Ajker Patrika

শেষ সময়ে অলংকার, জুতা ও প্রসাধনীর দোকানে ভিড়

অর্চি হক, ঢাকা
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮: ৪৩
শেষ সময়ে অলংকার, জুতা ও প্রসাধনীর দোকানে ভিড়

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। উৎসবের এই দিনে পরার জন্য জামাকাপড় কেনা হয়ে গেছে আগেই। কিন্তু পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা আর আনুষঙ্গিক জিনিস কেনা হয়নি এখনো। শুধু কি তাই! ঈদের দিনে বাসায় আসবে মেহমান। সে জন্য ঘরটাকেও সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা চাই। তাই রমজান মাসের শেষ সময়ে এসে ক্রেতার ভিড় বেড়েছে জুতা, প্রসাধনী আর গৃহসজ্জাসামগ্রীর দোকানগুলোয়।

বিক্রেতারা বলছেন, এসব দোকানে সাধারণত ২০ রোজার পর থেকেই ক্রেতার ভিড় বাড়তে শুরু করে। তবে এবার ২৪-২৫ রোজার পর শুরু হয়েছে। এখন শিশু এবং নারীদের জুতা-স্যান্ডেল বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

রাজধানীর মৌচাক মার্কেটে মঙ্গলবার রাতে কথা হয় বিগ বাজার সুজের কর্ণধার মনির হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাচ্চাদের জুতা এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মেয়েদের স্যান্ডেলের চাহিদাও আছে।

একই ধরনের তথ্য দিলেন ভাইব্রেন্টের বনশ্রী শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রাকিব। তিনি বলেন, ১ হাজার ৯০ থেকে ১ হাজার ৪৯০ টাকার মধ্যে থাকা কিডস ও লেডিস স্যান্ডেলগুলোর চাহিদা এবার বেশি।

জুতার পাশাপাশি নারীদের প্রসাধনী, অলংকার আর ওড়নার দোকানগুলোতেও বেড়েছে ভিড়। মৌচাক মার্কেটের দোকান সমাহারের কর্ণধার শামীম খান বলেন, ‘এই শেষ সময়টার অপেক্ষাতেই থাকি। এখন ম্যাচিং ওড়নাগুলো খুব বিক্রি হচ্ছে। আর প্রসাধনীর মধ্যে মেহেদির বিক্রি বেড়েছে। প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০টি মেহেদি বিক্রি হচ্ছে।

তবে প্রসাধনী, অলংকার আর ম্যাচিং ওড়নার জন্য প্রসিদ্ধ গাউছিয়া, চাঁদনী চকের দোকানগুলোতে এবার শেষ সময়েও বিক্রি কম। নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ও গাউছিয়া-নিউমার্কেটের মধ্যকার পদচারী-সেতু ভেঙে ফেলায় এই অবস্থা হয়েছে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।

ন্যাশনাল ফ্যাশন হাউসের শাহ আলম লিটন বলেন, সাধারণত ২০-২২ রোজার পর থেকে কসমেটিকস ও আনুষঙ্গিক জিনিসের বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার ক্রেতা উল্টো কমেছে। ঈদের আগে আগে ডজন-ডজন মেহেদি বিক্রি হতো। এবার এক-দেড় ডজন বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের আগে সময়মতো পোশাক ডেলিভারি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দরজিরা। প্রায় সব দরজির দোকানেই নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি টুকটাক সেলাইয়ের কাজও নেওয়া হচ্ছে না কোথাও। এতে বিপাকে পড়ছেন অনেকে। মঙ্গলবার রাতে গাউছিয়া মার্কেটে কথা হয় কলেজছাত্রী কানিজ ইভানার সঙ্গে। একটি ফ্যাশন হাউস থেকে কেনা জামা লম্বায় বড় হওয়ায় এক ইঞ্চি ছোট করার জন্য দরজির দোকানে ঘুরছিলেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে কানিজ বলেন, সাতটা টেইলার্স ঘুরলাম। কেউ এখন এসব কাজ নিতে চাচ্ছে না। 
গাউছিয়া মার্কেটের দরজি মোহাম্মদ রিপন বলেন, ‘আমরা হাতে নেওয়া কাজ সময়মতো ডেলিভারি দিতেই হিমশিম খাইতেছি। দম ফেলবার সময় নাই। টুকিটাকি কাজে বেশি সময় যায়। তাই সেইগুলা নিতেছি না।’

ঈদের বাজারের শেষ সময়ে বেডশিট, পর্দা, কুশন, টেবিল ম্যাট, ডোর ম্যাট, শোপিসসহ ঘর সাজানোর সামগ্রীও বিক্রি হচ্ছে দেদার। নিউমার্কেটে চাদর ও পর্দা বিক্রেতা আলম খান বলেন, এই সময়টায় বিক্রি একটু বাড়ে। এবারও বেড়েছে। ভারী পর্দা ও চাদরের চেয়ে হালকা পর্দাগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, ঘর সাজানোর জিনিসগুলোর মধ্যে মাটির বিভিন্ন পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে। ক্রিস্টাল, কাচ বা প্লাস্টিকের সামগ্রীর চেয়ে মাটির পণ্যের দাম কম এবং দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় এই সামগ্রীগুলোর বিক্রি বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত