সম্পাদকীয়
১৯৭১ সালে সারা বাংলাদেশেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল বধ্যভূমি। সব বধ্যভূমির কথা ইতিহাসে উঠে আসেনি। এলেও তার গভীরতা বুঝিনি আমরা।
তেমনি একটি বধ্যভূমি ছিল জিঞ্জিরায়। ২ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা জিঞ্জিরায় যে তাণ্ডবের জন্ম দিয়েছিল, তা বর্ণনা করা কঠিন। মূলত এই নৃশংসতা ঘটেছিল কেরানীগঞ্জ থানার জিঞ্জিরা, কালিন্দি ও শুভাড্যায়।
অন্য অনেকের মতো কবি নির্মলেন্দু গুণও ঢাকা থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন জিঞ্জিরায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রথম যে কবিতাটি লিখেছিলেন কবি, তার রচনাকাল ২৮ মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে। সেই কবিতায় ‘মানুষের মৃত হাড়ে সে এখন সশস্ত্র সন্ত্রাস’ পঙ্ক্তিটি ছিল। আরও দুটো পঙ্ক্তি ছিল এ রকম,
‘তাড়াতে তাড়াতে তুমি কত দূর নেবে?
এইতো আবার আমি ফিরে দাঁড়িয়েছি।’
২ এপ্রিল তিনি ছিলেন শুভাড্যায়। ভোর ৫টার দিকে কবির ঘুম ভাঙে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে। দরজা খুলতে দেরি হচ্ছে দেখে আশ্রয়দানকারীর পুত্র রফিক ফিসফিস করে বলে, ‘আপনারা তাড়াতাড়ি পালান, তাড়াতাড়ি…দেরি করবেন না, আর্মি আসছে।’ ভোরের পবিত্রতা ভেঙে তখন মর্টারের শেল আর মেশিনগানের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
দৌড়ে সবাই মসজিদের দিকে যাচ্ছিল। মসজিদ লোকে লোকারণ্য। গুণেরও ঠাঁই হলো সেখানে। মসজিদের সামনের পাকা উঠোনে বেশ কিছু মৃত ও অর্ধমৃত পুরুষের দেহ পড়ে আছে।
মসজিদে কয়েকটি কোরআন শরিফ। তার একটি হাতে নিলেন গুণ। তাঁর মনে পড়ল স্কুলজীবনে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী লিখে তিনি জীবনের প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছিলেন।
এ সময় সূর্যের আলোয় দেখা গেল পাকিস্তানিদের গানবোট এসে হাজির হয়েছে বুড়িগঙ্গার তীরে। এক তরুণ গুণকে বললেন, ‘কবি সাহেব, আমি আপনাকে চিনি। আপনি মসজিদ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যান। বলা যায় না, কেউ হয়তো আপনাকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরিয়ে দেবে। আর এক মুহূর্ত দেরি করবেন না।’
পাশের খোলা জানালা দিয়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলেন কবি।
সূত্র: নির্মলেন্দু গুণ, আত্মকথা ১৯৭১, পৃষ্ঠা ১৬০-১৬৪
১৯৭১ সালে সারা বাংলাদেশেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল বধ্যভূমি। সব বধ্যভূমির কথা ইতিহাসে উঠে আসেনি। এলেও তার গভীরতা বুঝিনি আমরা।
তেমনি একটি বধ্যভূমি ছিল জিঞ্জিরায়। ২ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা জিঞ্জিরায় যে তাণ্ডবের জন্ম দিয়েছিল, তা বর্ণনা করা কঠিন। মূলত এই নৃশংসতা ঘটেছিল কেরানীগঞ্জ থানার জিঞ্জিরা, কালিন্দি ও শুভাড্যায়।
অন্য অনেকের মতো কবি নির্মলেন্দু গুণও ঢাকা থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন জিঞ্জিরায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রথম যে কবিতাটি লিখেছিলেন কবি, তার রচনাকাল ২৮ মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে। সেই কবিতায় ‘মানুষের মৃত হাড়ে সে এখন সশস্ত্র সন্ত্রাস’ পঙ্ক্তিটি ছিল। আরও দুটো পঙ্ক্তি ছিল এ রকম,
‘তাড়াতে তাড়াতে তুমি কত দূর নেবে?
এইতো আবার আমি ফিরে দাঁড়িয়েছি।’
২ এপ্রিল তিনি ছিলেন শুভাড্যায়। ভোর ৫টার দিকে কবির ঘুম ভাঙে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে। দরজা খুলতে দেরি হচ্ছে দেখে আশ্রয়দানকারীর পুত্র রফিক ফিসফিস করে বলে, ‘আপনারা তাড়াতাড়ি পালান, তাড়াতাড়ি…দেরি করবেন না, আর্মি আসছে।’ ভোরের পবিত্রতা ভেঙে তখন মর্টারের শেল আর মেশিনগানের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
দৌড়ে সবাই মসজিদের দিকে যাচ্ছিল। মসজিদ লোকে লোকারণ্য। গুণেরও ঠাঁই হলো সেখানে। মসজিদের সামনের পাকা উঠোনে বেশ কিছু মৃত ও অর্ধমৃত পুরুষের দেহ পড়ে আছে।
মসজিদে কয়েকটি কোরআন শরিফ। তার একটি হাতে নিলেন গুণ। তাঁর মনে পড়ল স্কুলজীবনে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী লিখে তিনি জীবনের প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছিলেন।
এ সময় সূর্যের আলোয় দেখা গেল পাকিস্তানিদের গানবোট এসে হাজির হয়েছে বুড়িগঙ্গার তীরে। এক তরুণ গুণকে বললেন, ‘কবি সাহেব, আমি আপনাকে চিনি। আপনি মসজিদ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যান। বলা যায় না, কেউ হয়তো আপনাকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরিয়ে দেবে। আর এক মুহূর্ত দেরি করবেন না।’
পাশের খোলা জানালা দিয়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলেন কবি।
সূত্র: নির্মলেন্দু গুণ, আত্মকথা ১৯৭১, পৃষ্ঠা ১৬০-১৬৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫