মুনীরুল ইসলাম
জমি অনাবাদি ফেলে না রেখে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। জমির ব্যক্তিগত মালিকানা ইসলাম অনুমোদন করেছে এবং তা আবাদ করে চাষবাস করতে উৎসাহ জুগিয়েছে। দেশের কোনো ভূমি যেন পরিত্যক্ত বা অনাবাদি না থাকে, সে জন্য হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা জমি আবাদ করো। আর যে ব্যক্তি নিজে আবাদ করতে না পারে, সে যেন ভূমিটি অন্য ভাইকে দিয়ে দেয়, যাতে সে আবাদ করে ভোগ করতে পারে।’ (বুখারি)
ইসলাম বর্গা চাষেরও অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি জমি সেচ, চারা রোপণ ও ফসল ফলানোর জন্য নিজের জমি অন্যের কাছে হস্তান্তর করে এবং বিনিময়ে উৎপাদিত পণ্যের একটি নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খাইবারের লোকজনের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি করেছিলেন যে তারা উৎপাদিত গাছ বা ফল-ফসলের অর্ধেক দিয়ে দেবে।’ (মুসলিম)
মানুষের সৃষ্টি মাটি থেকেই, আবার মাটিতেই একদিন মিশে যেতে হবে। এই মাটিতেই চাষাবাদ করে টিকে থাকতে হয় মানুষকে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রতিটি মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, পথ্য, শিক্ষা সরঞ্জাম, পানি, বিদ্যুৎ, যানবাহন—সবকিছুর মূল উপাদান কৃষির মাধ্যমেই আসে। আর কৃষিকাজ করা হয় ভূমিতে। ভূমি বলতে শুধু মাটিকেই বোঝায় না, বরং পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, সাগর, ভূগর্ভস্থ সম্পদ সবকিছুকেই বোঝায়। চারা উৎপাদন, রোপণ ও ফসল উৎপাদন করাই কৃষিবিদ্যা নয়; বর্তমানে পশুপালন, মৎস্যবিজ্ঞান এবং উদ্যান তথা স্বল্প পরিসরে ফুল, ফল, সবজি ইত্যাদির চাষও কৃষিবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশের ভূমিকে আল্লাহ তাআলা উর্বর করে দিয়েছেন। ভূমি এ দেশের অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদ কাজে লাগিয়ে আমরা যত বেশি স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী হব, দেশও তত উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধ হবে। সুতরাং কৃষিকাজের প্রতি আমাদের তৎপরতা আরও বাড়ানো দরকার। সারা দেশের সব অনাবাদি ও পরিত্যক্ত ভূমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করা জরুরি।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
জমি অনাবাদি ফেলে না রেখে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। জমির ব্যক্তিগত মালিকানা ইসলাম অনুমোদন করেছে এবং তা আবাদ করে চাষবাস করতে উৎসাহ জুগিয়েছে। দেশের কোনো ভূমি যেন পরিত্যক্ত বা অনাবাদি না থাকে, সে জন্য হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা জমি আবাদ করো। আর যে ব্যক্তি নিজে আবাদ করতে না পারে, সে যেন ভূমিটি অন্য ভাইকে দিয়ে দেয়, যাতে সে আবাদ করে ভোগ করতে পারে।’ (বুখারি)
ইসলাম বর্গা চাষেরও অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি জমি সেচ, চারা রোপণ ও ফসল ফলানোর জন্য নিজের জমি অন্যের কাছে হস্তান্তর করে এবং বিনিময়ে উৎপাদিত পণ্যের একটি নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খাইবারের লোকজনের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি করেছিলেন যে তারা উৎপাদিত গাছ বা ফল-ফসলের অর্ধেক দিয়ে দেবে।’ (মুসলিম)
মানুষের সৃষ্টি মাটি থেকেই, আবার মাটিতেই একদিন মিশে যেতে হবে। এই মাটিতেই চাষাবাদ করে টিকে থাকতে হয় মানুষকে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রতিটি মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, পথ্য, শিক্ষা সরঞ্জাম, পানি, বিদ্যুৎ, যানবাহন—সবকিছুর মূল উপাদান কৃষির মাধ্যমেই আসে। আর কৃষিকাজ করা হয় ভূমিতে। ভূমি বলতে শুধু মাটিকেই বোঝায় না, বরং পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, সাগর, ভূগর্ভস্থ সম্পদ সবকিছুকেই বোঝায়। চারা উৎপাদন, রোপণ ও ফসল উৎপাদন করাই কৃষিবিদ্যা নয়; বর্তমানে পশুপালন, মৎস্যবিজ্ঞান এবং উদ্যান তথা স্বল্প পরিসরে ফুল, ফল, সবজি ইত্যাদির চাষও কৃষিবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশের ভূমিকে আল্লাহ তাআলা উর্বর করে দিয়েছেন। ভূমি এ দেশের অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদ কাজে লাগিয়ে আমরা যত বেশি স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী হব, দেশও তত উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধ হবে। সুতরাং কৃষিকাজের প্রতি আমাদের তৎপরতা আরও বাড়ানো দরকার। সারা দেশের সব অনাবাদি ও পরিত্যক্ত ভূমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করা জরুরি।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৮ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫