সম্পাদকীয়
বহু ঘটনার ভিড়ে এটাকে হয়তোবা একটি অতিক্ষুদ্র ঘটনা হিসেবে ছুড়ে ফেলে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করলে দেখা যাবে, সামাজিক বন্ধনগুলো খুলে খুলে যাওয়ায় এ রকম এক অস্বাভাবিক অবস্থায় আমরা পতিত হয়েছি। আত্মশক্তি গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।
নিজের দুই ছেলের শাস্তির দাবিতে বাবাকে দাঁড়াতে হয়েছে মানববন্ধনে। ভাবা যায়! তাঁর দুই ছেলে মাদকের কারবার করে। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-লুটপাট করে এলাকাবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে তারা। ফলে বাবা যখন ছেলেদের বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন, তখন এলাকাবাসীদেরও পেয়েছেন সঙ্গে।
ছেলে দুটি বড্ড সরেস। বাবাকে তারা পিটিয়েছে আগে। নিজের বাবার শরীরে হাত দিতে হলে কিছু মূল্যবোধ থেকে মুক্ত হতে হয়। শ্রদ্ধা-ভালোবাসাকে বিদায় জানাতে হয়।
কারও পরোয়া না করার শিক্ষা থাকতে হয়। গুণধর পুত্র দুটি এই সবকিছুকেই জয় করেছে। এগুলো তাদের জন্য কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
ঢাকার ধামরাইয়ের আবেদ আলীর ক্রন্দনরত ছবিটি যেন অভিভাবক ও নতুন প্রজন্মের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নির্মম পোস্টার। যাদবপুর ইউনিয়নের গোমগ্রামের মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আবেদ আলীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কারণ, আতাউর আর খোকন এলাকাবাসীর আতঙ্ক হিসেবে ইতিমধ্যেই নাম কিনে নিয়েছে।
সবাই যখন জানে, এই দুই ভাই মাদকের কারবার করে, এলাকাবাসীর সবকিছু লুটপাট করে নেয়, কাউকে হত্যার হুমকি দেয়, তখন স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কানে কি তাদের সম্পর্কে কোনো অভিযোগ যায়নি? মাদকের কারবার দেদার ঘটছে আর আইনের রক্ষকেরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকছেন—এটা কি সম্ভব?
সব সম্ভবের এ দেশে আতাউর আর খোকনেরা দাপটের সঙ্গেই তাদের দুষ্কর্ম সম্পন্ন করে যেতে পারবে যদি না সত্যিই আন্তরিকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চলে। কোত্থেকে মাদক আসে, কারা আনে, কারা বিক্রি করে, কারা গ্রহণ করে, তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনেরও তো মাথা ঘামানো উচিত। তারা কী করছে?
সমাজের বন্ধনটা কেন এ রকম শিথিল হয়ে পড়ল, সে বিষয়ে নিশ্চয়ই সমাজতাত্ত্বিকেরা গবেষণা করবেন। আমরা শুধু ভাবতে পারি, যে রকম একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে উঠতে পারত, তা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় আমাদের এখন নানা কিছু সহ্য করতে হচ্ছে। সমাজের শরীরে দগদগে ঘায়ের মতো এসব যন্ত্রণা এসে জায়গা করে নিয়েছে। অথচ সমাজপতিরাই এগুলোর টুঁটি চিপে ধরতে পারতেন। নিজ এলাকায় কী হয়, না হয়, তা তাঁরা বেমালুম জানেন। কিন্তু পেশিশক্তিকে নৈতিক শক্তির চেয়ে বড় করে দেখার কারণে এগুলোই বিষফোড়ার মতো সমাজের শরীরে জন্মাচ্ছে।
নৈতিক শিক্ষাবর্জিত সমাজ বা পরিবারের প্রতি কোনো ধরনের দায় অনুভব করছে না সন্তানেরা। অভিভাবকেরাও এমন কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারছেন না, যা দেখে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার প্রতি আকৃষ্ট হয় মানুষ। ফলে নিজ সন্তানের বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে পিতাকে। ঘটনাটি শেক্সপিয়ারের হাতে পড়লে একটা ভালো ট্র্যাজেডির দেখা পেত বিশ্ব!
বহু ঘটনার ভিড়ে এটাকে হয়তোবা একটি অতিক্ষুদ্র ঘটনা হিসেবে ছুড়ে ফেলে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করলে দেখা যাবে, সামাজিক বন্ধনগুলো খুলে খুলে যাওয়ায় এ রকম এক অস্বাভাবিক অবস্থায় আমরা পতিত হয়েছি। আত্মশক্তি গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।
নিজের দুই ছেলের শাস্তির দাবিতে বাবাকে দাঁড়াতে হয়েছে মানববন্ধনে। ভাবা যায়! তাঁর দুই ছেলে মাদকের কারবার করে। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-লুটপাট করে এলাকাবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে তারা। ফলে বাবা যখন ছেলেদের বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন, তখন এলাকাবাসীদেরও পেয়েছেন সঙ্গে।
ছেলে দুটি বড্ড সরেস। বাবাকে তারা পিটিয়েছে আগে। নিজের বাবার শরীরে হাত দিতে হলে কিছু মূল্যবোধ থেকে মুক্ত হতে হয়। শ্রদ্ধা-ভালোবাসাকে বিদায় জানাতে হয়।
কারও পরোয়া না করার শিক্ষা থাকতে হয়। গুণধর পুত্র দুটি এই সবকিছুকেই জয় করেছে। এগুলো তাদের জন্য কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
ঢাকার ধামরাইয়ের আবেদ আলীর ক্রন্দনরত ছবিটি যেন অভিভাবক ও নতুন প্রজন্মের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নির্মম পোস্টার। যাদবপুর ইউনিয়নের গোমগ্রামের মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আবেদ আলীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কারণ, আতাউর আর খোকন এলাকাবাসীর আতঙ্ক হিসেবে ইতিমধ্যেই নাম কিনে নিয়েছে।
সবাই যখন জানে, এই দুই ভাই মাদকের কারবার করে, এলাকাবাসীর সবকিছু লুটপাট করে নেয়, কাউকে হত্যার হুমকি দেয়, তখন স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কানে কি তাদের সম্পর্কে কোনো অভিযোগ যায়নি? মাদকের কারবার দেদার ঘটছে আর আইনের রক্ষকেরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকছেন—এটা কি সম্ভব?
সব সম্ভবের এ দেশে আতাউর আর খোকনেরা দাপটের সঙ্গেই তাদের দুষ্কর্ম সম্পন্ন করে যেতে পারবে যদি না সত্যিই আন্তরিকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চলে। কোত্থেকে মাদক আসে, কারা আনে, কারা বিক্রি করে, কারা গ্রহণ করে, তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনেরও তো মাথা ঘামানো উচিত। তারা কী করছে?
সমাজের বন্ধনটা কেন এ রকম শিথিল হয়ে পড়ল, সে বিষয়ে নিশ্চয়ই সমাজতাত্ত্বিকেরা গবেষণা করবেন। আমরা শুধু ভাবতে পারি, যে রকম একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে উঠতে পারত, তা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় আমাদের এখন নানা কিছু সহ্য করতে হচ্ছে। সমাজের শরীরে দগদগে ঘায়ের মতো এসব যন্ত্রণা এসে জায়গা করে নিয়েছে। অথচ সমাজপতিরাই এগুলোর টুঁটি চিপে ধরতে পারতেন। নিজ এলাকায় কী হয়, না হয়, তা তাঁরা বেমালুম জানেন। কিন্তু পেশিশক্তিকে নৈতিক শক্তির চেয়ে বড় করে দেখার কারণে এগুলোই বিষফোড়ার মতো সমাজের শরীরে জন্মাচ্ছে।
নৈতিক শিক্ষাবর্জিত সমাজ বা পরিবারের প্রতি কোনো ধরনের দায় অনুভব করছে না সন্তানেরা। অভিভাবকেরাও এমন কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারছেন না, যা দেখে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার প্রতি আকৃষ্ট হয় মানুষ। ফলে নিজ সন্তানের বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে পিতাকে। ঘটনাটি শেক্সপিয়ারের হাতে পড়লে একটা ভালো ট্র্যাজেডির দেখা পেত বিশ্ব!
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫