নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
অবশেষে হাতির করিডর (চলাচলের পথ) রক্ষায় উদ্যোগী হয়েছে বন সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) হাতির চলাচলের পথ চিহ্নিত করার পাঁচ বছর পর অবশেষে ওই ১২টি করিডর গেজেট আকারে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন বিভাগের অধীনে থাকা ১২টি করিডরের জায়গা চিহ্নিত করতে মাঠে নামছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। ওই চিঠিতে করিডরগুলোর দাগ, খতিয়ান, কী পরিমাণ জায়গা আছে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করিডরের ওই জায়গাগুলোর মালিকানায় কারা আছেন এসব তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আমরা (কমিটি) একটা মিটিং করবো। এরপরই মাঠ পর্যায় থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হবে।’
২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে হাতির ১২টি করিডরের সন্ধান পায় আইইউসিএন। কিন্তু এসব করিডর সংরক্ষণ না করায় হাতির চলাচল পথে মানুষ বসতিসহ নানা ধরনের স্থাপনা তৈরি করে। সংরক্ষণের অভাবে এই ১২টি করিডরের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
১২টি করিডরের মধ্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের অধীনে থাকা উখিয়া-ঘুমধুম, পানেরছড়া-তুলাবাগান ও নাইক্ষ্যংছড়ি-রাজারকুল করিডর দিয়ে উখিয়া-টেকনাফ ও রামুর বনভূমির হাতিগুলো বান্দরবান ও মিয়ানমারে চলাচল করতো। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর উখিয়া-ঘুমধুম করিডরটি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। রামুতে বিশাল জায়গা বরাদ্দ নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট তৈরির কারণে তুলাবাগান-পানেরছড়া করিডরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই কারণে হাতির চলাচল পথগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি বেড়েছে হাতি-মানুষের সংঘর্ষ।
এক বন থেকে অন্য বনে যেতে না পেরে হাতি চলে আসছে লোকালয়ে। আর তাতে ঘটছে প্রাণহানি। গত তিন বছরে হাতির আক্রমণে মারা গেছে ২৪ জন। অন্যদিকে একই সময়ে ৪৪টি হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় হাতির চলাচল পথ সংরক্ষণের দাবি উঠে। সম্প্রতি এই ১২টি করিডর সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন হাতি নিয়ে কাজ করা ঢাকার তিন বাসিন্দা। গত ২১ নভেম্বর করা ওই রিটে করিডরগুলো সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে গেজেটভুক্ত করতেও আদেশ চাওয়া হয়।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইইউসিএন তাদের মাঠ পর্যায়ের জরিপে হাতির যে ১২টি করিডরের তথ্য দিয়েছিল আমরা ওই ১২টি করিডর গেজেটভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ আদালতের নির্দেশনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অবশেষে হাতির করিডর (চলাচলের পথ) রক্ষায় উদ্যোগী হয়েছে বন সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) হাতির চলাচলের পথ চিহ্নিত করার পাঁচ বছর পর অবশেষে ওই ১২টি করিডর গেজেট আকারে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন বিভাগের অধীনে থাকা ১২টি করিডরের জায়গা চিহ্নিত করতে মাঠে নামছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। ওই চিঠিতে করিডরগুলোর দাগ, খতিয়ান, কী পরিমাণ জায়গা আছে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করিডরের ওই জায়গাগুলোর মালিকানায় কারা আছেন এসব তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আমরা (কমিটি) একটা মিটিং করবো। এরপরই মাঠ পর্যায় থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হবে।’
২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে হাতির ১২টি করিডরের সন্ধান পায় আইইউসিএন। কিন্তু এসব করিডর সংরক্ষণ না করায় হাতির চলাচল পথে মানুষ বসতিসহ নানা ধরনের স্থাপনা তৈরি করে। সংরক্ষণের অভাবে এই ১২টি করিডরের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
১২টি করিডরের মধ্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের অধীনে থাকা উখিয়া-ঘুমধুম, পানেরছড়া-তুলাবাগান ও নাইক্ষ্যংছড়ি-রাজারকুল করিডর দিয়ে উখিয়া-টেকনাফ ও রামুর বনভূমির হাতিগুলো বান্দরবান ও মিয়ানমারে চলাচল করতো। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর উখিয়া-ঘুমধুম করিডরটি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। রামুতে বিশাল জায়গা বরাদ্দ নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট তৈরির কারণে তুলাবাগান-পানেরছড়া করিডরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই কারণে হাতির চলাচল পথগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি বেড়েছে হাতি-মানুষের সংঘর্ষ।
এক বন থেকে অন্য বনে যেতে না পেরে হাতি চলে আসছে লোকালয়ে। আর তাতে ঘটছে প্রাণহানি। গত তিন বছরে হাতির আক্রমণে মারা গেছে ২৪ জন। অন্যদিকে একই সময়ে ৪৪টি হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় হাতির চলাচল পথ সংরক্ষণের দাবি উঠে। সম্প্রতি এই ১২টি করিডর সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন হাতি নিয়ে কাজ করা ঢাকার তিন বাসিন্দা। গত ২১ নভেম্বর করা ওই রিটে করিডরগুলো সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে গেজেটভুক্ত করতেও আদেশ চাওয়া হয়।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইইউসিএন তাদের মাঠ পর্যায়ের জরিপে হাতির যে ১২টি করিডরের তথ্য দিয়েছিল আমরা ওই ১২টি করিডর গেজেটভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ আদালতের নির্দেশনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪