Ajker Patrika

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাকে হত্যা, ছেলের জবানবন্দি

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ২৯
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাকে হত্যা, ছেলের জবানবন্দি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের শান্তিনগর গ্রামে বৃদ্ধা জোহরা খাতুন হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য ছেলে জমির খাঁ বৃদ্ধা মা জোহরা খাতুনকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত সোমবার দুপুরে থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ঘাতক জমির খাঁ তাঁর মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে জমির খাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, আখাউড়া পৌরশহরের শান্তিনগর গ্রামে বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমির খাঁর সঙ্গে তাঁর চাচা প্রতিবেশী বজলু খাঁর বিরোধ চলে আসছে। আদালতের রায়ে জমির খাঁর পক্ষকে বাড়ির সম্পত্তির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সম্পত্তির দখল বুঝে পেলেও প্রতিপক্ষ বজলু খাঁ ও তাঁর লোকজন সম্পত্তি ফিরে পেতে জমির খাঁকে মিথ্যা মামলা ও হামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। ওই কারণে প্রতিপক্ষ বজলু খাঁকে ফাঁসাতে পরিকল্পনা করেন জমির খাঁ।

রোববার সকাল থেকে সম্পত্তির জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুপুরের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে জমির খাঁ তাঁর বৃদ্ধা মাকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর রক্তমাখা দা ঘরের সিলিংয়ের ওপর রেখে দেন জমির খাঁ। নিহতের রক্তাক্ত লাশ ওই ঘরের এক কোণে পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে।

ওই দিন সন্ধ্যায় নিহত জোহরার ছেলে জমির খাঁসহ প্রতিপক্ষের ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জমির খাঁ সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাঁর বৃদ্ধা মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

পরে গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন জমির। স্বীকারোক্তি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ ঈশান জানান, হত্যাকাণ্ডের হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করায় অনেক মানুষ হয়রানি থেকে বেঁচে গেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিলেটে পাথর লুটে জড়িত দুই দলের ৩৫ নেতা

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত