পাবনা প্রতিনিধি
উত্তরের জেলা পাবনায় গত কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন শিশু ও বৃদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডেই ২১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। প্রয়োজনীয় শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দা-করিডরে অবস্থান করতে হচ্ছে আগত রোগী ও তাঁদের স্বজনদের।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৬০-৭০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শয্যা সংকটে অধিকাংশ রোগীর জায়গা হয়েছে বারান্দা বা করিডরে। ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী আসায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের। রোগীরা এক সপ্তাহ যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাঁদের জন্য শয্যা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জরুরি বিভাগেও রোগীর বাড়তি চাপ দেখা গেছে। শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ছোট্ট তিনটি কক্ষে মানুষ গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকায় শীতে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে ৩৬টি শয্যা থাকলেও এখানে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৪০ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৬টি শয্যার বিপরীতে ৭০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। জরুরি বিভাগেও প্রতিদিন অন্তত শতাধিক রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন।
পাবনা সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, সদর হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ২৫০ টি। এর মধ্যে কোভিড রোগীদের জন্য ১০০ শয্যা সংরক্ষিত করে রাখার পর বাকি রয়েছে ১৫০ টি। কিন্তু এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছেন গড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন। গত ১৫ দিনে শিশু ওয়ার্ডে ৮২০ জন রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী প্রায় ৩ শতাধিক, ডায়রিয়ার রোগী শতাধিক। বাকি সবাই জ্বর, থ্যালাসেমিয়া, খিঁচুনিসহ নানা রোগে আক্রান্ত। শিশু ওয়ার্ডের ১৫ জন নার্স ও পাঁচজন চিকিৎসক দুই শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাবনা পৌর সদরের নয়নামতি এলাকার শিশু রায়হান আলীর মা রুমি আক্তার বলেন, ‘৬ দিন আগে ছেলের ঠান্ডা-জ্বর দেখা দেয়। গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জ্বর কমেনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডায়রিয়াও দেখা দিয়েছে। পরীক্ষা করে নিউমোনিয়া শনাক্ত হয়েছে।’
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিতা খাতুন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স আসমাউল হুসনা জানান, হাসপাতালে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসক সংকটের জন্য সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কে এম আবু জাফর বলেন, ‘রোগীর চাপে কোনো ওয়ার্ডেই নির্ধারিত শয্যা অনুযায়ী রোগী ভর্তি বা চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালে চিকিৎসকের ২০টি শূন্য পদ রয়েছে। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
পাবনার সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যথেষ্ট জনবল ও চিকিৎসা সামগ্রী মজুত রয়েছে।’
উত্তরের জেলা পাবনায় গত কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন শিশু ও বৃদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডেই ২১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। প্রয়োজনীয় শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দা-করিডরে অবস্থান করতে হচ্ছে আগত রোগী ও তাঁদের স্বজনদের।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৬০-৭০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শয্যা সংকটে অধিকাংশ রোগীর জায়গা হয়েছে বারান্দা বা করিডরে। ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী আসায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের। রোগীরা এক সপ্তাহ যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাঁদের জন্য শয্যা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জরুরি বিভাগেও রোগীর বাড়তি চাপ দেখা গেছে। শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ছোট্ট তিনটি কক্ষে মানুষ গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকায় শীতে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে ৩৬টি শয্যা থাকলেও এখানে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৪০ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৬টি শয্যার বিপরীতে ৭০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। জরুরি বিভাগেও প্রতিদিন অন্তত শতাধিক রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন।
পাবনা সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, সদর হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ২৫০ টি। এর মধ্যে কোভিড রোগীদের জন্য ১০০ শয্যা সংরক্ষিত করে রাখার পর বাকি রয়েছে ১৫০ টি। কিন্তু এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছেন গড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন। গত ১৫ দিনে শিশু ওয়ার্ডে ৮২০ জন রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী প্রায় ৩ শতাধিক, ডায়রিয়ার রোগী শতাধিক। বাকি সবাই জ্বর, থ্যালাসেমিয়া, খিঁচুনিসহ নানা রোগে আক্রান্ত। শিশু ওয়ার্ডের ১৫ জন নার্স ও পাঁচজন চিকিৎসক দুই শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাবনা পৌর সদরের নয়নামতি এলাকার শিশু রায়হান আলীর মা রুমি আক্তার বলেন, ‘৬ দিন আগে ছেলের ঠান্ডা-জ্বর দেখা দেয়। গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জ্বর কমেনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডায়রিয়াও দেখা দিয়েছে। পরীক্ষা করে নিউমোনিয়া শনাক্ত হয়েছে।’
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিতা খাতুন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স আসমাউল হুসনা জানান, হাসপাতালে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসক সংকটের জন্য সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কে এম আবু জাফর বলেন, ‘রোগীর চাপে কোনো ওয়ার্ডেই নির্ধারিত শয্যা অনুযায়ী রোগী ভর্তি বা চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালে চিকিৎসকের ২০টি শূন্য পদ রয়েছে। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
পাবনার সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যথেষ্ট জনবল ও চিকিৎসা সামগ্রী মজুত রয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪