Ajker Patrika

পেঁয়াজের চারা রোপণে চাষিদের ব্যস্ত সময়

মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ০৬
পেঁয়াজের চারা রোপণে চাষিদের ব্যস্ত সময়

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাষিরা পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এখন মাঠে মাঠে পড়েছে পেঁয়াজের চারা রোপণের ধুম। কৃষকেরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পেঁয়াজের চারা রোপণের কাজ করেছেন। এ বছর পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের খরচ পূর্বের থেকে দুই থেকে তিন গুণ কমেছে।

সরেজমিন উপজেলার যদুবয়রা, বাগুলাট, পান্টি, চাপড়া ও চাঁদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে দেখা গেছে, বিভিন্ন মাঠে ১৫ থেকে ২০ জন দলবদ্ধভাবে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন। একজন লোহার ছোট লাঙল দিয়ে সারি কাটছেন আর অন্যরা সেই সারিতে চারা রোপণ করছেন।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল বছর পেঁয়াজের খোলা বীজ প্রতিকেজি ৬ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর তা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকায়। আর পেঁয়াজের চারা গেল বছর প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

আরও জানা গেছে, বীজ, চারা, সার, পরিচর্যাসহ এবার বিঘা প্রতি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ হবে ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা। এ বছর মাঠেমাঠে বিদেশি কিং জাতীয় চারা রোপণ করা হচ্ছে। এ জাতের পেঁয়াজ বিঘায় ৪৫ থেকে ৬০ মণ উৎপন্ন হয়। যার বাজার মূল্য ৪০ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা হতে পারে।

এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বিঘা জমির জন্য বীজ কিনেছিলাম দুই কেজি ১৬ হাজার টাকা দিয়ে। এবার চারা ভালো হয়েছে। আশা করছি গত বছরের চেয়ে অর্ধেক খরচে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারব।’

একই গ্রামের কৃষক আকমল হোসেন বলেন, ‘পেঁয়াজ চাষে খরচ কমেছে দ্বিগুণের বেশি। বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি। প্রায় নয় হাজার টাকার চারা লেগেছে। বরইচারা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজই কৃষকের সবচেয়ে লাভজনক ফসল। এবারও তিনবিঘা জমিতে চারা লাগিয়েছি। ভালো দাম ও ফলন পাব আশা করছি।’

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন কৃষক বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে এবার সময়মতো বীজ পেয়েছি। তাঁদের দিকনির্দেশনায় চারা ভালো হয়েছে। এখন রোপণের কাজ চলছে। এবারও ভালো ফলন হবে।’

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট কৃষিজমির পরিমাণ ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর। গত বছর পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৯৯০ হেক্টর এবং পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল ৫ হাজার ৫৯০ হেক্টরে। যা কৃষিজমির ১৯ শতাংশেরও বেশি। এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ হেক্টর।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ‘এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে উপযোগী। কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। আশা করছি এবারও ভালো ফলন ও কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

নারীর প্রতি অবমাননা: হেফাজতকে তিন এনসিপি নেত্রীসহ ৬ নারীর লিগ্যাল নোটিশ

মানবিক করিডরে বাংলাদেশের ফায়দা কী

রোগী দেখতে হবে কমপক্ষে ১০ মিনিট, অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা

সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে নিখোঁজ, ভোরে কালভার্টের নিচে মিলল নারীর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত