Ajker Patrika

ভালুকায় থামছেই না ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা

ভালুকা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৫২
ভালুকায় থামছেই না ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা

ভালুকায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা থামছেই না। উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের পর মেদুয়ারী, রাজৈ, ভরাডোবা, কাচিনা, মল্লিকবাড়ীতে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভরাডোবার ভাটগাও গ্রামে বিজয়ী সদস্যের কর্মী সমর্থকেরা পরাজিত এক প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এতে মামুন ও জুয়েল নামে দুজন আহত হন। এ সময় স্থানীয় জসিমের দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে। একই ইউনিয়নের ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক আবুল বাশারের বাসায় হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এতে আবুল বাশার ও তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আহত হন। এ ঘটনায় বাশার থানায় অভিযোগ করেছেন।

এদিকে মেদুয়ারী ইউনিয়নে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা অপর পরাজিত প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট মাসুদকে মারধর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত মাসুদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একই ইউনিয়নের সোয়াইল গ্রামে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকের অপমান সইতে না পেরে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক হাফিজ উদ্দিন গত বুধবার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরাজিত প্রার্থী শাহজাহান জানান, বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন হাফিজকে অপমান করে। সে অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

অপরদিকে মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ধামশুর গ্রামে নির্বাচন কেন্দ্রের এজেন্ট তৌহিদ, শাহীন ও শাওনকে মারধর করে প্রতিপক্ষ। তাঁদেরকে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই ইউনিয়নের বর্তা গ্রামে এক প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ওপর হামলা করে।

এতে কামরুল, সিয়াম, মোফাজ্জল আহত হন। এর মধ্যে কামরুলের পা ভেঙে যাওয়ায় তাঁকে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হন। এ ছাড়া কাচিনার তামাট গ্রামে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকেরা পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক মোস্তফাকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনায় যেন তাদের কর্মী ও সমর্থকেরা না জড়ায়, সে দিকে নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত