Ajker Patrika

মাগুরায় কনকনে শীতে কাবু মানুষ

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৩৬
মাগুরায় কনকনে শীতে কাবু মানুষ

গতকাল সোমবার বেলা ১টা। সূর্যের তেজ বেড়েছে সকাল থেকে। কিন্তু সেই তেজ গরম অনুভূত হচ্ছে না মানুষের কাছে। গায়ের লিলেনের চাদরটি খুলতে গিয়েও থেমে গেলেন আইয়ুব আলী। ভাবছিলেন এক চাদরে মাগুরা শহরে কাজ সেরে দুপুরে বাড়ি যাবেন। কিন্তু কাজ দেরি হওয়ায় পড়ে গেলেন চিন্তায়। কারন শীত রোদেও যাচ্ছে না। চাদরের ফাঁকফোকর দিয়ে ঠান্ডা বাতাসে ৬৫ বছরের বার্ধক্য কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে। আইয়ুব আলী বলেন, পোস্ট অফিসের সামনে এসেছি একটা পুরান কাপড় কিনতে। কারন, বাড়ি যেতে বিকেল হবে।

দুপুরেই যদি রোদে শীত না যায় তবে বিকেলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। অ্যাজমার সমস্যা, শীত সহ্য করতে পারি না। মাগুরায় গত রোববার থেকে কনকনে ঠান্ডা বিরাজ করছে সর্বত্র। বেলা যত বাড়ে ততটাই রোদের তেজের সঙ্গে শীতের ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে সবখানে।

বৈরী আবহাওয়ার খবর রাখেন দোকানি তোয়াজ মিয়া। পারনান্দুয়ালী গ্রামে যেতে বলেন, ‘পত্রিকায় পড়েছি আগামী কদিন কনকনে ঠান্ডা পরতি পারে। তাই মাগুরা শীত পড়ছে। বাড়ির পোলাপান যারা গেঁদা (শিশু) তাদের কম্বলের বাইরে যেতে না করেছি। ঠান্ডা লাগলি তো সমস্যা। মাগুরা ভোর থেকে কুয়াশা শুধু নয়, গাছগাছালি দিয়ে বেয়ে পড়ছে কুয়াশার শিশির।’

সূর্য উঠলেও রোদে তাপ নেই। দুপুর গড়ালেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় সোয়েটার কিংবা যেকোনো গরম কাপড় পরে থাকতে দেখা গেছে পথচারীদের। এ রকম একজন সোহেলী খাতুন। তিনি বাচ্চার স্কুল থেকে ফেরার সময় দেখেন বেলা ১১টা। পাতলা চাদর গায়ে দেওয়া তবু যেন শরীরে কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে। তিনি জানান, অন্য দিন এই বেলায় রোদ লাগালে ভালো লাগে। বাড়ির সবাইকে নিয়ে অমরা রোদে শীত কমাই তাপে। কিন্তু আজ (রবিবার) দেখছি সম্পূর্ণ উল্টো। মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসে চিন্তা করছি আ একটা সোয়েটার নেওয়া যায় কিনা।

এদিকে শীতের এমন বিচিত্র আচরণে খুশি পুরান গরম কাপড় বিক্রেতা রহমত। তিনি বলেন, ‘মানুষ মোটেও কাপড় কিনছিল না। বারবার সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছিলাম। এখন গত রাইত (শনিবার) থেকে দেখি চরম শীত। সকাল থেকে ভালোই বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্করা বেশি কিনতে আসছেন। দাম বেশি নিচ্ছি না। সবাই শীত থেকে বাঁচুক তা মনে করেই বেচাবিক্রি করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত