Ajker Patrika

ইউপি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ০৭
ইউপি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাইয়ের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অনলাইন কপি দেওয়ার বিধান না থাকলেও এই বাবদ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। এই টাকার বিপরীতে কোনো রশিদ দেওয়া হয়নি।

গত বুধবার ছিল ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ। নির্বাচনে ৮ ইউপিতে মোট ৪৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বেশ কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম মনোনয়নপত্রের সঙ্গে তাঁদের এনআইডি কার্ডের অনলাইন যাচাই কপি জমা দিতে বলেন। প্রতিটি যাচাই কপির জন্য তাঁর কার্যালয়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দিতে হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরাজপুর ইউপির এক সদস্য প্রার্থী বলেন, প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী ও তাঁর এনআইডির অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে। এ হিসাবে ৪৫৫ জন প্রার্থীর কাছ থেকে ২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রার্থীরা জানান, এ টাকার বিপরীতে কোনো রশিদ দেওয়া হয়নি। এভাবে সব প্রার্থীকে টাকা দিয়ে এনআইডির যাচাই কপি সংগ্রহ করতে হয়েছে।

এনআইডির প্রতিটি অনলাইন যাচাই কপির জন্য চালানের মাধ্যমে সরকারি নিয়ম মোতাবেক ১১৫ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। কিন্তু কোনো চালান কপি ছাড়াই নির্বাচন অফিসের কর্মচারীরা নিজেরাই যাচাই কপি বের করে ২০০ টাকা হারে প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন অফিসের এক ব্যক্তি জানান, এনআইডি যাচাই কপি বাবদ ১৫০ টাকা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশনা ছিল। এর মধ্যে ১০০ টাকা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং বাকি টাকা কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়। তবে ১৫০ টাকা হারে আদায় করা ওই টাকা সরকারি চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা হয়েছে কি না তাঁদের জানা নেই।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট কার্ডে ১০ সংখ্যা থাকায় ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বরের জন্য যাচাই কপি নিতে বলা হয়েছিল। যাচাই কপির জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন জানলাম। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি দিতে বলা হয়নি। শুধু ফটোকপির সঙ্গে ভোটার তালিকার অংশবিশেষ জমা দেওয়ার নিয়ম। কেউ অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোম্পানীগঞ্জে আট ইউপিতে চেয়ারম্যান ৪৩ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৮৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৩২৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এই উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত