রাহুল শর্মা, ঢাকা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার কথা ভাবছে সরকার। অথচ এক দিন বাড়তি ছুটিতে কতটুকু বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। এ অবস্থায় সরকারের এ ভাবনার সঙ্গে একমত নন শিক্ষাবিদেরা। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি বাড়লে করোনাকালে ছাত্রছাত্রীদের শেখার যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা আরও বেড়ে যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বাজেট) মো. নূর-ই-আলম গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন বাড়লে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরকে আলাদা করে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা বিদ্যুৎ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে।’
বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ স্কুল ও কলেজে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বাকি ছয় দিন পাঠদান হয়। আবার কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চলমান সংকটের কথা উল্লেখ করে গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা যায় কি না, সে বিষয়টা ভেবে দেখছি। আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে। সেটাকে আমরা এ বছর থেকেই বাস্তবায়ন করব কি না, তা ভেবে দেখছি। এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত বলতে পারছি না। তবে আমরা এটা নিয়ে ভাবছি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’
শিক্ষাবিদদের ভাষ্য, করোনার কারণে দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের শেখায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এখন নিয়মিত সশরীরে ক্লাস হওয়ায় তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। হঠাৎ করে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ানো হলে শেখার ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
শিক্ষার বিনিময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে শিক্ষাটা কি গুরুত্বপূর্ণ নয়? আগে সরকারের লোকজনকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সাশ্রয়ের উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। কিছু হলেই আগে প্রথম আঘাতটা শিক্ষার ওপর করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ালে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, তা জনগণকে জানানো উচিত।’
সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খানও এখনই সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে আমাদের শিক্ষায় যে ঘাটতি হয়েছে তা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তিযুক্ত নয় বলে আমি মনে করি।’
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ তাহমিনা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনায় শিক্ষার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের শেখায় মারাত্মক ঘাটতি হয়েছে। যা এখন কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। হঠাৎ করে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়লে এ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। তাই বলা যায়, এ সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষণ ঘাটতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার কথা ভাবছে সরকার। অথচ এক দিন বাড়তি ছুটিতে কতটুকু বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। এ অবস্থায় সরকারের এ ভাবনার সঙ্গে একমত নন শিক্ষাবিদেরা। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি বাড়লে করোনাকালে ছাত্রছাত্রীদের শেখার যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা আরও বেড়ে যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বাজেট) মো. নূর-ই-আলম গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন বাড়লে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরকে আলাদা করে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা বিদ্যুৎ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে।’
বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ স্কুল ও কলেজে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বাকি ছয় দিন পাঠদান হয়। আবার কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চলমান সংকটের কথা উল্লেখ করে গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা যায় কি না, সে বিষয়টা ভেবে দেখছি। আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে। সেটাকে আমরা এ বছর থেকেই বাস্তবায়ন করব কি না, তা ভেবে দেখছি। এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত বলতে পারছি না। তবে আমরা এটা নিয়ে ভাবছি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’
শিক্ষাবিদদের ভাষ্য, করোনার কারণে দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের শেখায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এখন নিয়মিত সশরীরে ক্লাস হওয়ায় তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। হঠাৎ করে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ানো হলে শেখার ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
শিক্ষার বিনিময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে শিক্ষাটা কি গুরুত্বপূর্ণ নয়? আগে সরকারের লোকজনকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সাশ্রয়ের উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। কিছু হলেই আগে প্রথম আঘাতটা শিক্ষার ওপর করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ালে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, তা জনগণকে জানানো উচিত।’
সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খানও এখনই সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে আমাদের শিক্ষায় যে ঘাটতি হয়েছে তা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তিযুক্ত নয় বলে আমি মনে করি।’
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ তাহমিনা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনায় শিক্ষার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের শেখায় মারাত্মক ঘাটতি হয়েছে। যা এখন কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। হঠাৎ করে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়লে এ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। তাই বলা যায়, এ সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষণ ঘাটতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫