মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
আল্লাহ তাআলা যেদিন প্রথম মানুষকে পৃথিবীতে পাঠান, সেদিনই তিনি বলে দেন—সেখানে যাওয়ার পর কী করতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী যারা চলবে, তারা সরল পথে পরিচালিত হয়ে জান্নাতে ফিরে আসবে আর যারা বিরোধিতা করবে, তাদের পার্থিব জীবনও সুখকর হবে না এবং আখিরাতেও তাদের অবস্থা ভয়াবহ হবে। আল্লাহ তাআলা তাঁর কথা অনুসারে মানবজাতিকে সৎ পথ প্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে মানুষের মধ্য থেকেই অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠান। তাঁরা আল্লাহর পাঠানো বিধিনিষেধ কথা ও কাজের মাধ্যমে মানুষকে বোঝান। পৃথিবীতে মানবজাতির সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত এমন কোনো জাতি নেই, যাদের কাছে নবী-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহর বিধিনিষেধ পৌঁছানো হয়নি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এমন কোনো জাতি নেই, যাদের কাছে সতর্ককারী আসেনি।’ (সুরা ফাতির: ২৪)
সবশেষে আল্লাহ তাআলা শ্রেষ্ঠ রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে গোটা বিশ্ববাসীর হেদায়াতের আলোকবর্তিকা হিসেবে পাঠান। তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে আল্লাহর বিধিবিধান কিয়ামত পর্যন্ত সব মানুষের সামনে স্পষ্ট করে দেন। আল্লাহর বিধান অনুসারে মানুষের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও লেনদেন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি কেমন হওয়া চাই, সবকিছু তিনি হাতে-কলমে শিখিয়ে যান। সুতরাং একজন মানুষ নিজেকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে পরিচালিত করতে চাইলে তাঁর অনুসরণের বিকল্প নেই।
এ জন্যই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন, ‘যে রাসুলের আনুগত্য করে, সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করে।’ (সুরা নিসা: ৮০) অন্য আয়াতে বলেন, ‘রাসুল যা নির্দেশ দেয়, তা মেনে চলো এবং যা থেকে নিষেধ করে, তা থেকে বিরত থাকো।’ (সুরা হাশর: ৭) অন্যত্র রাসুল (সা.)-কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বলো, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার আনুগত্য করো; তিনি তোমাদের ভালোবাসবেন।’
(সুরা আল-ইমরান: ৩১) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১)
আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, সব শ্রেণির মানুষের জন্য মহানবী (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি দিক সম্পর্কে জানা কতটা জরুরি। তা ছাড়া পরিপূর্ণ মুমিন হওয়ার জন্য রাসুলের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকা শর্ত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা ততক্ষণ ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ আমাকে নিজেদের প্রাণ, বাবা-মা, সন্তানসন্ততি ও সব মানুষ থেকে বেশি ভালোবাসবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম) আর মহানবী (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা করার নামই সিরাত চর্চা। সাহাবায়ে কেরামের সময় থেকে যুগে যুগে মানুষ সিরাতের চর্চা করে আসছে। আজও এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। যত দিন পৃথিবী থাকবে, তত দিন মহামানব মহানবী (সা.)-এর মহাজীবন চর্চার প্রয়োজনীয়তাও থাকবে। কখনো তা বন্ধ হবে না।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ তাআলা যেদিন প্রথম মানুষকে পৃথিবীতে পাঠান, সেদিনই তিনি বলে দেন—সেখানে যাওয়ার পর কী করতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী যারা চলবে, তারা সরল পথে পরিচালিত হয়ে জান্নাতে ফিরে আসবে আর যারা বিরোধিতা করবে, তাদের পার্থিব জীবনও সুখকর হবে না এবং আখিরাতেও তাদের অবস্থা ভয়াবহ হবে। আল্লাহ তাআলা তাঁর কথা অনুসারে মানবজাতিকে সৎ পথ প্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে মানুষের মধ্য থেকেই অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠান। তাঁরা আল্লাহর পাঠানো বিধিনিষেধ কথা ও কাজের মাধ্যমে মানুষকে বোঝান। পৃথিবীতে মানবজাতির সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত এমন কোনো জাতি নেই, যাদের কাছে নবী-রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহর বিধিনিষেধ পৌঁছানো হয়নি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এমন কোনো জাতি নেই, যাদের কাছে সতর্ককারী আসেনি।’ (সুরা ফাতির: ২৪)
সবশেষে আল্লাহ তাআলা শ্রেষ্ঠ রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে গোটা বিশ্ববাসীর হেদায়াতের আলোকবর্তিকা হিসেবে পাঠান। তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে আল্লাহর বিধিবিধান কিয়ামত পর্যন্ত সব মানুষের সামনে স্পষ্ট করে দেন। আল্লাহর বিধান অনুসারে মানুষের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও লেনদেন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি কেমন হওয়া চাই, সবকিছু তিনি হাতে-কলমে শিখিয়ে যান। সুতরাং একজন মানুষ নিজেকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে পরিচালিত করতে চাইলে তাঁর অনুসরণের বিকল্প নেই।
এ জন্যই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন, ‘যে রাসুলের আনুগত্য করে, সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করে।’ (সুরা নিসা: ৮০) অন্য আয়াতে বলেন, ‘রাসুল যা নির্দেশ দেয়, তা মেনে চলো এবং যা থেকে নিষেধ করে, তা থেকে বিরত থাকো।’ (সুরা হাশর: ৭) অন্যত্র রাসুল (সা.)-কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বলো, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার আনুগত্য করো; তিনি তোমাদের ভালোবাসবেন।’
(সুরা আল-ইমরান: ৩১) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১)
আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, সব শ্রেণির মানুষের জন্য মহানবী (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি দিক সম্পর্কে জানা কতটা জরুরি। তা ছাড়া পরিপূর্ণ মুমিন হওয়ার জন্য রাসুলের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকা শর্ত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা ততক্ষণ ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ আমাকে নিজেদের প্রাণ, বাবা-মা, সন্তানসন্ততি ও সব মানুষ থেকে বেশি ভালোবাসবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম) আর মহানবী (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা করার নামই সিরাত চর্চা। সাহাবায়ে কেরামের সময় থেকে যুগে যুগে মানুষ সিরাতের চর্চা করে আসছে। আজও এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। যত দিন পৃথিবী থাকবে, তত দিন মহামানব মহানবী (সা.)-এর মহাজীবন চর্চার প্রয়োজনীয়তাও থাকবে। কখনো তা বন্ধ হবে না।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫