Ajker Patrika

আখাউড়া মুক্ত হয় এদিন

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ২৮
আখাউড়া মুক্ত হয় এদিন

আখাউড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সোমবারে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে আখাউড়া মুক্ত হয়। এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরজিত করে পৌর শহরের সড়ক বাজার পোস্ট অফিসের সামনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ত্রিপুরা ঘেঁষা আখাউড়া ছিল পূর্বাঞ্চলীয় প্রবেশদার ও ৭১ রণাঙ্গনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ছিল। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকে আখাউড়া উপজেলার সর্বস্তরের জনগন মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। মুক্তিযোদ্ধ পরিচালনার জন্য দেশ প্রেমিক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, যুবক, শ্রমিকনেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে আখাউড়ায় গঠন করা হয় সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ। ওই পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন কাজী ওয়াহেদুর রহমান লিলু মিয়া।

এস ফোর্সের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সফিউল্লার তত্ত্বাবধানে এ যুদ্ধ চলতে থাকে। ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর আখাউড়া উত্তরে সীমান্তবর্তী আজমপুর, রাজাপুর, সিঙ্গারবিল, মিরাশানি এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর যুদ্ধ হয়। টানা ৩ দিন চলে এ যুদ্ধ। এ সময় অন্তত ৩৫ পাক সেনা নিহত হন। ৫ জনকে বন্দী করা হয়। মুক্তি বাহিনীর নায়েক সুবেদার আশরাফ আলী খান এ সময় শহীদ হন। আহত হয় অনেক মুক্তিযোদ্ধা। ৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনীরা আজমপুর অবস্থান নিলে সেখানেও যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ১১ জন সৈন্য নিহত হন। মুক্তিবাহিনীর ২ সিপাহি ও ১ নায়েক সুবেদার শহীদ হন। ৪ ও ৫ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর প্রায় ১৭০ জন সৈন্য নিহত হন। পরে গোটা আখাউড়া এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া পুরোপুরি হানাদার মুক্ত হয়।

তা ছাড়া আখাউড়া থানার খণ্ড যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো খরমপুর, দেবগ্রাম, তারাগন, নয়াদিল, দরুইন, টানমান্দাইল, গঙ্গাসাগর, কর্নেল বাজার, মনিয়ন্দ। আখাউড়ার মাটিতে রয়েছে অসংখ্য গণকবর। বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল আখাউড়ার মাটিতেই শহীদ হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত