সম্পাদকীয়
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও অধ্যাপক। তাঁকে ইউরোপে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার বাতিঘর বলা হতো। পঞ্চাশের দশকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে বাংলা কাব্যে স্বকীয়তা এনেছিলেন হাতে গোনা যে কয়েকজন, তাঁর মধ্যে তিনি অন্যতম।
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৬ অক্টোবর কলকাতায়। তাঁর শৈশব কেটেছে সাঁওতাল পরগনার রিখিয়ায়। শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা শেষ করে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে সাহিত্য নিয়ে উচ্চশিক্ষা শেষ করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ভারতীয় কবিতার শব্দমালা নিয়ে পিএইচডি করেছিলেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। ১৯৭২ সালে যোগ দেন হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারততত্ত্ব বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে। বাংলা-জার্মান সাহিত্যের মেলবন্ধনে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জার্মানির সরকার তাঁকে ‘গ্যেটে’ পুরস্কার প্রদান করে। পাকাপাকিভাবে কয়েক দশক জার্মানিতে থাকলেও কলকাতার সঙ্গে নাড়ির টান কখনো ছিন্ন করেননি।
জীবদ্দশায় প্রায় ২০টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের। তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: নিষিদ্ধ কোজাগরী, প্রতিদিন সূর্যের পার্বণ, রক্তাক্ত ঝরোখা, ছৌ কাবুকির মুখোশ, লঘুসংগীত ভোরের হাওয়ার মুখে, মরমি করাত, গিলোটিনে আলপনা, নদী ও রাত্রি বণ্টন হয়ে গেলে, আয়না যখন নিঃশ্বাস নেয়, এক-একটি উপভাষায় বৃষ্টি পড়ে, রক্তমেঘের স্কন্দপুরান। সোফোক্লেসের আন্তিগোনে, হ্যেল্ডারলিন, হাইনে, রিলকে, ব্রেখটের কবিতার পাশাপাশি অনুবাদ করেছেন সাঁওতালি কবি সুরদাসের কবিতা।
বাংলা থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন অসংখ্য কবিতা, প্রবন্ধ, গান। বাংলা, ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় বহুবিধ প্রবন্ধসংগ্রহ প্রণয়ন ছাড়াও ভারতের সাহিত্য থেকে জার্মান ভাষায় ও ইউরোপীয় সাহিত্য থেকে বাংলা ভাষায় অসংখ্য কবিতা, নাটক, কথাশিল্প তিনি অনুবাদ ও সংকলন করেছেন। তাঁর অনুবাদ ও সংকলন গ্রন্থসমূহ—সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত, প্রাচী-প্রতীচীর মিলনমেলার পুঁথি, প্রেমে পরবাসে, হাইনের কবিতা ও অঙ্গীকারের কবিতা ইত্যাদি।
তিনি ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর জার্মানিতে মৃত্যুবরণ করেন।
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও অধ্যাপক। তাঁকে ইউরোপে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার বাতিঘর বলা হতো। পঞ্চাশের দশকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে বাংলা কাব্যে স্বকীয়তা এনেছিলেন হাতে গোনা যে কয়েকজন, তাঁর মধ্যে তিনি অন্যতম।
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৬ অক্টোবর কলকাতায়। তাঁর শৈশব কেটেছে সাঁওতাল পরগনার রিখিয়ায়। শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা শেষ করে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে সাহিত্য নিয়ে উচ্চশিক্ষা শেষ করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ভারতীয় কবিতার শব্দমালা নিয়ে পিএইচডি করেছিলেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। ১৯৭২ সালে যোগ দেন হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারততত্ত্ব বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে। বাংলা-জার্মান সাহিত্যের মেলবন্ধনে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জার্মানির সরকার তাঁকে ‘গ্যেটে’ পুরস্কার প্রদান করে। পাকাপাকিভাবে কয়েক দশক জার্মানিতে থাকলেও কলকাতার সঙ্গে নাড়ির টান কখনো ছিন্ন করেননি।
জীবদ্দশায় প্রায় ২০টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের। তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: নিষিদ্ধ কোজাগরী, প্রতিদিন সূর্যের পার্বণ, রক্তাক্ত ঝরোখা, ছৌ কাবুকির মুখোশ, লঘুসংগীত ভোরের হাওয়ার মুখে, মরমি করাত, গিলোটিনে আলপনা, নদী ও রাত্রি বণ্টন হয়ে গেলে, আয়না যখন নিঃশ্বাস নেয়, এক-একটি উপভাষায় বৃষ্টি পড়ে, রক্তমেঘের স্কন্দপুরান। সোফোক্লেসের আন্তিগোনে, হ্যেল্ডারলিন, হাইনে, রিলকে, ব্রেখটের কবিতার পাশাপাশি অনুবাদ করেছেন সাঁওতালি কবি সুরদাসের কবিতা।
বাংলা থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন অসংখ্য কবিতা, প্রবন্ধ, গান। বাংলা, ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় বহুবিধ প্রবন্ধসংগ্রহ প্রণয়ন ছাড়াও ভারতের সাহিত্য থেকে জার্মান ভাষায় ও ইউরোপীয় সাহিত্য থেকে বাংলা ভাষায় অসংখ্য কবিতা, নাটক, কথাশিল্প তিনি অনুবাদ ও সংকলন করেছেন। তাঁর অনুবাদ ও সংকলন গ্রন্থসমূহ—সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত, প্রাচী-প্রতীচীর মিলনমেলার পুঁথি, প্রেমে পরবাসে, হাইনের কবিতা ও অঙ্গীকারের কবিতা ইত্যাদি।
তিনি ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর জার্মানিতে মৃত্যুবরণ করেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫