Ajker Patrika

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৯
মাদারীপুরে হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লা তুল ফেরদৌস এই রায় দেন। হত্যাকাণ্ডের ২০ বছর পর এ রায় দেওয়া হল। এতে খুশি বাদী। তবে আসামিরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি আসামিপক্ষের আইনজীবীর।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের আমগ্রামের চৈতন্য বৈদ্যের ছেলে তরুনী বৈদ্য, অশোক বৈদ্য, পদ বিশ্বাসের ছেলে কালু বিশ্বাস, নিতাই বৈরাগীর ছেলে নরেন বৈরাগী ও কদমবাড়ী ইউনিয়নের বিজয় ব্যাপারী। এদের মধ্যে বিজয় ব্যাপারী পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে পূজা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রামের গুরুপদ বৈদ্যের স্ত্রী রাধা রানী বৈদ্য ও তাঁর দুই সন্তান। আমগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায় আসলে তাঁদের ওপর হামলা চালান আসামিরা। এ সময় তাঁদের দুই সন্তানকে পিটিয়ে জখম করা হয়। আহত দুই সন্তান ওখানে পড়ে থাকে। আর রাধা রানী বৈদ্যকে আসামিরা তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন রাজৈর থানায় রাধা রানী বৈদ্যের ছেলে বিষ্ণুপদ বৈদ্য বাদী হয়ে তরুণী বৈদ্য, অশোক বৈদ্যসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অপহরণ মামলা করে। এ সময় আরও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়। পরে আসামি অশোক বৈদ্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দী দেন। জবান বন্দীতে অপহরণের পরে রাধা রাণী বৈদ্যকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আর অপহরণের ১১ দিন পর পাখুল্লার একটি বিল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আসামি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ ছিল গুরুপদ বৈদ্যের। এই বিরোধের জেরে রাধা রানী বৈদ্যকে অপহরণ শেষে হত্যা করা হয়।

মাদারীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ‘আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায়ের সময়ে আদালতে চার আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।’

মামলার বাদী বিষ্ণুপদ বৈদ্য বলেন, ‘১০ শতাংশ জমির জন্য মাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পর হলেও মামলার রায় পেয়ে খুশি। আরও খুশি হব, যদি আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়। এতে আমার মায়ের আত্ম শান্তি পাবে। তাঁরা কোনো ভাবেই যেন ফাঁসি থেকে রক্ষা না পান।’

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া বলেন, ‘রায়ে মক্কেলদের সঙ্গে ন্যায় বিচার করা হয়নি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা রাখি, সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত