তিন হাজার জেলে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির রামপাল উপজেলা শাখার সভাপতি শহীদ মল্লিক বলেন, এবার তাঁদের এ এলাকা থেকে প্রায় ২৫০টি মাছ ধরার ট্রলার দুবলার চরে যাচ্ছে। আর প্রতিটি ট্রলারে ১০ থেকে ১২ জন করে জেলে থাকছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে জানমাল ও লাভের টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরবেন সমুদ্রগামী এ জেলেরা।
সব প্রস্তুতি শেষে মঙ্গলবার বন বিভাগের কাছ থেকে পাস (অনুমতিপত্র) নিয়ে জেলেরা নিজ নিজ এলাকা থেকে রওনা হয়ে সরাসরি যাবেন দুবলার চরে। যাওয়ার পথে সুন্দরবনের কোনো নদী-খালে প্রবেশ ও অবস্থান করতে পারবেন না এ জেলেরা। এ ছাড়া দুবলার চরে অবস্থানকালেও সাগর ছাড়া সুন্দরবনের খালে প্রবেশ ও সেখানে মাছ ধরতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ হাজার জেলে দুবলার চরে সমবেত হন। দুবলার চরে এবারও মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন এলাকার প্রায় দেড় হাজার ট্রলার যাচ্ছে। মৌসুমজুড়ে সাগর থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাছাই করে সেখানে শুঁটকি করবেন তাঁরা।
তিনি আরও বলেন, এ বছরও চরে জেলেদের থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৯৫০টি ঘর ও ৫০-৫২টি ডিপো স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। সেখানে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বন বিভাগের পাশাপাশি র্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যরা থাকবেন। গত শুঁটকির মৌসুমে দুবলার চর থেকে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও সমপরিমাণ কিংবা তার চেয়েও বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব বলে আশা করেন তিনি।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চরে শুরু হবে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ মৌসুম। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাগেরহাটের রামপালের জেলে-মহাজনেরা। সাগরে যাওয়ার জন্য যে যাঁর মতো জাল, দড়ি, নৌকা ও ট্রলার প্রস্তুত করছেন। কেউ নতুন ট্রলার তৈরি করেছেন, আবার কেউ পুরোনো ট্রলার মেরামত করছেন।
অনেকে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সমুদ্রযাত্রার অপেক্ষায় রয়েছেন। বন বিভাগের অনুমতি নিয়েই আজ মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকে দুবলার উদ্দেশে সমুদ্রযাত্রা শুরু করবেন রামপালের এ জেলেরা।
বন বিভাগ ও জেলে-মহাজন সূত্রে জানা যায়, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ শুঁটকি মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। টানা পাঁচ মাস দুবলার চরে থাকবেন জেলেরা। সেখানে গিয়ে প্রথমে থাকার ঘর, মাছ শুকানো ও সংরক্ষণের মাচা-চাতাল তৈরি করবেন তাঁরা। আর তাঁদের ঘর-মাচা তৈরির সব খুঁটি-বাঁশ-চটা, কাঠপাট-বেড়া নিয়ে রওনা হচ্ছেন জেলেরা। কারণ, সুন্দরবনে সব ধরনের গাছপালা কাটা ও তা ব্যবহারে বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
রামপালের পেড়িখালীর জেলে আলামিন শেখ বলেন, বন বিভাগের নির্দেশ আছে সুন্দরবনের কোনো গাছ-পাতা কাটা ও ব্যবহার করা যাবে না। তাই ঘর ও মাছ শুকানোর মাচা বানানোর প্রয়োজনীয় সবকিছুই নিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার রাত বা আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁরা সাগরে রওনা হবেন।
একই এলাকার জুলমত মোল্লা বলেন, তিনি দুবলার চরে শুঁটকির কারবার করেন, জাল-নৌকাসহ লোকজন নিয়ে তাঁরা প্রস্তুত হয়েছেন। গতকাল রাত ১২টার পর চলমান ইলিশ সংরক্ষণের অবরোধ উঠে যাবে। এরপর ওই রাতে বা আজ সকালে বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতিপত্র (পাস) নিয়ে সাগরে রওনা হবেন।
জেলে মো. কাশেম বলেন, তিনি শুধুই শুঁটকির কাজ করেন। ছয় মাস পর আজ মঙ্গলবার দুবলায় যাবেন। সেখানে পাঁচ মাস থাকবেন। সেখান থেকে যে আয় হবে তা দিয়ে বছরের বাকি সময় চলবেন।
রামপালে দুবলাগামী জেলে-মহাজনদের ট্রলার তৈরি, মেরামত ও জাল প্রস্তুতে ব্যস্ত বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাঠমিস্ত্রিরা। এ মৌসুমকে ঘিরে মাস খানেক আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে রামপালে আসা মিস্ত্রিরা চুক্তিভিত্তিক ট্রলার তৈরি, মেরামত ও জাল সেলাইয়ের কাজ করছেন। খুলনার কয়রা থেকে রামপালের জেলেদের ট্রলার মেরামতে আসা কাঠমিস্ত্রি নেছারুল শেখ বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে তিনি এখানে এসেছেন। ঘুরে ঘুরে দুবলায় যাওয়া মহাজনদের ট্রলার মেরামতের কাজ করছেন। প্রতিবছর এ মৌসুমের আগে আসেন, ভালো আয় হয়।
বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন একসময়ে জেলেদের জন্য দস্যুভীতি থাকলেও এখন আর তা নেই। তাই সাগর-সুন্দরবনে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা মাথায় নিয়ে আজ থেকে গভীর সাগরে ছুটবেন রামপালের প্রায় তিন হাজার জেলে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির রামপাল উপজেলা শাখার সভাপতি শহীদ মল্লিক বলেন, এবার তাঁদের এ এলাকা থেকে প্রায় ২৫০টি মাছ ধরার ট্রলার দুবলার চরে যাচ্ছে। আর প্রতিটি ট্রলারে ১০ থেকে ১২ জন করে জেলে থাকছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে জানমাল ও লাভের টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরবেন সমুদ্রগামী এ জেলেরা।
সব প্রস্তুতি শেষে মঙ্গলবার বন বিভাগের কাছ থেকে পাস (অনুমতিপত্র) নিয়ে জেলেরা নিজ নিজ এলাকা থেকে রওনা হয়ে সরাসরি যাবেন দুবলার চরে। যাওয়ার পথে সুন্দরবনের কোনো নদী-খালে প্রবেশ ও অবস্থান করতে পারবেন না এ জেলেরা। এ ছাড়া দুবলার চরে অবস্থানকালেও সাগর ছাড়া সুন্দরবনের খালে প্রবেশ ও সেখানে মাছ ধরতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ হাজার জেলে দুবলার চরে সমবেত হন। দুবলার চরে এবারও মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন এলাকার প্রায় দেড় হাজার ট্রলার যাচ্ছে। মৌসুমজুড়ে সাগর থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাছাই করে সেখানে শুঁটকি করবেন তাঁরা।
তিনি আরও বলেন, এ বছরও চরে জেলেদের থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৯৫০টি ঘর ও ৫০-৫২টি ডিপো স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। সেখানে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বন বিভাগের পাশাপাশি র্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যরা থাকবেন। গত শুঁটকির মৌসুমে দুবলার চর থেকে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও সমপরিমাণ কিংবা তার চেয়েও বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব বলে আশা করেন তিনি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫