বাংলা সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ উপন্যাসটি যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন উপন্যাসের চরিত্রগুলো ক্রীতদাসের জীবনযাপন করলেও জীবন ছিল আনন্দময়। তাদের জীবনে আনন্দ ছিল, গান ছিল, কবিতা ছিল, প্রেম ছিল। কষ্টের মাঝেও তারা জীবনের সৌন্দর্য উপভোগ করার পথ খুঁজে বের করত।
তপন সিংহের মনে হলো, তিনি ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’ উপন্যাসটি ধরে একটি সিনেমা তৈরি করবেন। উপন্যাসের যে ব্যাপ্তি, তাতে দুই ভাগে ভাগ করে ছবিটি করলে বেশ হতো। কিন্তু আমাদের এই অঞ্চলে দুই পর্বে ছবি করার রীতি নেই। তাই একটি সিনেমা তৈরি করবেন বলে ভাবলেন।
স্ক্রিপ্ট করে তারাশঙ্করকে শোনাতে গেলেন তপন সিংহ। তারাশঙ্কর বললেন, ‘দ্যাখো, আমি সিনেমার কিছু বুঝি না। নাটক হয়তো একটু-আধটু বুঝি। আমি শুনে কী করব। ও তুমি যা হয় করো।’
তপন সিংহ বললেন, ‘লোকেশন দেখতে লাভপুরে যাব।’ তারাশঙ্কর বললেন, ‘চলো, আমিও তোমাদের সঙ্গে যাই।’
মাইলের পর মাইল হাঁটছেন তাঁরা, আর ক্রমাগত গ্রামের ইতিহাস বলে যাচ্ছেন তারাশঙ্কর। একবার একটু থামার পর চায়ে চুমুক দিয়ে তারাশঙ্কর বললেন, ‘তপন, তোমার সঙ্গে একটা বাজি ধরতে চাই। শুধু লাভপুরেরই নয়, আশপাশের গ্রামে কতগুলো গাছ আছে, আমি বলে দিতে পারি।’
তপন বললেন, ‘না। বাজি ধরব না। আমি জানি আপনি তা পারবেন।’ এরপর অনেক গ্রাম ঘুরে তপন বললেন, ‘দাদা, এক কাজ করলে হয় না? বনোয়ারি, করালী, পাখি, নসুবালাদের বাড়িগুলো তো এখনো আছে। ওই বাড়িগুলোতেই শুটিং করব। নাই-বা জানল আর কেউ।’
শুনে খুব খুশি হলেন তারাশঙ্কর। কাজ শুরু হলো। তারাশঙ্কর প্রায়ই আসতেন লোকেশনে। একদিন সেখানে এক বৃদ্ধা এসে বললেন, ‘বাবুকে একটিবার দেখতে এলাম।’
তারাশঙ্কর তাঁকে দেখিয়ে অন্যদের বললেন, ‘হাঁসুলিবাঁকের নসুবালা।’
উপন্যাসের চরিত্ররা জীবন্ত হয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগল লোকেশনে।
সূত্র: তপন সিংহ, মনে পড়ে, পৃষ্ঠা ৭০-৭৩
বাংলা সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ উপন্যাসটি যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন উপন্যাসের চরিত্রগুলো ক্রীতদাসের জীবনযাপন করলেও জীবন ছিল আনন্দময়। তাদের জীবনে আনন্দ ছিল, গান ছিল, কবিতা ছিল, প্রেম ছিল। কষ্টের মাঝেও তারা জীবনের সৌন্দর্য উপভোগ করার পথ খুঁজে বের করত।
তপন সিংহের মনে হলো, তিনি ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’ উপন্যাসটি ধরে একটি সিনেমা তৈরি করবেন। উপন্যাসের যে ব্যাপ্তি, তাতে দুই ভাগে ভাগ করে ছবিটি করলে বেশ হতো। কিন্তু আমাদের এই অঞ্চলে দুই পর্বে ছবি করার রীতি নেই। তাই একটি সিনেমা তৈরি করবেন বলে ভাবলেন।
স্ক্রিপ্ট করে তারাশঙ্করকে শোনাতে গেলেন তপন সিংহ। তারাশঙ্কর বললেন, ‘দ্যাখো, আমি সিনেমার কিছু বুঝি না। নাটক হয়তো একটু-আধটু বুঝি। আমি শুনে কী করব। ও তুমি যা হয় করো।’
তপন সিংহ বললেন, ‘লোকেশন দেখতে লাভপুরে যাব।’ তারাশঙ্কর বললেন, ‘চলো, আমিও তোমাদের সঙ্গে যাই।’
মাইলের পর মাইল হাঁটছেন তাঁরা, আর ক্রমাগত গ্রামের ইতিহাস বলে যাচ্ছেন তারাশঙ্কর। একবার একটু থামার পর চায়ে চুমুক দিয়ে তারাশঙ্কর বললেন, ‘তপন, তোমার সঙ্গে একটা বাজি ধরতে চাই। শুধু লাভপুরেরই নয়, আশপাশের গ্রামে কতগুলো গাছ আছে, আমি বলে দিতে পারি।’
তপন বললেন, ‘না। বাজি ধরব না। আমি জানি আপনি তা পারবেন।’ এরপর অনেক গ্রাম ঘুরে তপন বললেন, ‘দাদা, এক কাজ করলে হয় না? বনোয়ারি, করালী, পাখি, নসুবালাদের বাড়িগুলো তো এখনো আছে। ওই বাড়িগুলোতেই শুটিং করব। নাই-বা জানল আর কেউ।’
শুনে খুব খুশি হলেন তারাশঙ্কর। কাজ শুরু হলো। তারাশঙ্কর প্রায়ই আসতেন লোকেশনে। একদিন সেখানে এক বৃদ্ধা এসে বললেন, ‘বাবুকে একটিবার দেখতে এলাম।’
তারাশঙ্কর তাঁকে দেখিয়ে অন্যদের বললেন, ‘হাঁসুলিবাঁকের নসুবালা।’
উপন্যাসের চরিত্ররা জীবন্ত হয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগল লোকেশনে।
সূত্র: তপন সিংহ, মনে পড়ে, পৃষ্ঠা ৭০-৭৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫