Ajker Patrika

বদলি আদেশ মানছেন না চার কার্যসহকারী

চারঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩১
বদলি আদেশ মানছেন না চার কার্যসহকারী

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বদলির আদেশ মানছেন না রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা উপজেলার চার কার্যসহকারী। পুরোনো কর্মস্থলে থাকতে নানা তদবিরে ঠেকানোর চেষ্টা করছেন বদলির আদেশ। চার মাস আগে বদলির আদেশ পেলেও দায়িত্ব পালন করছেন আগের উপজেলাতেই। বিষয়টা নিয়ে এই দুই উপজেলার প্রকৌশল বিভাগে কর্মরতদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কাজের গতিশীলতা, জনবলের সুষম বণ্টন, ভিন্ন ভিন্ন পদে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ বছরের বেশি সময় যে-ই কার্যসহকারী একই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বদলির সুপারিশ করা হয়। এতে চারঘাট উপজেলার কার্যসহকারী আলমগীর হোসেন ও শ্রী মনিন্দ্রনাথ সরকারকে বাঘা উপজেলায় এবং বাঘা উপজেলার কার্যসহকারী জমাদিউল আওয়াল ও নুরুল হুদাকে চারঘাট উপজেলায় বদলি করা হয়। গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে তাঁদের বদলির আদেশ জারি করা হয়। তাঁরা চারজনই নিজ নিজ উপজেলায় দেড় যুগের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে বদলি আদেশ হাতে পাওয়ার চার মাস অতিবাহিত হলেও ওই চার কার্যসহকারী নতুন কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করছেন না। এক মাস পরপর গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন। বদলি আদেশ বাতিলের জন্য বিভিন্ন মহলে তদবির করতে ছোটাছুটি করছেন তাঁরা। এ অবস্থায় দুই উপজেলার প্রকৌশল বিভাগে কর্মরত অন্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়নে নানা সমস্যার কথা বলছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চারঘাট ও বাঘা প্রকৌশল বিভাগের দুজন উপসহকারী প্রকৌশলী জানান, এই চার কার্যসহকারী দেড় যুগের বেশি সময় ধরে নিজ নিজ প্রকৌশল অফিসে আধিপত্য তৈরি করেছেন। তাঁদের কাছে অফিসের কর্মচারীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার কারণে কেউ কিছু বলতেও সাহস পান না। এ অবস্থায় নানা অভিযোগে তাঁদের বদলি আদেশ হয়।

প্রায় ২০ বছর চারঘাট উপজেলায় থাকার পরও নতুন কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কার্যসহকারী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমি এখনো বাঘায় কাজ শুরু করিনি। বদলি আদেশ বন্ধ করার চেষ্টা করছি। এক মাস পর পর বাঘা এলজিইডিতে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আসছি।’

এক যুগ বাঘা এলজিইডিতে থাকার পরও নতুন কর্মস্থল চারঘাটে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জমাদিউল আওয়াল বলেন, ‘বাঘায় দীর্ঘদিন আছি। চারঘাটে কেন যোগ দিইনি, সেটা প্রকৌশলী রতন স্যার জানেন। তাঁর সঙ্গে কথা বললে সব জেনে যাবেন।’

বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, ‘তাঁরা দুজন ভালো কাজ করে। দুজনই স্থানীয়। তাঁদের পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে চারঘাট উপজেলায় যোগদান করেননি। তবে এ বিষয়ে আমার দিক থেকে কোনো বাধা ছিল না। আমি তাঁদের ছেড়ে দিয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানতাম না। খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত